যুদ্ধ আসন্ন, প্রস্তুতি নিন -সেনাদের প্রতি মার্কিন জেনারেল
যুক্তরাষ্ট্রের
নৌ বাহিনীর কোর জেনারেল রবার্ট নেলার সেনাদের উদ্দেশ করে বলেছেন- যুদ্ধ
আসন্ন। নরওয়েতে অবস্থান করা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সতর্ক করে বৃহস্পতিবার এ
কথা বলেন তিনি। এ খবর দিয়েছে ফক্স নিউজ। তিনি বলেন, একটি যুদ্ধ ধেয়ে আসছে।
আমি চাই আমার এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হোক। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, আপনারা
সেখানে লড়াই-ই করছেন।
এ লড়াই তথ্যের লড়াই, রাজনীতির লড়াই। ভবিষ্যতে রাশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে কেন্দ্র করে মূল সংঘাত তৈরি হতে পারে। এ প্রসঙ্গে একই সুরে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সার্জেন্ট মেজর রোনাল্ড গ্রিন। তিনি সেনাদের উদ্দেশ্যে বলেন, খেয়াল রাখবেন, আপনারা কেন এখানে এসেছেন। তারা (বিরোধী পক্ষের সেনারা) আপনাদের নজরে রাখছে। যেমনটি আমরা তাদের ওপর রাখছি। বর্তমানে আপনারা ৩০০ সেনা এখানে অবস্থান করছেন। প্রয়োজন হলে এক রাতের মধ্যেই এই সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০০০ করা যাবে। উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের এমন মন্তব্যকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হচ্ছে। কারণ, এসব মন্তব্যের ঠিক একদিন পরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস দেশটির নর্থ ক্যারোলাইনার ফোর্ট ব্রাগ সেনা শিবিরের সেনাদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলে ‘ঝড়ো মেঘের’ আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। ম্যাটিসের এমন মন্তব্য ঠিক কি কারণে, তা এখনো অস্পষ্ট। সমপ্রতি একই সঙ্গে জেনারেল রবার্ট নেলার এবং সার্জেন্ট মেজর রোনাল্ড গ্রিনের নরওয়ে সফর যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো এবং রাশিয়ার মধ্যকার উত্তেজনা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের নরওয়েতে অবস্থান করতে দেবার সিদ্ধান্ত নেয়ার ফলে দেশটির সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের অবনতি হতে পারে- নরওয়েকে এমন সতর্কতা জানিয়েছে রাশিয়া। এ প্রসঙ্গে নরওয়ে অবশ্য সব সময় বলে আসছে যে, ন্যাটোর সঙ্গে বন্ধন সুদৃঢ় করতেই যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সে দেশে অবস্থান করতে দেয়া হচ্ছে। এর ফলে তারা শীতার্ত আবহাওয়ায় কিভাবে সামরিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায় সে সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। নরওয়ের এক সেনাশিবিরে অনুষ্ঠিত প্রশ্নোত্তর পর্বে নেলার বলেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে নজর সরিয়ে পূর্ব ইউরোপে কেন্দ্রীভূত করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এ ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন এবং জর্জিয়ার চলমান বিবাদের দিকে দৃষ্টিপাত করেন তিনি। তিনি নৌবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যে কোনো সময় একটি বড় রকমের সংঘাতের জন্যে প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। প্রসঙ্গত, সীমান্তের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা উপস্থিতিতে উদ্বেগে রয়েছে রাশিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এই প্রথম ২০১৬ সালে ভিনদেশের কোনো সেনাদলকে সে দেশে ঘাঁটি গাড়তে দিয়েছে নরওয়ে। এর প্রতিক্রিয়ায়, এ বছরের সেপ্টেম্বরে পার্শ্ববর্তী দেশ বেলারুশকে সঙ্গে নিয়ে একটি যৌথ সেনা মহড়া চালায় রাশিয়া। এতে ১২৭০০ সেনা অংশগ্রহণ করে। অন্যদিকে, সোমবার নিজের নতুন নিরাপত্তা কৌশল সম্পর্কিত ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রামপ রাশিয়া ও চীনকে নিজেদের প্রতিযোগী বলে উল্লেখ করেছেন।
এ লড়াই তথ্যের লড়াই, রাজনীতির লড়াই। ভবিষ্যতে রাশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে কেন্দ্র করে মূল সংঘাত তৈরি হতে পারে। এ প্রসঙ্গে একই সুরে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সার্জেন্ট মেজর রোনাল্ড গ্রিন। তিনি সেনাদের উদ্দেশ্যে বলেন, খেয়াল রাখবেন, আপনারা কেন এখানে এসেছেন। তারা (বিরোধী পক্ষের সেনারা) আপনাদের নজরে রাখছে। যেমনটি আমরা তাদের ওপর রাখছি। বর্তমানে আপনারা ৩০০ সেনা এখানে অবস্থান করছেন। প্রয়োজন হলে এক রাতের মধ্যেই এই সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০০০ করা যাবে। উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের এমন মন্তব্যকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হচ্ছে। কারণ, এসব মন্তব্যের ঠিক একদিন পরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস দেশটির নর্থ ক্যারোলাইনার ফোর্ট ব্রাগ সেনা শিবিরের সেনাদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলে ‘ঝড়ো মেঘের’ আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। ম্যাটিসের এমন মন্তব্য ঠিক কি কারণে, তা এখনো অস্পষ্ট। সমপ্রতি একই সঙ্গে জেনারেল রবার্ট নেলার এবং সার্জেন্ট মেজর রোনাল্ড গ্রিনের নরওয়ে সফর যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো এবং রাশিয়ার মধ্যকার উত্তেজনা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের নরওয়েতে অবস্থান করতে দেবার সিদ্ধান্ত নেয়ার ফলে দেশটির সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের অবনতি হতে পারে- নরওয়েকে এমন সতর্কতা জানিয়েছে রাশিয়া। এ প্রসঙ্গে নরওয়ে অবশ্য সব সময় বলে আসছে যে, ন্যাটোর সঙ্গে বন্ধন সুদৃঢ় করতেই যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সে দেশে অবস্থান করতে দেয়া হচ্ছে। এর ফলে তারা শীতার্ত আবহাওয়ায় কিভাবে সামরিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায় সে সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। নরওয়ের এক সেনাশিবিরে অনুষ্ঠিত প্রশ্নোত্তর পর্বে নেলার বলেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে নজর সরিয়ে পূর্ব ইউরোপে কেন্দ্রীভূত করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এ ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন এবং জর্জিয়ার চলমান বিবাদের দিকে দৃষ্টিপাত করেন তিনি। তিনি নৌবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যে কোনো সময় একটি বড় রকমের সংঘাতের জন্যে প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। প্রসঙ্গত, সীমান্তের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা উপস্থিতিতে উদ্বেগে রয়েছে রাশিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এই প্রথম ২০১৬ সালে ভিনদেশের কোনো সেনাদলকে সে দেশে ঘাঁটি গাড়তে দিয়েছে নরওয়ে। এর প্রতিক্রিয়ায়, এ বছরের সেপ্টেম্বরে পার্শ্ববর্তী দেশ বেলারুশকে সঙ্গে নিয়ে একটি যৌথ সেনা মহড়া চালায় রাশিয়া। এতে ১২৭০০ সেনা অংশগ্রহণ করে। অন্যদিকে, সোমবার নিজের নতুন নিরাপত্তা কৌশল সম্পর্কিত ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রামপ রাশিয়া ও চীনকে নিজেদের প্রতিযোগী বলে উল্লেখ করেছেন।
No comments