রামপাল নিয়ে বিরাট ঝুঁকির মধ্যে আছি : সুলতানা কামাল
সুন্দবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, সুন্দরবনের পাশে রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে আমরা একটা বিরাট ঝুঁকির মধ্যে আছি। তিনি বলেন, রামপাল প্রকল্পটির ব্যাপারে জনমতকে পাত্তা না দিয়ে এগিয়ে নেয়া হলে একসময়ে কাছে আমরা সুন্দরবনের ক্ষতির জন্য দায়ী থাকব। সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়াটিভ ও ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্টের যৌথ উদ্যোগে আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি হল কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল একথা বলেন। ‘‘পারদের নিঃসরণ, বায়ুমন্ডলে সঞ্চয়ন ও প্রতিবেশ দূষণঃ সুন্দরবনের জীব ভৌগলিক বলয়ে রামপাল থেকে নির্গত পারদের প্রভাব’’ শীর্ষক আর্ন্তজাতিক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তিনি আরো বলেন, পাহাড়ের জীব-বৈচিত্র রক্ষায় একসময় পারিবেশবাদিরা যে পরামর্শ দিয়েছিলেন তাকে তখনও ভিত্তিহীন বলা হয়েছিল। আজ আমরা যারা বলছি রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের জন্য ক্ষতি হবে-তাকেও ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করা হচ্ছে। এভাবে ভিত্তিহীন বলার পর যখন রামপালের কারণে ধীরে ধীরে সুন্দরবন উধাও হয়ে যাবে তখনতো তারাও থাকবেন না, আমরাও থাকব না। সেদিন কেউ আমাদের ধরতে পারবে না।
কিন্তু ইতিহাসে আমরা দোষী হয়ে থাকব। বলা হবে এরা এই সুন্দরবন ধবংস করে দিয়ে গেছে। তবে ক্ষমতায় থেকে যারা নিজেদের ক্ষমতাবান মনে করে তারাতো সব কিছুকে ভিত্তিহীন বলতে পারে। তিনি সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে জানতে চান, তারা কোন ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলা হচ্ছে। যারা ক্ষমতার দম্ভে সব কিছুকে ভিত্তিহীন বলে সেটাও কিন্তু দুনীতির মধ্যে পরে। স্কাইপির মাধ্যমে ‘‘মার্কারী দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব’’ বিষয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরেন অধ্যাপক চার্লেস ড্রিজকল (Prof. Charles Driscoll of Syracuse University, NY, USA)। গবেষকদের পক্ষে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম। এরপর আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ও বারডেম হাসপাতাল এর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুন নাহার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি-পরিবেশ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন।
No comments