নতুন ধারার সরকার করতে চায় বিএনপি
ক্ষমতায় গেলে নতুন ধারার রাজনীতি ও সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। দলটির সেই পরিকল্পনা কোন পথে অর্জিত হবে, শিগগিরই তার বিস্তারিত জনসমক্ষে তুলে ধরবেন বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া। গণতন্ত্র, সুশাসন ও উন্নয়নকে মূল পথ ধরে ‘ভিশন-২০৩০’ শিরোনামে রচিত বিএনপির নির্বাচন-পূর্ব প্রাথমিক এই ‘ইশতেহার’ আগামী ১০ মে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরা হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। ‘ভিশন-২০৩০’ নিয়ে দেড় বছর ধরে কাজ করছে বিএনপি। গত বছরের ১৯ মার্চ দলের ষষ্ঠ কাউন্সিলে প্রথমবারের মতো দলের এই ভিশন সামনে আনেন বেগম খালেদা জিয়া। সেটি তখন ছিল অনেকটাই খসড়া পর্যায়ে। কয়েক মাস ধরে এ নিয়ে দলটির সিনিয়র নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘ভিশন-২০৩০’ প্রায় চূড়ান্ত করে এনেছে। তারা এ সময়ে দলের প্রধানের মতামত নিয়েছেন, একই সাথে বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করেছেন। জানা গেছে, ক্ষমতায় গেলে দলের পরিকল্পনাসংবলিত ‘ভিশন-২০৩০’ এখন চূড়ান্তপর্যায়ে। জানা গেছে, ‘ভিশন-২০৩০’ কে পাথেয় ধরেই আগামী নির্বাচনের মূল ইশতেহার তৈরি করবে বিএনপি। দলের সিনিয়র এক নেতা বলেছেন, ভিশন ২০৩০ বিএনপির একটি অঙ্গীকারনামা। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে তারা কী করবে, তা শুধু দেশের জনগণই নয়, বাংলাদেশের বন্ধু দেশ ও বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনীতিকরাও জানতে চান। সেই পরিকল্পনা সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরতেই ‘ভিশন-২০৩০’ প্রকাশ করবে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেছেন, বিএনপি যদি আগামীতে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় যায়, তাহলে কিভাবে সরকার পরিচালিত হবে, পাশাপাশি সুশাসন কিভাবে নিশ্চিত করা হবে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন কোন পথে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, ভিশন-২০৩০ তার একটি রূপকল্প। শিগগিরই এটি প্রকাশ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি যদি পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে ‘ভিশন-২০৩০’-এর সাথে নির্বাচনী ইশতেহারেরও সামঞ্জস্য থাকবে। জানা গেছে, নতুন ধারার রাজনীতি প্রবর্তন, সৃজনশীল উদ্যোগের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, জাতীয় সংসদকে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট করা, গণভোট চালু, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে একটি জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনাসহ নানা বিষয় থাকছে ভিশন-২০৩০-তে।
বিএনপি নতুন ধারার রাজনীতি ও সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ জন্য নতুন এক সামাজিক সমঝোতা বা চুক্তিতে উপনীত হতে উদ্যোগ নেয়ার ঘোষণা দেবেন খালেদা জিয়া। প্রধানমন্ত্রীর একক নির্বাহী ক্ষমতা সংসদীয় সরকারের আবরণে স্বৈরাচারী একনায়কতান্ত্রিক শাসনের জন্ম দিয়েছে, এই উপলব্ধি থেকে এর অবসানকল্পে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতার ক্ষেত্রে ভারসাম্য আনার কথা বলবে বিএনপি। রাষ্ট্রের এককেন্দ্রিক চরিত্র অুণœ রেখে বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থা সংস্কারের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সম্প্রদায়, প্রান্তিক গোষ্ঠী ও পেশার জ্ঞানীগুণী ও মেধাবীদের সমন্বয়ে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে জনগণের সম্মতি গ্রহণের পন্থা ‘রেফারেন্ডাম’ বা ‘গণভোট’ ব্যবস্থা সংবিধানে পুনঃপ্রবর্তন করার বিষয়টিও থাকছে পরিকল্পনায়। সমৃদ্ধ সমাজগঠনে মহান মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা পূরণে বাংলাদেশের সব ধর্মবিশ্বাসের মানুষ, পাহাড় ও সমতলসহ সব অঞ্চলের মানুষ এবং প্রতিটি নৃগোষ্ঠীর মানুষের চিন্তাচেতনা ও আশা-আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে একটি জনকল্যাণমূলক, সহিষ্ণু, শান্তিকামী ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তোলার কথা বলা হবে এতে। ক্ষমতায় গেলে সুনীতি, সুশাসন ও সু-সরকারের সমন্বয় ঘটাতে চায় বিএনপি। গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক সুশাসনের জন্য নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, আইন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মতো সাংবিধানিক ও আধাসাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতি, অনিয়ম ও দলীয়করণমুক্ত করার কথা বলা হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ এবং মাথাপিছু আয় পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার এবং বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ‘ডাবল ডিজিটে’ উন্নীত করার সৃজনশীল ও বুদ্ধিদীপ্ত উদ্যোগ নেয়া হবে। নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ করে সততা, দক্ষতা, মেধা, যোগ্যতা, দেশপ্রেম ও বিচার ক্ষমতাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রশাসন, পুলিশসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকারিতা নিশ্চিত করার কথা বলা হবে। সব কালাকানুন বাতিল করা হবে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং আটকাবস্থায় দৈহিক-মানসিক নির্যাতনের অবসান ঘটানো হবে। আটকাবস্থায় মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনার জন্য তদন্তের ব্যবস্থা থাকবে। উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের যোগ্যতা ও পদ্ধতিসংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করবে বিএনপি। দুর্নীতি দমনে কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি আইন ও পদ্ধতিগত সংস্কার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ন্যায়পালের পদ ও কার্যালয় সক্রিয় করবে দলটি। ভবিষ্যতে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে কঠোরতা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে একযোগে কাজ করবে দলটি। বিএনপি মনে করে, সন্ত্রাসবাদ সব রাষ্ট্রের জন্যই হুমকির কারণ। এ কারণে বিএনপি বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্যে কোনো রকম সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা বরদাশত করবে না। বাংলাদেশের মাটি থেকে অন্য কোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতাও মেনে নেবে না। ‘শুধু ধনীদের জন্য শিক্ষা নয়’, দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত, মেয়েদের জন্য স্নাতক এবং ছেলেদের জন্য দশম শ্রেণী পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষা, মেয়েদের শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম সম্প্রসারিত করা হবে। সুষম, নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে যথোপযুক্ত প্রণোদনার মাধ্যমে গোটা কৃষি খাতকে পুনর্বিন্যাস করা হবে। কৃষকদের জন্য শস্যবীমা চালু, অদক্ষ শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা হবে। জাতীয় স্বার্থ ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় সহযোগিতা ও যোগাযোগ বাড়াতে কানেকটিভিটি স্থাপন, সম্প্রসারণ ও জোরদার করতে বলিষ্ঠ ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেয়া, কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং অন্য কোনো রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য সমস্যা সৃষ্টি না করা, প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সৎ প্রতিবেশীসুলভ সোহার্দ্য, বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা বলা হবে। এ ছাড়া পরিবেশদূষণ রোধ, জলবায়ু পরিবর্তন, দেশের অভ্যন্তরে প্রাপ্ত জ্বালানির সর্বোত্তম ব্যবহার, আবাসন খাতে বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিতকরণ, ওয়াক্ফ সম্পত্তির পরিচালনা ও ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, দেবোত্তর সম্পত্তিগুলো হিন্দুশাস্ত্রের বিধান অনুযায়ী পরিচালনার জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করাসহ নতুন এক সামাজিক সমঝোতা বা চুক্তিতে উপনীত হতে বিএনপি উদ্যোগ নেয়ার অঙ্গীকার থাকবে ‘ভিশন ২০৩০’-এ।
বিএনপি নতুন ধারার রাজনীতি ও সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ জন্য নতুন এক সামাজিক সমঝোতা বা চুক্তিতে উপনীত হতে উদ্যোগ নেয়ার ঘোষণা দেবেন খালেদা জিয়া। প্রধানমন্ত্রীর একক নির্বাহী ক্ষমতা সংসদীয় সরকারের আবরণে স্বৈরাচারী একনায়কতান্ত্রিক শাসনের জন্ম দিয়েছে, এই উপলব্ধি থেকে এর অবসানকল্পে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতার ক্ষেত্রে ভারসাম্য আনার কথা বলবে বিএনপি। রাষ্ট্রের এককেন্দ্রিক চরিত্র অুণœ রেখে বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থা সংস্কারের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সম্প্রদায়, প্রান্তিক গোষ্ঠী ও পেশার জ্ঞানীগুণী ও মেধাবীদের সমন্বয়ে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে জনগণের সম্মতি গ্রহণের পন্থা ‘রেফারেন্ডাম’ বা ‘গণভোট’ ব্যবস্থা সংবিধানে পুনঃপ্রবর্তন করার বিষয়টিও থাকছে পরিকল্পনায়। সমৃদ্ধ সমাজগঠনে মহান মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা পূরণে বাংলাদেশের সব ধর্মবিশ্বাসের মানুষ, পাহাড় ও সমতলসহ সব অঞ্চলের মানুষ এবং প্রতিটি নৃগোষ্ঠীর মানুষের চিন্তাচেতনা ও আশা-আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে একটি জনকল্যাণমূলক, সহিষ্ণু, শান্তিকামী ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তোলার কথা বলা হবে এতে। ক্ষমতায় গেলে সুনীতি, সুশাসন ও সু-সরকারের সমন্বয় ঘটাতে চায় বিএনপি। গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক সুশাসনের জন্য নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, আইন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মতো সাংবিধানিক ও আধাসাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতি, অনিয়ম ও দলীয়করণমুক্ত করার কথা বলা হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ এবং মাথাপিছু আয় পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার এবং বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ‘ডাবল ডিজিটে’ উন্নীত করার সৃজনশীল ও বুদ্ধিদীপ্ত উদ্যোগ নেয়া হবে। নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ করে সততা, দক্ষতা, মেধা, যোগ্যতা, দেশপ্রেম ও বিচার ক্ষমতাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রশাসন, পুলিশসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকারিতা নিশ্চিত করার কথা বলা হবে। সব কালাকানুন বাতিল করা হবে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং আটকাবস্থায় দৈহিক-মানসিক নির্যাতনের অবসান ঘটানো হবে। আটকাবস্থায় মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনার জন্য তদন্তের ব্যবস্থা থাকবে। উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের যোগ্যতা ও পদ্ধতিসংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করবে বিএনপি। দুর্নীতি দমনে কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি আইন ও পদ্ধতিগত সংস্কার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ন্যায়পালের পদ ও কার্যালয় সক্রিয় করবে দলটি। ভবিষ্যতে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে কঠোরতা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে একযোগে কাজ করবে দলটি। বিএনপি মনে করে, সন্ত্রাসবাদ সব রাষ্ট্রের জন্যই হুমকির কারণ। এ কারণে বিএনপি বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্যে কোনো রকম সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা বরদাশত করবে না। বাংলাদেশের মাটি থেকে অন্য কোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতাও মেনে নেবে না। ‘শুধু ধনীদের জন্য শিক্ষা নয়’, দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত, মেয়েদের জন্য স্নাতক এবং ছেলেদের জন্য দশম শ্রেণী পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষা, মেয়েদের শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম সম্প্রসারিত করা হবে। সুষম, নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে যথোপযুক্ত প্রণোদনার মাধ্যমে গোটা কৃষি খাতকে পুনর্বিন্যাস করা হবে। কৃষকদের জন্য শস্যবীমা চালু, অদক্ষ শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা হবে। জাতীয় স্বার্থ ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় সহযোগিতা ও যোগাযোগ বাড়াতে কানেকটিভিটি স্থাপন, সম্প্রসারণ ও জোরদার করতে বলিষ্ঠ ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেয়া, কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং অন্য কোনো রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য সমস্যা সৃষ্টি না করা, প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সৎ প্রতিবেশীসুলভ সোহার্দ্য, বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা বলা হবে। এ ছাড়া পরিবেশদূষণ রোধ, জলবায়ু পরিবর্তন, দেশের অভ্যন্তরে প্রাপ্ত জ্বালানির সর্বোত্তম ব্যবহার, আবাসন খাতে বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিতকরণ, ওয়াক্ফ সম্পত্তির পরিচালনা ও ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, দেবোত্তর সম্পত্তিগুলো হিন্দুশাস্ত্রের বিধান অনুযায়ী পরিচালনার জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করাসহ নতুন এক সামাজিক সমঝোতা বা চুক্তিতে উপনীত হতে বিএনপি উদ্যোগ নেয়ার অঙ্গীকার থাকবে ‘ভিশন ২০৩০’-এ।
No comments