বন্ধুত্বের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট
প্রতিবেশী
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি এখন পাকিস্তান রয়েছেন। বৃহস্পতিবার
সকালে ইসলামবাদ পৌছেন তিনি।
ইসলামাবাদের নুর খান বিমান ঘাঁটিতে পৌছলে আফগান প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাণিজ্য উপদেষ্টা আব্দুল রাজ্জাক দাউদ।
সেখান থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যান এবং ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সেখানে আফগান প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। দুই নেতা পরস্পরের সঙ্গীদের পরিচয় করিয়ে দেন।
পরে ঘানি ও ইমরান একান্তে বৈঠক করেন। সেখানে তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সংশ্লিষ্ট বিষয় ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশ ও তাদের জনগণের লাভের জন্য এবং এই অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি এগিয়ে নেয়ার স্বার্থে পারস্পরিক আস্থা ও সংহতির ভিত্তিতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে দুই নেতা রাজি হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান আফগান নেতাকে আশ্বস্ত করে বলেন যে, তিনি তার শান্তিপূর্ণ প্রতিবেশী ভিশনের অংশ হিসেবে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সম্পর্কে গুণগত পরিবর্তন আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাকিস্তান-আফগানিস্তান সম্পর্কের একটি ভবিষ্যতমুখি ভিশন রচনার গুরুত্ব স্বীকার করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও আফগান প্রেসিডেন্ট।
চলমান আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়েও দুই নেতা আলোচনা করেন। এ ব্যাপারে যৌথ দায়িত্ব রয়েছে বলে পাকিস্তান মনে করে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আফগানিস্তানের দশক-পুরনো সংঘাত নিরসনের জন্য আফগান নেতৃত্বাধিন ও আফগান মালিকানাধিন শান্তি প্রক্রিয়াই বাস্তব বিকল্প বলে প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করেন।
দুই নেতা অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন এবং যত দ্রুত সম্ভব সেন্ট্রাল এশিয়া-সাউথ এশিয়া (সিএএসএ ১০০০) বিদ্যুৎ পরিবহন লাইন এবং তুর্কমেনিস্তান-আফগানিস্তান-পাকিস্তান-ইন্ডিয়া (টাপি) গ্যাপ পাইপলাইন নির্মাণ শেষ করার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশির সঙ্গেও সাক্ষাত করেন ঘানি এবং আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
প্রতিবেশী দেশটিতে ১৮ বছর ধরে চলা সংঘাত নিরসনে আফগান রাজনীতিবিদদের নিয়ে একটি সম্মেলন আয়োজনের এক সপ্তাহের মাথায় পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ঘানির এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ঘানির লাহোর সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর এটা তার তৃতীয় পাকিস্তান সফর। কয়েক দশকের পুরনো আফগান যুদ্ধের অবসান ও একটি রাজনৈতিক নিস্পত্তিতে পৌছার প্রচেষ্টা জোরদার হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে।
আফগানিস্তানের অভ্যন্তরিণ বিষয়ে নাক গলানোর জন্য প্রেসিডেন্ট ঘানি চলতি বছরের গোড়ার দিকে পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডির কারণে যুদ্ধ শেষ হচ্ছে না এবং কোয়েটা হলো তালেবান নেতাদের ঘাঁটি। পাকিস্তান অবশ্য তালেবানকে সহায়তা প্রদানের কথা অস্বীকার করে আসছে এবং এবং জানায় যে আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে একটি রাজনৈতিক নিস্পত্তির পক্ষে।
‘আফগান সরকারের নতুন মনোভাব দেখে ভালো লাগছে’
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ফেরদৌস আশিক আওয়ান বলেন যে এই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি জোরদার এবং সংঘাত নিরসনের পথে অগ্রসর হওয়ার ইমরানের ভিসনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই প্রেসিডেন্ট ঘানির সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন: আফগান নেতৃত্ব আগের চেয়ে ভিন্ন মনোভাব গ্রহণ করেছে দেখে ভালো লাগছে।
পাকিস্তান সরকার আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারের উদ্যোগ নিচ্ছে বলে আওয়ান উল্লেখ করেন।
ইসলামাবাদের নুর খান বিমান ঘাঁটিতে পৌছলে আফগান প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাণিজ্য উপদেষ্টা আব্দুল রাজ্জাক দাউদ।
সেখান থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যান এবং ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সেখানে আফগান প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। দুই নেতা পরস্পরের সঙ্গীদের পরিচয় করিয়ে দেন।
পরে ঘানি ও ইমরান একান্তে বৈঠক করেন। সেখানে তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সংশ্লিষ্ট বিষয় ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশ ও তাদের জনগণের লাভের জন্য এবং এই অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি এগিয়ে নেয়ার স্বার্থে পারস্পরিক আস্থা ও সংহতির ভিত্তিতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে দুই নেতা রাজি হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান আফগান নেতাকে আশ্বস্ত করে বলেন যে, তিনি তার শান্তিপূর্ণ প্রতিবেশী ভিশনের অংশ হিসেবে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সম্পর্কে গুণগত পরিবর্তন আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাকিস্তান-আফগানিস্তান সম্পর্কের একটি ভবিষ্যতমুখি ভিশন রচনার গুরুত্ব স্বীকার করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও আফগান প্রেসিডেন্ট।
চলমান আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়েও দুই নেতা আলোচনা করেন। এ ব্যাপারে যৌথ দায়িত্ব রয়েছে বলে পাকিস্তান মনে করে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আফগানিস্তানের দশক-পুরনো সংঘাত নিরসনের জন্য আফগান নেতৃত্বাধিন ও আফগান মালিকানাধিন শান্তি প্রক্রিয়াই বাস্তব বিকল্প বলে প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করেন।
দুই নেতা অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন এবং যত দ্রুত সম্ভব সেন্ট্রাল এশিয়া-সাউথ এশিয়া (সিএএসএ ১০০০) বিদ্যুৎ পরিবহন লাইন এবং তুর্কমেনিস্তান-আফগানিস্তান-পাকিস্তান-ইন্ডিয়া (টাপি) গ্যাপ পাইপলাইন নির্মাণ শেষ করার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশির সঙ্গেও সাক্ষাত করেন ঘানি এবং আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
প্রতিবেশী দেশটিতে ১৮ বছর ধরে চলা সংঘাত নিরসনে আফগান রাজনীতিবিদদের নিয়ে একটি সম্মেলন আয়োজনের এক সপ্তাহের মাথায় পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ঘানির এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ঘানির লাহোর সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর এটা তার তৃতীয় পাকিস্তান সফর। কয়েক দশকের পুরনো আফগান যুদ্ধের অবসান ও একটি রাজনৈতিক নিস্পত্তিতে পৌছার প্রচেষ্টা জোরদার হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে।
আফগানিস্তানের অভ্যন্তরিণ বিষয়ে নাক গলানোর জন্য প্রেসিডেন্ট ঘানি চলতি বছরের গোড়ার দিকে পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডির কারণে যুদ্ধ শেষ হচ্ছে না এবং কোয়েটা হলো তালেবান নেতাদের ঘাঁটি। পাকিস্তান অবশ্য তালেবানকে সহায়তা প্রদানের কথা অস্বীকার করে আসছে এবং এবং জানায় যে আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে একটি রাজনৈতিক নিস্পত্তির পক্ষে।
‘আফগান সরকারের নতুন মনোভাব দেখে ভালো লাগছে’
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ফেরদৌস আশিক আওয়ান বলেন যে এই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি জোরদার এবং সংঘাত নিরসনের পথে অগ্রসর হওয়ার ইমরানের ভিসনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই প্রেসিডেন্ট ঘানির সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন: আফগান নেতৃত্ব আগের চেয়ে ভিন্ন মনোভাব গ্রহণ করেছে দেখে ভালো লাগছে।
পাকিস্তান সরকার আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারের উদ্যোগ নিচ্ছে বলে আওয়ান উল্লেখ করেন।
No comments