তুরিন আমাকে গুলি করে মারতে চায় -নয়া দিগন্তের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে তুরিন আফরোজের মা by শাহেদ মতিউর রহমান
ওষুধ
কেনারও টাকা পাচ্ছেন না আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবব্যুনালের পাবলিক
প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের অসুস্থ্ মা শামসুন নাহার তসনিম।
দুইটি কিডনিই ৬৫ ভাগ অকেজো হয়ে গেছে তার। প্রতি সপ্তাাহেই দৌঁড়াতে হচ্ছে
হাসপাতালে। মেয়ের হাতে নির্যাতিত আর বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে এখন তিনি জীবনের
নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন। আইনজীবী একমাত্র মেয়ে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ
গর্ভধারিনী মাকেই গুলি করে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। প্রশাসনসহ প্রধানমন্ত্রীর
হস্তক্ষেপ চেয়েও অসহায় এই মা অধ্যাবধি সেটিও পাচ্ছেন না।
সাক্ষাতকার নিয়েছেন নয়া দিগন্তের স্টাফ রিপোর্টার শাহেদ মতিউর রহমান।
নয়া দিগন্তের সাথে একান্ত আলাপকালে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের মা জানিয়েছেন তার অসহায়ত্বের নানা কথা। তার অভিযোগ, দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি তার বাড়ির বাইরে। স্বামী মারা যাওয়ার মাত্র দুই সপ্তাহ পরেই মেয়ে তুরিন আফরোজ তাকে উত্তরার নিজ বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। নিজ বাড়িতে ফেরার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তুরিন আফরোজের ছোট ভাই কানাডা প্রবাসী শাহনেওয়াজ শিশিরও কথা বলেছেন নয়া দিগন্তের সাথে। কয়েকদিনের ছুটিতে সম্প্রতি দেশে এসেছেন তিনি। নয়া দিগন্তকে তিনি জানিয়েছেন, উত্তরার বাড়িটি তার মা ১৯৯৭ সালেই তার নামে হেবা দলিল করে দিয়েছেন। জমিসহ বাড়িটির সুমদয় খাজনা ও অন্যান্য ইউটিলিটি বিল তার তামেই পরিশোধ করা হচেছ নিয়মিত। কিন্তু এখন তার বোন তুরিন আফরোজ ভয়ভীতি দেখিয়ে জবর দখল করে নিতে চায়। তাদের মাকেও বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে তুরিন আফরোজ।
তুরিন আফরোজের মা জানান, তার ৬৫ শতাংশ কিডনি অকেজো। এ অবস্থায় বাড়ি ভাড়ার টাকাসহ চিকিৎসার টাকাও নিয়ে গেছেন তার মেয়ে। এখন তার প্রয়োজনীয় ওষুধ কেনার টাকাও পাচ্ছেন না।
শামসুন নাহার তসনিম বলেন, দুই বছর সময়েরও বেশি সময় ধরে আমি আমার বাসার বাইরে। আমার স্বামী মারা যাওয়ার আঠারো দিন পরে তুরিন আমাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। আমার দোষ তার (তুরিন আফরোজ) কিছু অনৈতিক আচরণের প্রতিবাদ করা। যেমন- আমাদের ভাড়াটিয়াদের থেকে সবসময় ভাড়ার টাকা আমিই নিতাম। আমার স্বামী অবসরে যাওয়ার পর থেকেই বাড়িভাড়ার টাকায় আমাদের সংসার, ওষুধ খরচ চলতো। এরপর ওর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে সে বাসা ভাড়ার টাকা জোর করে নিয়ে নেয়। অপরিচিত লোকদের রাত-বিরাতে ঘরে প্রবেশ নিয়ে দারোয়ান ও ভাড়াটিয়ারা অভিযোগ করলে তার সাথে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এসব বিষয়ে নিষেধ করলে ডিজিএফআই, র্যাব, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নামে ভয় দেখাতো এবং বলতো ওরা সবাই তার বন্ধু। কোনো কিছু বললেই ৫৭ ধারায় গ্রেফতার করার ভয় দেখাতো। এখন আমাকে গুলি করে হত্যা করতে চায় আমার মেয়ে।
তিনি আরো বলেন, গ্রামের বাড়ি নীলফামারীতেও আমি যেতে পারি না, সে সেখানে দায়িত্ব নিয়ে জমিজমা ও বাড়ি নিজের নামে কুক্ষীগত করেছে। প্রতিবাদ করলে প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম করেও হুমকি দেয়।
তিনি আরও বলেন, জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে ব্যর্থ হই। ভেবেছিলাম তিনি একজন মা। ওনার ঘরে এমন হলে উনি কী করতেন? আমরা জানি উনি অন্যায়-অবিচারকে প্রশ্রয় দেবেন না। আমি চাই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ। আমি মিডিয়ার মাধ্যমে ওনার (প্রধানমন্ত্রীর) সহযোগিতা কামনা করছি। আমার শরীর ভীষণ খারাপ। ৬৫ শতাংশ কিডনি অকেজো, সঙ্গে আবার ডায়াবেটিসও। ওষুধ কেনার পয়সা বাড়িভাড়া থেকে পেতাম সেটাও সে কেড়ে নিয়েছে। দেশে থাকার জায়গা নেই এখানে-সেখানে থেকে ঘুরে বেড়াই। আমি আমার দেশ ছেড়ে এ বয়সে কেন বিদেশে পড়ে থাকবো? এ দেশ আমার জন্মস্থান ও আমার ৪৮ বছরের সংসার। আমি তো এখানেই থাকতে চাই। আমি আমার সংসারে ফিরে যেতে চাই।
উল্লেখ্য, নিজের বাড়িতে ঢুকতে না পেরে আলোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন মা ও ভাই। মা শামসুন নাহার তসনিম ও ছোট ভাই শাহনেওয়াজ আহমেদ শিশিরকে বাড়িতে ঢুকতে না দেয়ায় গত ১৪ জুন তুরিনের বিরুদ্ধে এ জিডি করা হয়।
এর আগেও ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে থানায় জিডি (জিডি নম্বর- ১১৮৮) করেছিলেন তার মা। এছাড়া গত ১ জানুয়ারি ঢাকার প্রথম যুগ্ম জজ আদালতে বাড়ি দখলের অভিযোগে তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার ছোট ভাই শাহনেওয়াজ আহমেদ শিশির। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ২ মার্চ পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে মা শামসুন নাহার এবং অন্য ভাড়াটিয়াদের বাড়ি থেকে বের করে দেন তুরিন আফরোজ। নিজেকে বাড়ির মালিক দাবি করে তুরিন বাড়ি ও জমির দলিলপত্রও দখলে নেন।
এদিকে বাড়ি দখল এবং মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার বিষয়ে সোমবার সন্ধা সাড়ে ছয়টায় ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে ১৯ জুন হাইকোর্টে তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে মা এবং ভাইয়ের সাংবাদিক সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের টেলিফোনে তুরিন আফরোজ জানিয়েছিলেন, আমি গণমাধ্যমের কল্যাণে জানতে পেরেছি, আমার মা ও ভাই একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। সেখানে অনেক অভিযোগ এনেছে। আমার মা ও ভাই আমার পরিবারের অংশ। তাদের নিয়ে কোনো বিরূপ মন্তব্য করতে চাই না। বাড়ি নিয়ে যে অভিযোগ সেটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। এ বিষয়টি আদালতেই ফয়সালা হবে।’
সাক্ষাতকার নিয়েছেন নয়া দিগন্তের স্টাফ রিপোর্টার শাহেদ মতিউর রহমান।
নয়া দিগন্তের সাথে একান্ত আলাপকালে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের মা জানিয়েছেন তার অসহায়ত্বের নানা কথা। তার অভিযোগ, দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি তার বাড়ির বাইরে। স্বামী মারা যাওয়ার মাত্র দুই সপ্তাহ পরেই মেয়ে তুরিন আফরোজ তাকে উত্তরার নিজ বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। নিজ বাড়িতে ফেরার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তুরিন আফরোজের ছোট ভাই কানাডা প্রবাসী শাহনেওয়াজ শিশিরও কথা বলেছেন নয়া দিগন্তের সাথে। কয়েকদিনের ছুটিতে সম্প্রতি দেশে এসেছেন তিনি। নয়া দিগন্তকে তিনি জানিয়েছেন, উত্তরার বাড়িটি তার মা ১৯৯৭ সালেই তার নামে হেবা দলিল করে দিয়েছেন। জমিসহ বাড়িটির সুমদয় খাজনা ও অন্যান্য ইউটিলিটি বিল তার তামেই পরিশোধ করা হচেছ নিয়মিত। কিন্তু এখন তার বোন তুরিন আফরোজ ভয়ভীতি দেখিয়ে জবর দখল করে নিতে চায়। তাদের মাকেও বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে তুরিন আফরোজ।
তুরিন আফরোজের মা জানান, তার ৬৫ শতাংশ কিডনি অকেজো। এ অবস্থায় বাড়ি ভাড়ার টাকাসহ চিকিৎসার টাকাও নিয়ে গেছেন তার মেয়ে। এখন তার প্রয়োজনীয় ওষুধ কেনার টাকাও পাচ্ছেন না।
শামসুন নাহার তসনিম বলেন, দুই বছর সময়েরও বেশি সময় ধরে আমি আমার বাসার বাইরে। আমার স্বামী মারা যাওয়ার আঠারো দিন পরে তুরিন আমাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। আমার দোষ তার (তুরিন আফরোজ) কিছু অনৈতিক আচরণের প্রতিবাদ করা। যেমন- আমাদের ভাড়াটিয়াদের থেকে সবসময় ভাড়ার টাকা আমিই নিতাম। আমার স্বামী অবসরে যাওয়ার পর থেকেই বাড়িভাড়ার টাকায় আমাদের সংসার, ওষুধ খরচ চলতো। এরপর ওর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে সে বাসা ভাড়ার টাকা জোর করে নিয়ে নেয়। অপরিচিত লোকদের রাত-বিরাতে ঘরে প্রবেশ নিয়ে দারোয়ান ও ভাড়াটিয়ারা অভিযোগ করলে তার সাথে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এসব বিষয়ে নিষেধ করলে ডিজিএফআই, র্যাব, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নামে ভয় দেখাতো এবং বলতো ওরা সবাই তার বন্ধু। কোনো কিছু বললেই ৫৭ ধারায় গ্রেফতার করার ভয় দেখাতো। এখন আমাকে গুলি করে হত্যা করতে চায় আমার মেয়ে।
তিনি আরো বলেন, গ্রামের বাড়ি নীলফামারীতেও আমি যেতে পারি না, সে সেখানে দায়িত্ব নিয়ে জমিজমা ও বাড়ি নিজের নামে কুক্ষীগত করেছে। প্রতিবাদ করলে প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম করেও হুমকি দেয়।
তিনি আরও বলেন, জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে ব্যর্থ হই। ভেবেছিলাম তিনি একজন মা। ওনার ঘরে এমন হলে উনি কী করতেন? আমরা জানি উনি অন্যায়-অবিচারকে প্রশ্রয় দেবেন না। আমি চাই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ। আমি মিডিয়ার মাধ্যমে ওনার (প্রধানমন্ত্রীর) সহযোগিতা কামনা করছি। আমার শরীর ভীষণ খারাপ। ৬৫ শতাংশ কিডনি অকেজো, সঙ্গে আবার ডায়াবেটিসও। ওষুধ কেনার পয়সা বাড়িভাড়া থেকে পেতাম সেটাও সে কেড়ে নিয়েছে। দেশে থাকার জায়গা নেই এখানে-সেখানে থেকে ঘুরে বেড়াই। আমি আমার দেশ ছেড়ে এ বয়সে কেন বিদেশে পড়ে থাকবো? এ দেশ আমার জন্মস্থান ও আমার ৪৮ বছরের সংসার। আমি তো এখানেই থাকতে চাই। আমি আমার সংসারে ফিরে যেতে চাই।
উল্লেখ্য, নিজের বাড়িতে ঢুকতে না পেরে আলোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন মা ও ভাই। মা শামসুন নাহার তসনিম ও ছোট ভাই শাহনেওয়াজ আহমেদ শিশিরকে বাড়িতে ঢুকতে না দেয়ায় গত ১৪ জুন তুরিনের বিরুদ্ধে এ জিডি করা হয়।
এর আগেও ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে থানায় জিডি (জিডি নম্বর- ১১৮৮) করেছিলেন তার মা। এছাড়া গত ১ জানুয়ারি ঢাকার প্রথম যুগ্ম জজ আদালতে বাড়ি দখলের অভিযোগে তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার ছোট ভাই শাহনেওয়াজ আহমেদ শিশির। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ২ মার্চ পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে মা শামসুন নাহার এবং অন্য ভাড়াটিয়াদের বাড়ি থেকে বের করে দেন তুরিন আফরোজ। নিজেকে বাড়ির মালিক দাবি করে তুরিন বাড়ি ও জমির দলিলপত্রও দখলে নেন।
এদিকে বাড়ি দখল এবং মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার বিষয়ে সোমবার সন্ধা সাড়ে ছয়টায় ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে ১৯ জুন হাইকোর্টে তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে মা এবং ভাইয়ের সাংবাদিক সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের টেলিফোনে তুরিন আফরোজ জানিয়েছিলেন, আমি গণমাধ্যমের কল্যাণে জানতে পেরেছি, আমার মা ও ভাই একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। সেখানে অনেক অভিযোগ এনেছে। আমার মা ও ভাই আমার পরিবারের অংশ। তাদের নিয়ে কোনো বিরূপ মন্তব্য করতে চাই না। বাড়ি নিয়ে যে অভিযোগ সেটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। এ বিষয়টি আদালতেই ফয়সালা হবে।’
No comments