জীবনে প্রথম ৩ টাকা বৃত্তি পেয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী
‘শিক্ষাজীবনে
আট বছর বৃত্তি পেয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আর তার এ
শিক্ষা বৃত্তি শুরু হয়েছিল মাত্র ৩ টাকায়।’ গতকাল মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী
ইনডোর স্টেডিয়ামে ডাচ-বাংলা ব্যাংক ২০১৭ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায়
উত্তীর্ণদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে নিজের শিক্ষাজীবনের স্মৃতিচারণ করতে
গিয়ে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল
হকও বক্তব্য রাখেন। আইনমন্ত্রী বলেন, মেয়েদের ন্যূনতম স্নাতক পর্যন্ত
শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিন। ১৮ বছরের আগে তাদের বিয়ে দিয়ে ভবিষ্যৎ নষ্ট
করবেন না। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সময়ে নির্দিষ্ট বৃত্তি ছিল। টাকাও
তেমন ছিল না। যে টাকা দিত তা দিয়ে পুরো লেখাপড়ার খরচ হতো না। আমার ১৬ থেকে
১৭ বছরের শিক্ষাজীবনের শেষ আট বছর বৃত্তি পেয়েছি। বৃত্তির শুরু হয়েছিল ৩
টাকা দিয়ে। পরে ৪ টাকা, ৫ টাকা, ২০ টাকা ও সর্বশেষ ৪০ টাকা বৃত্তি পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে দুটো বিষয় ছিল। একটি মেধার স্বীকৃতি,
এটি অত্যন্ত বড় জিনিস; দ্বিতীয় বিষয়টি হলো আর্থিক সহায়তা। ডাচ-বাংলা ব্যাংক
আর্থিক বিষয়টি বেশি মূল্য দেয়। মাসিক আড়াই হাজার টাকা দেয়। এ অর্থ দিয়ে
যেকোনো একজন শিক্ষার্থী খরচ চালাতে পারে।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহ
মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত বলেছেন। আশরাফ মানে সর্বোত্তম। এই সর্বোত্তম
গুণের অধিকারী আমরা জন্ম থেকে হই না। রুচির বিকাশ করে, জ্ঞান আহরণ করে
আশরাফের সম্মান অর্জন করতে হয়। আশরাফুল মাখলুকাত নিজের চেষ্টায় হতে হয়।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ডাচ-বাংলা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের
চেয়ারম্যান এম শাহাবুদ্দিন আহমেদ, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম
মো: শিরিন প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল
হক বলেন, মেয়েদের ন্যূনতম স্নাতক পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিন। ১৮
বছরের আগে বিয়ে দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন না। আইনমন্ত্রী বলেন, সবার
জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য। সরকারের একার পক্ষে
এই বিশাল দায়িত্ব পালন করা দুরূহ। সে জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি
প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তিবিশেষকে এগিয়ে আসতে হবে।
No comments