প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার: রাষ্ট্রদূত মোমেন
প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষা ও মৌলিক স্বাধীনতাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার একটি অগ্রাধিকার নীতি হিসেবে বিবেচনা করছে। তাদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। গত ১৫ জুন বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষা কমিটি অনুস্বাক্ষরকারী দেশসমূহের দশম সম্মেলন’ উপলক্ষে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, ‘প্রতিবন্ধীতাই দারিদ্র্য ও বৈষম্যের কারণ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা কমিটির (সিআরপিডি) অষ্টম অনুস্বাক্ষরকারী দেশ। তা ছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত বাংলাদেশ সংবিধানের নীতিমালার সঙ্গে সিআরপিডির নীতিমালা সামঞ্জস্যপূর্ণ।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার সিআরপিডি অনুস্বাক্ষর করা ছাড়াও প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক ব্যক্তিদের কল্যাণে “প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন ২০১৩” এবং “নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটি প্রোটেকশন ট্রাস্ট অ্যাক্ট ২০১৩ প্রণয়ন করেছে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অটিজম বিষয়ক উপদেষ্টা ও তাঁর কন্যা সায়মা হোসেন দেশের অটিজম ও অন্যান্য নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা ও কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন বলে স্থায়ী প্রতিনিধি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য বাংলাদেশ জাতিসংঘে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (এএসডি), ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅডার্রস (ডিডি) এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অক্ষমতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের আর্থসামাজিক চাহিদা সংবলিত রেজুলেশন উত্থাপন করে যা সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। প্রতি বছর বাংলাদেশ মিশন এপ্রিল মাসের ২ তারিখে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। উল্লেখ্য জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা কমিটি অনুস্বাক্ষরকারী দেশসমূহের ১০ম সম্মেলন গত ১৩ জুন শুরু হয়ে ১৫ জুন শেষ হয়। জাতিসংঘ ২০০৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা কনভেনশন এবং এর অপশনাল প্রটোকল গ্রহণ করে এবং এটি ২০০৮ সালের ৩ মে থেকে কার্যকর হয়।
No comments