সিঙ্গাপুর যেতে অভিবাসন ব্যয় ৮ লাখ টাকা হলেও তালিকায় নেই by মনির হোসেন
দেরিতে
হলেও জনশক্তি রফতানিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকার অভিবাসন
ব্যয় নির্ধারণ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে বিদেশে পুরুষ কর্মী
রফতানিতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সার্ভিস চার্জ, বিমান ভাড়া, পাসপোর্ট,
স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভিসা ফি ও অন্যান্য খরচসহ অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করার
সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো: আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা গেছে। তবে এ ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়নি।
অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণের ওই আদেশের কপিটি জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালকের মাধ্যমে সহস্রাধিক রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকের কাছেও অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে ও জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে চিঠিতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয়ের অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হলে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন ২০১৩ অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে চিঠিতে যেসব দেশের অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দেশ সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশের নাম রহস্যজনক কারণে উল্লেখ করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে এসব দেশে শ্রমিক যেতে এখনো ৮-৯ লাখ টাকা অভিবাসন ব্যয় আদায় করা হচ্ছে, যা একেবারেই অমানবিক বলে জনশক্তি রফতানিকারক ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব স্বাক্ষরিত অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণী চিঠিতে মালয়েশিয়ায় নির্মাণ বা কারখানা শ্রমিকের জন্য এক লাখ ৬০ হাজার টাকা আর কৃষি শ্রমিকের জন্য এক লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। লিবিয়ায় এক লাখ ৪৫ হাজার ৭৮০ টাকা, বাহরাইনে ৯৭ হাজার ৭৮০ টাকা, সংযুক্ত আরব আমিরাতে এক লাখ ৭ হাজার ৭৮০ টাকা, কুয়েতের জন্য এক লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা, সালতানা অব ওমানের জন্য এক লাখ ৭৮০ টাকা, ইরাকের জন্য এক লাখ ২৯ হাজার ৫৪০ টাকা, কাতারের জন্য এক লাখ ৭৮০ টাকা, জর্দানের জন্য এক লাখ ২ হাজার ৭৮০ টাকা, মিসরের জন্য এক লাখ ২০ হাজার ৮০ টাকা, রাশিয়া এক লাখ ৬৬ হাজার ৬৪০ টাকা, মালদ্বীপ এক লাখ ১৫ হাজার ৭৮০ টাকা, ব্রুনাই এর জন্য এক লাখ ২০ হাজার ৭৮০ টাকা এবং লেবাননের জন্য এক লাখ ১৭ হাজার ৭৮০ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হযেছে।
অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, তবে জি টু জি প্লাস প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের লক্ষ্যে নির্মাণ বা কারখানা শ্রমিকের জন্য এক লাখ ৬০ হাজার ও কৃষি শ্রমিকের জন্য এক লাখ ৪০ হাজার টাকা অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করার বিষয়টি এমওইউর অনুচ্ছেদ ৯ অনুযায়ী জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের পরবর্তী সভার মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনাসাপেক্ষে চূড়ান্ত করা হবে।
চিঠির শর্তাবলিতে বলা হয়েছে, কর্মীর কাছ থেকে সার্ভিস চার্জসহ সব অর্থই চেক বা ব্যাংক ড্রাফট বা পে অর্ডারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির অফিসিয়াল ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গ্রহণ করতে হবে এবং চেক ব্যাংক ড্রাফট গ্রহণের সময় কর্মীকে প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ প্রদান করতে হবে। এ ছাড়া বহির্গমন ছাড়পত্র গ্রহণের সময় ওই অর্থ গ্রহণের বিবরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে দাখিল করতে হবে।
গতকাল প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো: আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীরের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে নাম না জানিয়ে বলেন, এমন একটি চিঠি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইস্যু হয়েছে বলে শুনেছি। তবে বিস্তারিত জানাতে পারব রোববার অফিস খোলার পরই।
এ দিকে জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রার কার্যনির্বাহী কমিটির একাধিক সদস্য নয়া দিগন্তকে জানান, মন্ত্রণালয়ের তালিকায় যে ১৪টি দেশের অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ায় তো কর্মী যাওয়া বন্ধ রয়েছে। আর ইরাকে ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিক পাঠানো হচ্ছে। কারণ দেশটির রাজধানী বাগদাদেই দফায় দফায় বোমা হামলার ঘটনা ঘটছে। রাশিয়ায় এখনো শ্রমিক রফতানি শুরু হয়নি। মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ ধনী দেশ কাতারের শ্রমবাজারের অবস্থা হঠাৎ খারাপ হয়ে গেছে। শ্রমিকেরা এখন সেখানে আতঙ্কের মধ্যে আছেন। আর সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫ বছর ধরে শ্রমিক যাচ্ছে না। তবে মহিলা কর্মী যাচ্ছে। ওমান ও বাহরাইনে শ্রমিক গেলেও তারা সমস্যায় জর্জরিত। দূতাবাসের লেবার উইংয়ের গাফিলতির কারণে সম্ভবনাময় মিসরে জনশক্তি রফতানি দুই বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে। আর দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে শ্রমিক গেলেও তাদের অনেকেই ঠিকমতো বেতনভাতা না পাওয়ার অভিযোগ আছে। অথচ যে দু’টি দেশে সবচেয়ে শ্রমিক বেশি যাচ্ছে ওই দু’টি দেশের নাম অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণী তালিকার মধ্যে নেই। এর মধ্যে সৌদি আরব ও অপরটি উন্নত রাষ্ট্র সিঙ্গাপুর। অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে এই দু’টি দেশে পাড়ি দেয়া শ্রমিকদের কাছ থেকে অভিবাসন ব্যয় বেশি আদায় করছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। এর মধ্যে সৌদি আরবে ৫-৬ লাখ টাকা আর সিঙ্গাপুরে একজন শ্রমিক যেতে এখনো ৭-৮ লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে সিঙ্গাপুরগামী শ্রমিকদের ট্রেনিং নিতেই নাকি সাড়ে ৪ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। জানা গেছে, আগেই সৌদি আরবের অভিবাসন ব্যয় ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেটি এখনো ঠিক আছে কি না তা নতুন এ তালিকায় উল্লেখ নেই।
সরকারের অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মানছেন কি না তা মনিটরিং করার দায়িত্ব প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গঠিত টাস্কফোর্সের দলের। তবে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার আগে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের (মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) টাস্কফোর্স উইংয়ের প্রধান যুগ্মসচিব মো: শাহ নেওয়াজের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি টেলিফোন ধরেননি।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো: আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা গেছে। তবে এ ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়নি।
অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণের ওই আদেশের কপিটি জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালকের মাধ্যমে সহস্রাধিক রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকের কাছেও অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে ও জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে চিঠিতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয়ের অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হলে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন ২০১৩ অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে চিঠিতে যেসব দেশের অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দেশ সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশের নাম রহস্যজনক কারণে উল্লেখ করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে এসব দেশে শ্রমিক যেতে এখনো ৮-৯ লাখ টাকা অভিবাসন ব্যয় আদায় করা হচ্ছে, যা একেবারেই অমানবিক বলে জনশক্তি রফতানিকারক ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব স্বাক্ষরিত অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণী চিঠিতে মালয়েশিয়ায় নির্মাণ বা কারখানা শ্রমিকের জন্য এক লাখ ৬০ হাজার টাকা আর কৃষি শ্রমিকের জন্য এক লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। লিবিয়ায় এক লাখ ৪৫ হাজার ৭৮০ টাকা, বাহরাইনে ৯৭ হাজার ৭৮০ টাকা, সংযুক্ত আরব আমিরাতে এক লাখ ৭ হাজার ৭৮০ টাকা, কুয়েতের জন্য এক লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা, সালতানা অব ওমানের জন্য এক লাখ ৭৮০ টাকা, ইরাকের জন্য এক লাখ ২৯ হাজার ৫৪০ টাকা, কাতারের জন্য এক লাখ ৭৮০ টাকা, জর্দানের জন্য এক লাখ ২ হাজার ৭৮০ টাকা, মিসরের জন্য এক লাখ ২০ হাজার ৮০ টাকা, রাশিয়া এক লাখ ৬৬ হাজার ৬৪০ টাকা, মালদ্বীপ এক লাখ ১৫ হাজার ৭৮০ টাকা, ব্রুনাই এর জন্য এক লাখ ২০ হাজার ৭৮০ টাকা এবং লেবাননের জন্য এক লাখ ১৭ হাজার ৭৮০ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হযেছে।
অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, তবে জি টু জি প্লাস প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের লক্ষ্যে নির্মাণ বা কারখানা শ্রমিকের জন্য এক লাখ ৬০ হাজার ও কৃষি শ্রমিকের জন্য এক লাখ ৪০ হাজার টাকা অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করার বিষয়টি এমওইউর অনুচ্ছেদ ৯ অনুযায়ী জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের পরবর্তী সভার মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনাসাপেক্ষে চূড়ান্ত করা হবে।
চিঠির শর্তাবলিতে বলা হয়েছে, কর্মীর কাছ থেকে সার্ভিস চার্জসহ সব অর্থই চেক বা ব্যাংক ড্রাফট বা পে অর্ডারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির অফিসিয়াল ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গ্রহণ করতে হবে এবং চেক ব্যাংক ড্রাফট গ্রহণের সময় কর্মীকে প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ প্রদান করতে হবে। এ ছাড়া বহির্গমন ছাড়পত্র গ্রহণের সময় ওই অর্থ গ্রহণের বিবরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে দাখিল করতে হবে।
গতকাল প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো: আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীরের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে নাম না জানিয়ে বলেন, এমন একটি চিঠি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইস্যু হয়েছে বলে শুনেছি। তবে বিস্তারিত জানাতে পারব রোববার অফিস খোলার পরই।
এ দিকে জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রার কার্যনির্বাহী কমিটির একাধিক সদস্য নয়া দিগন্তকে জানান, মন্ত্রণালয়ের তালিকায় যে ১৪টি দেশের অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ায় তো কর্মী যাওয়া বন্ধ রয়েছে। আর ইরাকে ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিক পাঠানো হচ্ছে। কারণ দেশটির রাজধানী বাগদাদেই দফায় দফায় বোমা হামলার ঘটনা ঘটছে। রাশিয়ায় এখনো শ্রমিক রফতানি শুরু হয়নি। মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ ধনী দেশ কাতারের শ্রমবাজারের অবস্থা হঠাৎ খারাপ হয়ে গেছে। শ্রমিকেরা এখন সেখানে আতঙ্কের মধ্যে আছেন। আর সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫ বছর ধরে শ্রমিক যাচ্ছে না। তবে মহিলা কর্মী যাচ্ছে। ওমান ও বাহরাইনে শ্রমিক গেলেও তারা সমস্যায় জর্জরিত। দূতাবাসের লেবার উইংয়ের গাফিলতির কারণে সম্ভবনাময় মিসরে জনশক্তি রফতানি দুই বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে। আর দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে শ্রমিক গেলেও তাদের অনেকেই ঠিকমতো বেতনভাতা না পাওয়ার অভিযোগ আছে। অথচ যে দু’টি দেশে সবচেয়ে শ্রমিক বেশি যাচ্ছে ওই দু’টি দেশের নাম অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণী তালিকার মধ্যে নেই। এর মধ্যে সৌদি আরব ও অপরটি উন্নত রাষ্ট্র সিঙ্গাপুর। অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে এই দু’টি দেশে পাড়ি দেয়া শ্রমিকদের কাছ থেকে অভিবাসন ব্যয় বেশি আদায় করছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। এর মধ্যে সৌদি আরবে ৫-৬ লাখ টাকা আর সিঙ্গাপুরে একজন শ্রমিক যেতে এখনো ৭-৮ লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে সিঙ্গাপুরগামী শ্রমিকদের ট্রেনিং নিতেই নাকি সাড়ে ৪ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। জানা গেছে, আগেই সৌদি আরবের অভিবাসন ব্যয় ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেটি এখনো ঠিক আছে কি না তা নতুন এ তালিকায় উল্লেখ নেই।
সরকারের অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মানছেন কি না তা মনিটরিং করার দায়িত্ব প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গঠিত টাস্কফোর্সের দলের। তবে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার আগে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের (মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) টাস্কফোর্স উইংয়ের প্রধান যুগ্মসচিব মো: শাহ নেওয়াজের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি টেলিফোন ধরেননি।
No comments