মার্কিন জঙ্গিবিমান বিক্রিকে কাতার দেখছে 'গভীর সমর্থন' হিসেবে
কাতারের সঙ্গে ১২ বিলিয়ন ডলারের সামরিক চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রতি 'গভীর সমর্থন' জানিয়েছে বলে মনে করে দোহা। বৃহস্পতিবার দেশটির এক কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য জানায় ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তিনি বলেন, 'কাতারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে এবং এটা রাজনৈতিক কারণে সহজে প্রভাবিত হয় না। গত সপ্তাহে সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সেৌদি আরবসহ আট দেশ। মধ্যপ্রাচ্যের এই কূটনৈতিক সংকট সমাধানে এগিয়ে এসেছে কুয়েত, তুরস্কসহ কয়েকটি দেশ। কাতার বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রথম পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো পক্ষ নেয়নি। কারণ সেৌদি আরব ও কাতার দুই দেশই তাদের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। এর মাঝেই কাতারের সঙ্গে ১২ বিলিয়ন ডলারের সামরিক চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তিমতে এই অর্থের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৩৬টি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান পাবে কাতার। কাতারের ওই কর্মকর্তা দাবি করেন, এটাই প্রমাণ করে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে রয়েছে এবং এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস ও কাতারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালিদ আল আতিয়াহ অস্ত্রচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। আইএসের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন সেনাঘঁাটিই কাতারে অবস্থিত। এখান থেকেই ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তানসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। এখানে ১১ হাজারেরও বেশি মার্কিন সেনা অবস্থান করেন। যেৌথ মহড়ার অংশ হিসেবে বুধবার কাতারের হামাদ বন্দরে দুটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজও এসে পৌঁছেছে। এদিকে কাতারের সঙ্গে প্রতিবেশী রাজতানি্ত্রক দেশগুলোর এই বিরোধ নিরসনে এগিয়ে এসেছে তুরস্ক। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগ্লু বলেছেন, এই কূটনৈতিক সংকট অব্যাহত রাখতে চায় না কাতারি কর্তৃপক্ষ। সংকট নিরসনে তিনি কুয়েতে সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কুয়েত থেকে আংকারায় ফিরে কাভুসোগ্লু বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও অবরোধ দিয়ে সংকটের সমাধান হবে না। কাতার চায় তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের প্রমাণ হাজির করা হোক। তিনি বলেন, তুরস্ক মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে না।
No comments