তেরেসার জনপ্রিয়তায় ধস, করবিনের তুঙ্গে
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে'র জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। অন্যদিকে বিরোধীদলীয় নেতা জেরেমি করবিনের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। জরিপ সংস্থা ইউগভের করা সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত করবিনের চেয়ে জনপ্রিয়তায় সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন তেরেসা। অথচ নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর সময় করবিনের চেয়ে প্রায় ২০ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। খবর দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের। ইউগভের জরিপে দেখা গেছে, সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা এখন মাইনাস ৩৪। অথচ এপ্রিলে তা ছিল ১০ পয়েন্ট ইতিবাচক। গত বছরের নভেম্বরে লেবার পার্টির নেতা করবিনের জনপ্রিয়তা ছিল ৩৪ শতাংশ নেতিবাচক। জনপ্রিয়তার দিক থেকে এখন পর্যন্ত নিজের সর্বোচ্চ ইতিবাচক অবস্থানে পৌঁছেছেন তিনি। এপ্রিলের শেষ দিকে তাকে ৪২ শতাংশ মানুষ অপছন্দ করতেন। জরিপে দেখা গেছে, এখন ৪৬ শতাংশ মানুষ করবিনকে পছন্দ করছেন। আবার ৪৬ শতাংশ মানুষ তাকে অপছন্দ করেন। ফলে তার গড় জনপ্রিয়তা ০। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর মাইনাস ৩৪। জরিপে অংশগ্রহণকারী কনজারভেটিভ দলের সমর্থকদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ মানুষ তেরেসাকে পছন্দ করেন।
যেখানে গত এপ্রিলে ওই হার ছিল ৮৫ শতাংশ। অন্যদিকে লেবার পার্টির জনপ্রিয়তা মাইনাস ২৫ থেকে বেড়ে ইতিবাচক ৫ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে। যেখানে কনজারভেটিভ পার্টির জনপ্রিয়তা মাইনাস ২১ পয়েন্ট। দ্য টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী তেরেসার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে ভয়াবহ সপ্তাহ শেষে লেবার নেতার জনপ্রিয়তার পারদ এখন ঊর্ধ্বমুখী। জাতীয় নির্বাচনে অপ্রত্যাশিতভাবে আসন হারিয়ে তেরেসার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। অথচ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আগাম নির্বাচনের ডাক দিয়েছিলেন। ২২ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে কনজারভেটিভ দল নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেও নির্বাচনের আগের দিন লেবার পার্টির সঙ্গে ব্যবধান নেমে আসে দাঁড়ায় মাত্র ২ পয়েন্টে। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় আসন থেকে ১৩টি আসন কম পান তেরেসা। তিনি এখন উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডিইউপির ওপর নির্ভর করে সরকার গড়ছেন।
No comments