শীর্ষ কর্মকর্তার পদত্যাগে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তোলপাড় by কেএস কুমার
ভিরাল আচার্য |
মেয়াদ
শেষ হওয়ার ছয় মাস আগেই রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) ডেপুটি গভর্নর
ভিরাল আচার্য হঠাৎ পদত্যাগ করায় দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিয়ে
আবারও প্রশ্ন উঠেছে। গত কয়েক বছরে সরকারের সাথে মতভেদের কারণে আরও বেশ
কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পদত্যাগের ঘটনা দেখা গেছে।
আচার্য ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে আরবিআইয়ের ডেপুটি গভর্নর হিসেবে যোগ দেন। উরজিত প্যাটেল সে সময় গভর্নর ছিলেন। সে সময় আর্থিক নীতির দায়িত্বে ছিলেন আচার্য, যার অধীনস্থ ছিল সুদের হারসহ অন্যান্য বিষয় নির্ধারণের দায়িত্ব। ৪২ বছর বয়সে তিনি দেশের কণিষ্ঠতম ডেপুটি গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তিন বছর তার পদে থাকার কথা ছিল।
আরবিআই সোমবার তার পদত্যাগের খবর জানিয়েছে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ আগেই আচার্য সেটা জমা দিয়েছিলেন যদিও তিনি ২৩ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। আরবিআই-এ যোগদানের আগে আচার্য নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্টার্ন স্কুল অব বিজনেসের সিভি স্টার প্রফেসর ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটিতে আছেন তিনি এবং আবার সেখানে তিনি যোগ দিতে পারেন।
প্যাটেল যেহেতু স্বল্পভাষী ছিলেন, আচার্যই তাই আরবিআইয়ের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি ব্যাংকের অবস্থান তুলে ধরতেন। গত বছরের অক্টোবরে আচার্য আরবিআই ও সরকারের ভেতরকার মতভেদের বিষয়টি প্রকাশ করে বিতর্কের জন্ম দেন। এক অনুষ্ঠানে তিনি জোরালো বক্তৃতা করেন। তিনি বলেছিলেন যে, নরেন্দ্র মোদি সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতাকে সম্মান করছে না এবং এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।
ক্রিকেটের উদাহরণ টেনে তিনি সরকারের অর্থনৈতিক নীতিকে টি২০ ম্যাচের সাথে তুলনা করেছিলেন, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিকল্পনা ছিল দীর্ঘমেয়াদি, যেটাকে তিনি টেস্ট ম্যাচের সাথে তুলনা করেন। তার বক্তব্যে সরকারের ভেতরের অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়।
গত বছরের ডিসেম্বরে প্যাটেল যখন পদত্যাগ করেন, তখন শক্ত গুজব শোনা গিয়েছিল যে আচার্যের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে। তিনি টিকে ছিলেন কিন্তু নন-পার্ফর্মিং সম্পদ ও আধা-সক্রিয় ব্যাংকগুলো নিয়ে তিনি তার সমালোচনামূলক মত প্রকাশ অব্যাহত রাখেন।
৪ এপ্রিল আরবিআইয়ের আর্থিক নীতি বিষয়ক বৈঠকে আচার্য গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের রেট কাটের পরিকল্পনার বিরোধিতা করেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক শেষ পর্যন্ত ৪-২ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে রেট কাটছাট করে। আরেক সদস্য চেতন ঘাটেও এর বিরোধিতা করেছিলেন। এ বছর এই নিয়ে টানা তিন বার রেট কাটছাট করলো আরবিআই।
আচার্য ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে আরবিআইয়ের ডেপুটি গভর্নর হিসেবে যোগ দেন। উরজিত প্যাটেল সে সময় গভর্নর ছিলেন। সে সময় আর্থিক নীতির দায়িত্বে ছিলেন আচার্য, যার অধীনস্থ ছিল সুদের হারসহ অন্যান্য বিষয় নির্ধারণের দায়িত্ব। ৪২ বছর বয়সে তিনি দেশের কণিষ্ঠতম ডেপুটি গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তিন বছর তার পদে থাকার কথা ছিল।
আরবিআই সোমবার তার পদত্যাগের খবর জানিয়েছে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ আগেই আচার্য সেটা জমা দিয়েছিলেন যদিও তিনি ২৩ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। আরবিআই-এ যোগদানের আগে আচার্য নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্টার্ন স্কুল অব বিজনেসের সিভি স্টার প্রফেসর ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটিতে আছেন তিনি এবং আবার সেখানে তিনি যোগ দিতে পারেন।
প্যাটেল যেহেতু স্বল্পভাষী ছিলেন, আচার্যই তাই আরবিআইয়ের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি ব্যাংকের অবস্থান তুলে ধরতেন। গত বছরের অক্টোবরে আচার্য আরবিআই ও সরকারের ভেতরকার মতভেদের বিষয়টি প্রকাশ করে বিতর্কের জন্ম দেন। এক অনুষ্ঠানে তিনি জোরালো বক্তৃতা করেন। তিনি বলেছিলেন যে, নরেন্দ্র মোদি সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতাকে সম্মান করছে না এবং এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।
ক্রিকেটের উদাহরণ টেনে তিনি সরকারের অর্থনৈতিক নীতিকে টি২০ ম্যাচের সাথে তুলনা করেছিলেন, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিকল্পনা ছিল দীর্ঘমেয়াদি, যেটাকে তিনি টেস্ট ম্যাচের সাথে তুলনা করেন। তার বক্তব্যে সরকারের ভেতরের অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়।
গত বছরের ডিসেম্বরে প্যাটেল যখন পদত্যাগ করেন, তখন শক্ত গুজব শোনা গিয়েছিল যে আচার্যের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে। তিনি টিকে ছিলেন কিন্তু নন-পার্ফর্মিং সম্পদ ও আধা-সক্রিয় ব্যাংকগুলো নিয়ে তিনি তার সমালোচনামূলক মত প্রকাশ অব্যাহত রাখেন।
৪ এপ্রিল আরবিআইয়ের আর্থিক নীতি বিষয়ক বৈঠকে আচার্য গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের রেট কাটের পরিকল্পনার বিরোধিতা করেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক শেষ পর্যন্ত ৪-২ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে রেট কাটছাট করে। আরেক সদস্য চেতন ঘাটেও এর বিরোধিতা করেছিলেন। এ বছর এই নিয়ে টানা তিন বার রেট কাটছাট করলো আরবিআই।
No comments