অর্থনৈতিক স্বপ্নে পৌঁছতে হলে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ভাবতে হবে
অর্থনৈতিক
স্বপ্নে পৌঁছতে হলে বাংলাদেশকে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ভাবতে হবে। অনলাইন
কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলেছেন সিলভানা
কিউ সিনহা। তিনি প্রভা হেলথের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
তিনি ওই প্রতিবেদনে লিখেছেন, গত মাসে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ঘোষণা
দিয়েছে যে, ২০২০ সালের মধ্যে যেসব দেশ শতকরা ৭ ভাগ জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন
করবে এমন এশিয়ান সাতটি দেশের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। প্রকৃতপক্ষে এর অর্থ
হলো, এই হিসাবে বাংলাদেশের মাথাপিছু জাতীয় প্রবৃদ্ধি ২০৩০ সালের মধ্যে
ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে।
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি দেশ হওয়ায় বাংলাদেশকে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, দ্য ইকোনমিস্ট ও অন্যরা পরবর্তী এশিয়ান টাইহগার হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর মার্কিন কূটনীতিক হেনরি কিসিঞ্জারের ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ থেকে অনেক দূরে এসেছে বাংলাদেশ। দ্রুত এই অর্থনৈতিক অগ্রগতির ফলে ২০০৫ সালের দারিদ্র্যের হার শতকরা ৪০ ভাগ থেকে কমে ৩০ ভাগের নিচে নেমে এসেছে এখন।
বিশ্বব্যাংকের মতে, প্রায় চার কোটি গতিশীল মধ্যবিত্ত বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিচালিত করছেন।
যখন বাংলাদেশীদের জন্য এটি একটি খুব ভাল খবর, তখন স্বাস্থ্যখাতে এ বিষয়টি চিহ্নিত না করা একটি ঝুঁকি দেশের জন্য। এর ফলে এসব অগ্রগতি ঝুঁকিতে পড়তে পারে। বেশ কিছু নি¤œ থেকে মধ্যম আয়েদের দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ বর্তমানে একটি অভিজ্ঞতার মুখে। একে বলা হচ্ছে ‘মিসিং মিডল’ সমস্যা। বাংলাদেশে যতই অর্থনৈতিক অগ্রগতি হচ্ছে, উন্নয়ন সহায়তা ততই কমছে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে সরকারের বিনিয়োগ যথেষ্ট গতিশীল নয়। প্রকৃতপক্ষে স্বাস্থ্যখাতে সরকার যে অর্থ খরচ করছে তা জাতীয় প্রবৃদ্ধির শতকরা হিসেবে গত ১০ বছরে শুধু কমছেই। মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে তার সামঞ্জস্য রাখার ঘটনা বিরল। জনস্বাস্থ্য খাতে খরচের বিষয় যখন আসে তখন সবচেয়ে বাজে পারফরমেন্স করছে যে ২৫টি দেশ তার মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশী পরিবারগুলোর পকেট থেকে বিপুল পরিমাণের অর্থ যাচ্ছে। তারা পাচ্ছে দুর্বল সেবা। মধ্যম আয়ের পরিবারের যখন আয় বাড়ছে, তখন তার আয়ের চেয়ে দ্রুত গতিতে বাড়ছে স্বাস্থ্যখাতের খরচ। এ জন্য স্বাস্থ্যসেবা পেতে মানুষকে লড়াই করতে হচ্ছে। এই খরচ দিয়ে বাংলাদেশী রোগিরা একজন চিকিৎসকের পরামর্শ পান গড়ে ৪৮ সেকেন্ড।
সরকারি স্বাস্থ্য খাতে স্টাফ কম। আর এর সুবিধা নিচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব খাতে খরচ অনেক বেশি। তা বাড়ছেই। এমন প্রতিষ্ঠান ঢাকার মতো শহরে বাড়ছেই। এসব বেসরিকারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রিত করতে এবং সেখানে মনিটরিং করতে সরকারের সক্ষমতায় ঘাটতি আছে। ফলে এসব চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে গুনগত মান নিয়ে রয়েছে গুরুত্বর প্রশ্ন।
ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, দেশের ভিতর এত বেশি খরচ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক অবকাঠামোর দুর্বল অবস্থার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন কয়েক হাজার বাংলাদেশী বিদেশে যান। সঙ্গে নিয়ে যান তাদের বর্ধিত আয় এবং তার সবটা শেষ করে আসেন। তাই দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চিরস্থায়ীভাবে অব্যাহত থাকবে না, বিশেষ করে একটি অস্বাস্থ্যকর অবস্থা নিয়ে। একই সময়ে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের সামনে একটি সুস্থ স্বাস্থ্য বিষয়ক অবকাঠামো গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে।
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি দেশ হওয়ায় বাংলাদেশকে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, দ্য ইকোনমিস্ট ও অন্যরা পরবর্তী এশিয়ান টাইহগার হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর মার্কিন কূটনীতিক হেনরি কিসিঞ্জারের ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ থেকে অনেক দূরে এসেছে বাংলাদেশ। দ্রুত এই অর্থনৈতিক অগ্রগতির ফলে ২০০৫ সালের দারিদ্র্যের হার শতকরা ৪০ ভাগ থেকে কমে ৩০ ভাগের নিচে নেমে এসেছে এখন।
বিশ্বব্যাংকের মতে, প্রায় চার কোটি গতিশীল মধ্যবিত্ত বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিচালিত করছেন।
যখন বাংলাদেশীদের জন্য এটি একটি খুব ভাল খবর, তখন স্বাস্থ্যখাতে এ বিষয়টি চিহ্নিত না করা একটি ঝুঁকি দেশের জন্য। এর ফলে এসব অগ্রগতি ঝুঁকিতে পড়তে পারে। বেশ কিছু নি¤œ থেকে মধ্যম আয়েদের দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ বর্তমানে একটি অভিজ্ঞতার মুখে। একে বলা হচ্ছে ‘মিসিং মিডল’ সমস্যা। বাংলাদেশে যতই অর্থনৈতিক অগ্রগতি হচ্ছে, উন্নয়ন সহায়তা ততই কমছে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে সরকারের বিনিয়োগ যথেষ্ট গতিশীল নয়। প্রকৃতপক্ষে স্বাস্থ্যখাতে সরকার যে অর্থ খরচ করছে তা জাতীয় প্রবৃদ্ধির শতকরা হিসেবে গত ১০ বছরে শুধু কমছেই। মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে তার সামঞ্জস্য রাখার ঘটনা বিরল। জনস্বাস্থ্য খাতে খরচের বিষয় যখন আসে তখন সবচেয়ে বাজে পারফরমেন্স করছে যে ২৫টি দেশ তার মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশী পরিবারগুলোর পকেট থেকে বিপুল পরিমাণের অর্থ যাচ্ছে। তারা পাচ্ছে দুর্বল সেবা। মধ্যম আয়ের পরিবারের যখন আয় বাড়ছে, তখন তার আয়ের চেয়ে দ্রুত গতিতে বাড়ছে স্বাস্থ্যখাতের খরচ। এ জন্য স্বাস্থ্যসেবা পেতে মানুষকে লড়াই করতে হচ্ছে। এই খরচ দিয়ে বাংলাদেশী রোগিরা একজন চিকিৎসকের পরামর্শ পান গড়ে ৪৮ সেকেন্ড।
সরকারি স্বাস্থ্য খাতে স্টাফ কম। আর এর সুবিধা নিচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব খাতে খরচ অনেক বেশি। তা বাড়ছেই। এমন প্রতিষ্ঠান ঢাকার মতো শহরে বাড়ছেই। এসব বেসরিকারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রিত করতে এবং সেখানে মনিটরিং করতে সরকারের সক্ষমতায় ঘাটতি আছে। ফলে এসব চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে গুনগত মান নিয়ে রয়েছে গুরুত্বর প্রশ্ন।
ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, দেশের ভিতর এত বেশি খরচ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক অবকাঠামোর দুর্বল অবস্থার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন কয়েক হাজার বাংলাদেশী বিদেশে যান। সঙ্গে নিয়ে যান তাদের বর্ধিত আয় এবং তার সবটা শেষ করে আসেন। তাই দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চিরস্থায়ীভাবে অব্যাহত থাকবে না, বিশেষ করে একটি অস্বাস্থ্যকর অবস্থা নিয়ে। একই সময়ে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের সামনে একটি সুস্থ স্বাস্থ্য বিষয়ক অবকাঠামো গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে।
No comments