মার্কিন বিমান বাহিনী পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম মিনিটম্যান-৩ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএম’য়ের পরীক্ষা করেছে। সাত দিনের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয় দফা একই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হলো। একই ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর কোরিয়া তৈরির চেষ্টা করছে এবং এ নিয়ে আমেরিকার সাথে টানাপড়েন যখন তুঙ্গে তখন দ্বিতীয় দফা এ পরীক্ষা চালানো হলো। ক্যালিফোর্নিয়ার ভেন্ডেনবার্গ বিমানঘাঁটি থেকে এটি ছোঁড়া হয়। লস আঞ্জেলেসের ১৩০ উত্তরপশ্চিমে এ ঘাঁটি অবস্থিত। ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু ছিল আটলান্টিক মহাসাগরের মার্শাল দ্বীপের ওয়াজালেইন অ্যাটল। এটি ভেন্ডেনবার্গ বিমানঘাঁটি থেকে সাড়ে ছয় হাজার কিলোমিটার বা ৪,২০০ মাইল দূরে অবস্থিত।
এক সপ্তাহ আগে যে পরীক্ষা করা হয়েছিল এটি তারই মতো ছিল। পেন্টাগন দাবি করেছে, কয়েক মাস আগেই এ পরীক্ষার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। পেন্টাগনের অস্ত্রভাণ্ডারে সাড়ে চারশ’ মিনিটিম্যান ক্ষেপণাস্ত্র আছে। মার্কিন বিমান বাহিনী বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রের কার্যকারিতা, প্রস্তুতি এবং নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানার সক্ষমতা যাচাইয়ে এ ধরণের পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। পরমাণু সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য নিয়মিত এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে হয়। এদিকে, গত সপ্তাহে পরীক্ষা চালানোর পর প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে পড়ে ওয়াশিংটন। পিয়ংইয়ংয়ের সাথে যখন টানাপড়েন চলছে তখন এ রকম পরীক্ষাকে ওয়াশিংটনের দ্বিমুখী নীতি হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, একদিকে ওয়াশিংটন নিজের পরীক্ষাকে ন্যায়সঙ্গত এবং উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষাকে হুমকি হিসেবে প্রমাণ করতে চাচ্ছে।
No comments