অংশগ্রহণ না থাকায় বাজেট বাস্তবায়ন হয় না: আকবর আলি
তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেছেন, আমাদের দেশে যেভাবে বাজেট
তৈরি হচ্ছে, তাতে মন্ত্রী-এমপিদের কোনো ভূমিকা নেই। এমনকি এ প্রক্রিয়ায়
সংসদীয় স্থায়ী কমিটিরও কোনো ভূমিকা নেই। নতুন কোনো করারোপ করা হলে তা নিয়ে
অর্থ মন্ত্রণালয়ে পর্যন্ত কোনো আলোচনা হয় না। প্রধানমন্ত্রী কিছু নির্দেশনা
দেন, আর অর্থমন্ত্রী সেভাবে একটা বাজেট তৈরি করেন। জনপ্রতিনিধিদের অংশ
গ্রহণ না থাকায় বাজেট বাস্তবায়ন হয় না।
শনিবার রাজধানীর লেক শোর হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিড) আয়োজিত বাজেট সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ও অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কিমিটির সভাপতি ড. আবদুল রাজ্জাক। এতে সভাপতিত্ব করেন সিপিডি চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। আকবর আলি বলেন, আমি বড় বাজেটকে স্বাগত জানাই। কিন্তু বড় বাজেটের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন। অর্থায়নের চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৪/৫ বছর পর রিজার্ভেও ক্রাইসিস দেখা দিতে পারে। কারণ এখন যেভাবে বিদেশি ঋণ নেয়া হচ্ছে, এটা পরিশোধের সময় রিজার্ভের উপর চাপ পড়তে পারে। সুশাসনের অভাবকেও দায়ী করেন আকবর আলি।
ভ্যাটের সঙ্গে ব্যাংক হিসেবে আবগারি শুল্ক জনগণের উপর চাপ সৃষ্টি করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একদিকে ১৫ শতাংশ মূসক, অন্যদিকে ব্যাংক একাউন্টের উপরে আবগারি শুল্ক। এই দুটো কাজ একসঙ্গে করা একেবারেই ঠিক হয়নি। সরকারি ব্যাংকগুলো প্রতিবছর পুনঃঅর্থায়ন করে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয় বলে মত জানিয়ে এগুলোকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। আকবর আলি খান বলেন, বাজেট প্রণয়নে স্বচ্ছতা নেই। অনেক তথ্যই লুকানো হয়। কারণ অর্থমন্ত্রী নিজেও চান না নতুন কর আরোপের বিষয়ে আগে থেকে মানুষ জানুক। কর আরোপ ও অন্য বিষয়ে সংসদ ও অন্য ফোরামে খুব বেশি আলোচনা হয় না। আকবর আলি খান বলেন, সরকারের হিসাব মতে আমাদের দেশে ৪ শতাংশ মানুষ বেকার। যা প্রকৃত অর্থে অগ্রহণযোগ্য। কারণ বেকার সংখ্যার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে যারা যথাযথ কর্মসংস্থানের অভাবে অত্যন্ত নিম্নমানের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যা মূলত বেকারত্বের মতোই। এই সংখ্যা যদি যোগ করা হয় তাহলে বেকার সংখ্যা ৩২ থেকে ৩৫ শতাংশ হবে। দেশে বর্তমানে বেকার সমস্যা উদ্বেগের বিষয়।
শনিবার রাজধানীর লেক শোর হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিড) আয়োজিত বাজেট সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ও অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কিমিটির সভাপতি ড. আবদুল রাজ্জাক। এতে সভাপতিত্ব করেন সিপিডি চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। আকবর আলি বলেন, আমি বড় বাজেটকে স্বাগত জানাই। কিন্তু বড় বাজেটের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন। অর্থায়নের চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৪/৫ বছর পর রিজার্ভেও ক্রাইসিস দেখা দিতে পারে। কারণ এখন যেভাবে বিদেশি ঋণ নেয়া হচ্ছে, এটা পরিশোধের সময় রিজার্ভের উপর চাপ পড়তে পারে। সুশাসনের অভাবকেও দায়ী করেন আকবর আলি।
ভ্যাটের সঙ্গে ব্যাংক হিসেবে আবগারি শুল্ক জনগণের উপর চাপ সৃষ্টি করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একদিকে ১৫ শতাংশ মূসক, অন্যদিকে ব্যাংক একাউন্টের উপরে আবগারি শুল্ক। এই দুটো কাজ একসঙ্গে করা একেবারেই ঠিক হয়নি। সরকারি ব্যাংকগুলো প্রতিবছর পুনঃঅর্থায়ন করে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয় বলে মত জানিয়ে এগুলোকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। আকবর আলি খান বলেন, বাজেট প্রণয়নে স্বচ্ছতা নেই। অনেক তথ্যই লুকানো হয়। কারণ অর্থমন্ত্রী নিজেও চান না নতুন কর আরোপের বিষয়ে আগে থেকে মানুষ জানুক। কর আরোপ ও অন্য বিষয়ে সংসদ ও অন্য ফোরামে খুব বেশি আলোচনা হয় না। আকবর আলি খান বলেন, সরকারের হিসাব মতে আমাদের দেশে ৪ শতাংশ মানুষ বেকার। যা প্রকৃত অর্থে অগ্রহণযোগ্য। কারণ বেকার সংখ্যার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে যারা যথাযথ কর্মসংস্থানের অভাবে অত্যন্ত নিম্নমানের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যা মূলত বেকারত্বের মতোই। এই সংখ্যা যদি যোগ করা হয় তাহলে বেকার সংখ্যা ৩২ থেকে ৩৫ শতাংশ হবে। দেশে বর্তমানে বেকার সমস্যা উদ্বেগের বিষয়।
No comments