২৭ স্কুলে হালাল গোশত বন্ধের পরিকল্পনা, কী করছে ছাত্ররা?
ইংল্যান্ডের
ল্যাংকাশায়ার কাউন্টির স্কুলে হালাল গোশত নিষিদ্ধ করার উদ্যোগে উদ্বেগ
প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা। তারা বলছেন, এতে
সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। অক্টোবরে ল্যাংকাশায়ার কাউন্টি
কাউন্সিল পরিচালিত ২৭টি স্কুলের ক্যান্টিনে হালাল গোশত সরবরাহ বন্ধের
পরিকল্পনা নেয়া হয়। তাদের এই পরিকল্পনার আইনি দিক পর্যালোচনা করছে কাউন্টির
মসজিদ কাউন্সিল।
তারা বলছে, কর্তৃপক্ষ এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে
মুসলিম নেতাদের সাথে পরামর্শ করেনি। একই সাথে বিষয়টি নিয়ে আদালতের শরনাপন্ন
হওয়ার হুমকি দিয়েছে ল্যাংকাশায়ার মসজিদ কাউন্সিল। মসজিদ কাউন্সিলের নেতারা
বলেছেন, আইনি সমস্যা দূর না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যাবে
না। গত অক্টোবরে গৃহীত কাউন্টি কাউন্সিলের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘এটি
মুসলিম সম্প্রাদয়ের খাদ্যের বিষয়ে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে স্বীকার করে ও
শ্রদ্ধা করে। কিন্তু অচেতন না করে জবাই করা প্রাণীদের প্রাণীদের
যন্ত্রণাদায়ক।’ প্রস্তাবে আরো বলা হয়েছে কাউন্টি কাউন্সিল পরিচালিত
স্কুলগুলোতে গোশত সরবরাহ করতে হলে পশুজবাইয়ের আগে অবশ্যই অজ্ঞান করতে হবে।
ল্যাংকাশায়ার মসজিদ কাউন্সিল মনে করছে, এই প্রস্তাব বাস্তাবায়ন হলে মুসলিম
শিক্ষার্থীদের জন্য হালাল গোশত সরবরাহ করা বন্ধ হয়ে যাবে। সংস্থাটির
ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী আবদুল হামিদ কোরেশি বলেছন, এর ফলে মুসলিম
শিক্ষার্থীরা হয়তো বাড়ি থেকে খাবার আনতে বাধ্য হবে যাতে স্কুলের শৃঙ্খলা
নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তিনি অভিযোগ করেন, মুসলিম ও ইহুদি কোনো সম্প্রাদয়ের
সাথেই পরামর্শ করা হয়নি আইনটি প্রবর্তনের আগে। উল্লেখ্য, মুসলিম ও ইহুদি
ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহর নামে যথাযথ পদ্ধতিতে জবাই করার ছাড়া পশুর গোশত খায়
না।
No comments