বিপজ্জনক পরিণতির দিকে মার্কিন-ইরান উত্তেজনা
রাশিয়া
বলেছে, ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নতুন নিষেধাজ্ঞা তেহরান-ওয়াশিংটন
উত্তেজনাকে একটি বিপজ্জনক পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মালদ্বীপ সফররত রুশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ২৬ জুন সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। একই
সাথে রাশিয়া ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রতিহত করারও ঘোষণা দিয়েছে।
অন্য দিকে ইরানের বিরুদ্ধে জোট গড়ার চেষ্টার অংশ হিসেবে মার্কিন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ভারত সফরে এসেছেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ও তার কার্যালয় এবং দেশটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতি ইঙ্গিত করে ল্যাভরভ বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সিনিয়র কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগতভাবে টার্গেট করে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন তা খুবই উদ্বেগজনক। তার মতে, বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ২০০৩ সালের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যখন যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে আক্রমণ চালানোর জন্য একটি অজুহাত খুঁজছিল।
উল্লেখ্য, ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার দাবি করে ২০০৩ সালে দেশটিতে আগ্রাসন চালানোর নির্দেশ দেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ। সেটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সে সময় ওয়াশিংটন দাবি করেছিল, ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে। কিন্তু ইরাক দখলের পর এ ধরনের কোনো অস্ত্র সেখানে পাওয়া যায়নি। ল্যাভরভ বলেন, যুদ্ধের পরিণতি কি হয় তা আমরা সবাই জানি। ২০০৩ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ ঘোষণা করে। কিন্তু গত ১৬ বছর ধরে আমরা সে গণতন্ত্রের স্বরূপ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সোমবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা, তার কার্যালয় ও ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির আট শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। মার্কিন অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহেই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রতিহত করবে রাশিয়া : ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞাকে ‘বেআইনি’ উল্লেখ করে রাশিয়া বলেছে, তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন প্রেসিডন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে নতুন কিছু করতে চাইলে মস্কো তা প্রতিহত করবে। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকোভ এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
একটি রুশ বার্তা সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এ নিষেধাজ্ঞা শুধু উত্তেজনাই বৃদ্ধি করবে। ট্রাম্প প্রশাসনের উচিত ইরানের সাথে আলোচনায় বসা। তবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে রাশিয়া কী পদক্ষেপ নেবে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। এর আগে গত সোমবার নতুন এ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, আমরা ভেবে দেখেছি এ নিষেধাজ্ঞা বেআইনি।
এদিকে মস্কোয় গত সোমবার রিয়াবকোভের সাথে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামি শুকরা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ যাকি সাক্ষাৎ করেছেন। সেখানে আলোচনাকালে রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন।
ইরানবিরোধী জনমত গড়তে ভারতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী : ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার পক্ষে সমর্থন বাড়াতে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের পর ভারত এসেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ কেনা নিয়ে নিয়ে ভারতের সাথে রাশিয়ার অস্ত্রচুক্তি এবং ইরান থেকে তেল কেনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশেষ বার্তা নিয়ে এসেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার রাতে নয়াদিল্লি পৌঁছেন মাইক পম্পেও। গতকাল বুধবার দুপুরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে বৈঠক করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথেও বৈঠক করবেন পম্পেও।
জানা গেছে, রাশিয়ার আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ কিনতে আগ্রহী ভারত। তবে এতে ঘোরতর আপত্তি রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের। রাশিয়ার কাছ থেকে সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধব্যবস্থা কেনার দিকে এগিয়ে গেলে ভারতকে তার মূল্য দিতে হবে আগেই সতর্ক করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞারও হুমকি দেয়া হয়েছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, রাশিয়ার সাথে ভারতের ৫ বিলিয়ন ডলারের এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির বিষয়ে গতকালের বৈঠকে আলোচনা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ বিষয়ে ভারতের অবস্থানও স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেয়া হয়। চলতি সপ্তাহে জাপানের ওসাকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে ভারত সফরে এলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
সূত্র : এএফপি, রয়টার্স ও এনডিটিভি
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ও তার কার্যালয় এবং দেশটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতি ইঙ্গিত করে ল্যাভরভ বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সিনিয়র কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগতভাবে টার্গেট করে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন তা খুবই উদ্বেগজনক। তার মতে, বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ২০০৩ সালের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যখন যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে আক্রমণ চালানোর জন্য একটি অজুহাত খুঁজছিল।
উল্লেখ্য, ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার দাবি করে ২০০৩ সালে দেশটিতে আগ্রাসন চালানোর নির্দেশ দেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ। সেটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সে সময় ওয়াশিংটন দাবি করেছিল, ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে। কিন্তু ইরাক দখলের পর এ ধরনের কোনো অস্ত্র সেখানে পাওয়া যায়নি। ল্যাভরভ বলেন, যুদ্ধের পরিণতি কি হয় তা আমরা সবাই জানি। ২০০৩ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ ঘোষণা করে। কিন্তু গত ১৬ বছর ধরে আমরা সে গণতন্ত্রের স্বরূপ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সোমবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা, তার কার্যালয় ও ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির আট শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। মার্কিন অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহেই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রতিহত করবে রাশিয়া : ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞাকে ‘বেআইনি’ উল্লেখ করে রাশিয়া বলেছে, তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন প্রেসিডন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে নতুন কিছু করতে চাইলে মস্কো তা প্রতিহত করবে। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকোভ এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
একটি রুশ বার্তা সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এ নিষেধাজ্ঞা শুধু উত্তেজনাই বৃদ্ধি করবে। ট্রাম্প প্রশাসনের উচিত ইরানের সাথে আলোচনায় বসা। তবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে রাশিয়া কী পদক্ষেপ নেবে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। এর আগে গত সোমবার নতুন এ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, আমরা ভেবে দেখেছি এ নিষেধাজ্ঞা বেআইনি।
এদিকে মস্কোয় গত সোমবার রিয়াবকোভের সাথে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামি শুকরা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ যাকি সাক্ষাৎ করেছেন। সেখানে আলোচনাকালে রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন।
ইরানবিরোধী জনমত গড়তে ভারতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী : ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার পক্ষে সমর্থন বাড়াতে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের পর ভারত এসেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ কেনা নিয়ে নিয়ে ভারতের সাথে রাশিয়ার অস্ত্রচুক্তি এবং ইরান থেকে তেল কেনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশেষ বার্তা নিয়ে এসেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার রাতে নয়াদিল্লি পৌঁছেন মাইক পম্পেও। গতকাল বুধবার দুপুরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে বৈঠক করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথেও বৈঠক করবেন পম্পেও।
জানা গেছে, রাশিয়ার আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ কিনতে আগ্রহী ভারত। তবে এতে ঘোরতর আপত্তি রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের। রাশিয়ার কাছ থেকে সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধব্যবস্থা কেনার দিকে এগিয়ে গেলে ভারতকে তার মূল্য দিতে হবে আগেই সতর্ক করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞারও হুমকি দেয়া হয়েছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, রাশিয়ার সাথে ভারতের ৫ বিলিয়ন ডলারের এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির বিষয়ে গতকালের বৈঠকে আলোচনা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ বিষয়ে ভারতের অবস্থানও স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেয়া হয়। চলতি সপ্তাহে জাপানের ওসাকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে ভারত সফরে এলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
সূত্র : এএফপি, রয়টার্স ও এনডিটিভি
No comments