প্রতিবছর ২০ লাখ মানুষ শ্রমবাজারে আসছে
দেশে
প্রতিবছর ২০ লাখ মানুষ শ্রমবাজারে আসে। ২০২৫ সাল নাগাদ এ সংখ্যা ৭ কোটি ৬০
লাখে উন্নীত হতে পারে। দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
এটা চাকরির বাজারে প্রবেশে বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং টেকসই
উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে বিশাল শ্রমশক্তিকে নতুন প্রযুক্তির
সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দক্ষতার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিকদের মৌলিক
অধিকার রক্ষায় তাদের মতামতের স্বাধীনতা, ন্যায্য মজুরি, কাজের উপযুক্ত
পরিবেশ, চাকরির নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দিকে মনোযোগ দেয়া উচিত। রাজধানীর
মহাখালীর কাদিরিয়া টাওয়ারে রোববার অনুষ্ঠিত ‘শোভন কাজ, উপযুক্ত কাজের
পরিবেশের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এ তথ্য তুলে
ধরা হয়। ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি আয়োজিত এ গোলটেবিল বৈঠকে এ
সংক্রান্ত উপস্থাপনা তুলে ধরেন ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির
আনুষ্ঠানিক খাতবিষয়ক প্রধান আহমেদ তানভির আনাম। ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন
কর্মসূচি আয়োজিত বৈঠকে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার
(আইএলও) প্রধান টেকনিক্যাল উপদেষ্টা (স্কিলস ২১) স্নেহাল সোনেজি,
জাতীয়
দক্ষতা উন্নয়ন পরিষদের উপপরিচালক নেপাল চন্দ্র কর্মকার, বাংলাদেশ সরকারের
স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইআইপি) বিশেষজ্ঞ ড. কবির
মিয়া। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির
অনানুষ্ঠানিক খাতবিষয়ক প্রধান ফারজানা কাশফি। স্নেহাল সোনেজি বলেন, শোভন
কাজ বাস্তবায়ন করতে হলে সরকার, নিয়োগকারী ও শ্রমিক- এ তিন পক্ষ একসঙ্গে
আলোচনায় বসতে হবে। কারণ এখানে যে কোনো একটি পক্ষ দ্বিমত প্রকাশ করলে এ কাজ
বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের শ্রমশক্তির প্রায় ৮৫ শতাংশ
অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত। এর মধ্যে ৫০-৬০ শতাংশ কৃষিতে নিয়োজিত। এছাড়া
অনানুষ্ঠানিক কাজে নারীদের অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে। তাই কাজের উপযুক্ত
পরিবেশের ক্ষেত্রে কৃষি ও নারী শ্রমজীবীদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেয়া
প্রয়োজন। নেপাল চন্দ্র কর্মকার বলেন, তরুণরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের দক্ষতা
উন্নয়নের পাশাপাশি কাজের উপযুক্ত পরিবেশ ও চাকরির নিরাপত্তা দিতে না পারলে
উৎপাদনশীলতা আসবে না। আর এতে আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি-৮) অর্জন
ব্যাহত হবে। ড. কবির মিয়া বলেন, চাকরিপ্রত্যাশী তরুণদের শুধু প্রশিক্ষণ
নয়, পাশাপাশি চাকরির সুযোগ সৃষ্টিতে আমাদের আরও বেশি করে মনোযোগ দিতে হবে।
No comments