ফ্ল্যাটের দাম বাড়াবে রডের নতুন দর
প্রথম আলো: রডের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের ফলে কী প্রভাব পড়তে পারে?
মানোয়ার হোসেন: ভ্যাট আরোপের কারণে রড সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। রডের ব্যবহার ব্যাপক হারে কমবে। গ্রাম-বাংলার উন্নয়ন থমকে যাবে। সরকারের প্রকল্প ব্যয় বাড়বে। শহরাঞ্চলে ফ্ল্যাটের দাম বেড়ে যাবে। ভ্যাট আরোপের ফলে রডের দাম প্রতি টনে ৭ হাজার ৮০০ টাকা বাড়বে। তার সঙ্গে গ্যাস-বিদ্যুতের বাড়তি দাম যোগ করলে সব মিলিয়ে প্রতি টন রডের দাম বর্তমানের চেয়ে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে।
প্রথম আলো: ভ্যাটের বিষয়ে রড ব্যবসায়ীরা কতটা প্রস্তুত?
মানোয়ার হোসেন: ২৭ বছর আগে ভ্যাট আইন কার্যকর করা হয়। বড় প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরও আমাদের ভ্যাট হিসাব-নিকাশ করতে এখনো ভুল হয়। ফলে আপনি যদি ভাবেন, সবাই প্রস্তুত হয়ে গেছে, সেটি ভুল। কাঠামোগতভাবে কেউ প্রস্তুত নয়। তা ছাড়া ভ্যাট সংগ্রাহকদের তো একটা অপবাদ আছে। আমাদের পর্যায়ে যদি হয়রানি হয়, তাহলে নিচের পর্যায়ে কী হতে পারে, সেটি একবার ভাবুন। সব মিলিয়ে পদ্ধতিটা এত তড়িঘড়ি করে দেওয়াটা ঠিক হচ্ছে না। ১০টি দোকানের মধ্যে আটটা হয়তো ভ্যাট দেবে না। যে দুইটা দেবে, এনবিআরের কর্মকর্তাসহ সবাই তাকে জ্বালাবে।
প্রথম আলো: রডের ওপর ভ্যাট কার্যকরে ব্যবসায়ীরা কি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন?
মানোয়ার হোসেন: অবশ্যই। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সবচেয়ে বেশি হবেন খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অনেকের অবস্থা দিন এনে দিন খাওয়ার মতো। তাঁদের রেয়াত নিতে সমস্যা হবে। তাই আমরা চাই, যাঁরা উৎপাদক পর্যায়ে ভ্যাট দিয়ে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই ভ্যাট থাকুক। সরকার একটা বার্তা দিতে পারে যে সবার জন্য ভ্যাট আসছে। সেটি হলে ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতির জন্য এক, দুই বা তিন বছর সময় পাবে। আমি বুঝতে পারছি না, ভ্যাট কেন নিম্ন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। রড, সিমেন্ট কিংবা চানাচুর—যে পণ্যের কথাই বলেন না কেন, সবাই কিন্তু সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে (এমআরপি) পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে। কক্সবাজারে যে দামে পণ্য পাচ্ছেন, সেই দামেই রাজশাহীতে পাওয়া যাচ্ছে। ফলে ভ্যাট সংগ্রহ এত জটিল না করে উৎপাদক পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া যায়। আমরাই পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীর ভ্যাট দিয়ে দিলাম। আমরা কেন সব মানুষের কান ধরে টানব?
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন: শুভংকর কর্মকার
মানোয়ার হোসেন: ভ্যাট আরোপের কারণে রড সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। রডের ব্যবহার ব্যাপক হারে কমবে। গ্রাম-বাংলার উন্নয়ন থমকে যাবে। সরকারের প্রকল্প ব্যয় বাড়বে। শহরাঞ্চলে ফ্ল্যাটের দাম বেড়ে যাবে। ভ্যাট আরোপের ফলে রডের দাম প্রতি টনে ৭ হাজার ৮০০ টাকা বাড়বে। তার সঙ্গে গ্যাস-বিদ্যুতের বাড়তি দাম যোগ করলে সব মিলিয়ে প্রতি টন রডের দাম বর্তমানের চেয়ে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে।
প্রথম আলো: ভ্যাটের বিষয়ে রড ব্যবসায়ীরা কতটা প্রস্তুত?
মানোয়ার হোসেন: ২৭ বছর আগে ভ্যাট আইন কার্যকর করা হয়। বড় প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরও আমাদের ভ্যাট হিসাব-নিকাশ করতে এখনো ভুল হয়। ফলে আপনি যদি ভাবেন, সবাই প্রস্তুত হয়ে গেছে, সেটি ভুল। কাঠামোগতভাবে কেউ প্রস্তুত নয়। তা ছাড়া ভ্যাট সংগ্রাহকদের তো একটা অপবাদ আছে। আমাদের পর্যায়ে যদি হয়রানি হয়, তাহলে নিচের পর্যায়ে কী হতে পারে, সেটি একবার ভাবুন। সব মিলিয়ে পদ্ধতিটা এত তড়িঘড়ি করে দেওয়াটা ঠিক হচ্ছে না। ১০টি দোকানের মধ্যে আটটা হয়তো ভ্যাট দেবে না। যে দুইটা দেবে, এনবিআরের কর্মকর্তাসহ সবাই তাকে জ্বালাবে।
প্রথম আলো: রডের ওপর ভ্যাট কার্যকরে ব্যবসায়ীরা কি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন?
মানোয়ার হোসেন: অবশ্যই। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সবচেয়ে বেশি হবেন খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অনেকের অবস্থা দিন এনে দিন খাওয়ার মতো। তাঁদের রেয়াত নিতে সমস্যা হবে। তাই আমরা চাই, যাঁরা উৎপাদক পর্যায়ে ভ্যাট দিয়ে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই ভ্যাট থাকুক। সরকার একটা বার্তা দিতে পারে যে সবার জন্য ভ্যাট আসছে। সেটি হলে ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতির জন্য এক, দুই বা তিন বছর সময় পাবে। আমি বুঝতে পারছি না, ভ্যাট কেন নিম্ন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। রড, সিমেন্ট কিংবা চানাচুর—যে পণ্যের কথাই বলেন না কেন, সবাই কিন্তু সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে (এমআরপি) পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে। কক্সবাজারে যে দামে পণ্য পাচ্ছেন, সেই দামেই রাজশাহীতে পাওয়া যাচ্ছে। ফলে ভ্যাট সংগ্রহ এত জটিল না করে উৎপাদক পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া যায়। আমরাই পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীর ভ্যাট দিয়ে দিলাম। আমরা কেন সব মানুষের কান ধরে টানব?
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন: শুভংকর কর্মকার
No comments