দ্বিতীয় দ্রুততম গোলের সেঞ্চুরি আগুয়েরোর
নিজের ক্যারিয়ারের ৫০০তম গোলের দিন হতাশা নিয়েই মাঠ ছেড়েছিলেন লিওনেল মেসি। আর বন্ধু সার্জিও আগুয়েরোও কাল একটা মাইলফলক ছুঁলেন। তাঁরও সঙ্গী হলো হতাশা। অবনমন অঞ্চলে ধুঁকতে থাকা নিউক্যাসলের সঙ্গে যে ১-১ ড্র করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। আগুয়েরো অবশ্য নিজেকে ভাগ্যবানও ভাবতে পারেন। পরিষ্কার অফসাইডে থাকার পরও লাইন্সম্যানের পতাকা ওঠেনি। আর সেই অফসাইড গোল দিয়েই প্রিমিয়ার লিগে নিজের শততম গোলটি করে ফেললেন এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। ১৪ মিনিটে দলকে এগিয়ে যাওয়ার পরও সিটি বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখতে পারেনি। দুই বছর পর ভারনন আনিটা গোলের খাতায় নাম লেখানোয় ৩১ মিনিটে ১-১ সমতায় ফেরে রাফা বেনিতেজের দল। শেষ পর্যন্ত ওটাই ম্যাচের ফল। ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে ২৫তম খেলোয়াড় হিসেবে ১০০ গোল করলেন আগুয়েরো। তালিকাটা লম্বা হলেও অনেক দিক দিয়েই আগুয়েরো পেরিয়ে যাচ্ছেন বাকিদের। তাঁর চেয়ে দ্রুততম সময়ে শততম গোল করেছেন কেবল অ্যালান শিয়েরার। সাবেক ইংলিশ স্ট্রাইকারের লেগেছিল ১২৪ ম্যাচ, কালকের ম্যাচটি ছিল আগুয়েরোর ১৪৭তম। প্রিমিয়ার লিগের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে নিখুঁত গোলশিকারি হিসেবে পরিচিত থিয়েরি অঁরিরও লেগেছিল ১৬০ ম্যাচ। একদিক গিয়ে আগুয়েরো পেরিয়ে গেলেন সবাইকে, এমনিকে শিয়েরারকেও। আগুয়েরো গড়ে প্রতি ১০৮.৪ মিনিটে একটি করে গোল করেছেন। যেখানে অঁরির প্রতিটি গোল এসেছে গড়ে ১২১.৮ মিনিটে, রুড ফন নিস্টলরয়ের প্রতিটা গোল এসেছে ১২৮.২ মিনিটে। অবশ্য প্রিমিয়ার লিগের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার সংক্ষিপ্ত তালিকাতে ঢুকতে আগুয়েরোকে পাড়ি দিতে হবে লম্বা সময়। শিয়েরার করেছেন ২৬০ গোল। ২০০ গোলও আর কারও নেই। ১৯২ গোল করা রুনি সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন। অ্যান্ডি কোল (১৮৭), ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড (১৭৭), অঁরি (১৭৫) আছেন এরপর। আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা আগুয়েরো আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। লিগে টানা চার ম্যাচে গোল করলেন। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে সিটির ইতিহাস গড়ার মূল ভরসাও এখন তিনি। সব মিলিয়ে পেশাদার ক্যারিয়ারে তাঁর গোল ২৯০টি। মেসির সঙ্গেই যাত্রা শুরু করলেও গোলসংখ্যায় কিন্তু পিছিয়ে আছেন ঢের। মেসি অস্বাভাবিক হারে গোল করলে আগুয়েরোরই–বা কী করবেন!
No comments