বাঙালি তরুণী গড়লেন ইতিহাস
প্রথম বাঙালি নারী হিসেবে অলিম্পিক জিমন্যাস্টিকসে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে ইতিহাস গড়েছেন দীপা কর্মকার। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মেয়ে দীপার আদিপুরুষ বাংলাদেশের নরসিংদীর রায়পুরার। রিও ডি জেনিরোয় চলা অলিম্পিকের বাছাইপর্বে ৫২ হাজার ৬৯৮ পয়েন্ট স্কোর করে দীপা আদায় করে নিয়েছেন অলিম্পিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার। শুধু তা-ই নয়, প্রথম ভারতীয় হিসেবে ভল্টে সোনা জয় করে গৌরবে ভাসিয়েছেন সবাইকে। জিমন্যাস্টিকের মতো একটি খেলায় কোনো বাঙালি মেয়ে তো বটেই, ভারতীয় নারীর মধ্যেই এমন কীর্তি অনন্য। ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে নয়, দীপা অলিম্পিকে খেলবেন সরাসরি, নিজের যোগ্যতায়।দীপার কীর্তিতে উচ্ছ্বসিত গোটা ভারত। টুইট করে তাঁকে অভিনন্দিত করেছেন শচীন টেন্ডুলকার, বীরেন্দর শেবাগ, ভি ভি এস লক্ষ্মণ ও বিশ্বনাথন আনন্দের মতো তারকারা। তাঁদের সবারই কথা, ভারতীয় জিমন্যাস্টিকসকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন এই বাঙালি মেয়ে।ত্রিপুরার আগরতলায় অভয়নগর নামের এক এলাকায় বর্তমান বাস দীপার পরিবারের। গতকাল সোমবার দিনটা ছিল পুরো পরিবারের জন্যই অসম্ভব গর্বের এক দিন। দীপার বাবা দুলাল কর্মকারও একজন সাবেক ক্রীড়াবিদ। একসময় ভারোত্তলন করতেন। মা গৌরী কর্মকার একজন গৃহিণী। দুলাল কর্মকার জানিয়েছেন, তাঁদের আদি বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরায়। দীপার জন্ম ভারতে হলেও তাঁদের পূর্বপুরুষেরা বাংলাদেশ থেকেই ত্রিপুরায় গেছেন। মা–বাবার আশা, আগামী আগস্টে রিও অলিম্পিকের মূল লড়াইয়েও নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারবেন দীপা। গর্বিত করবেন সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিদের।
No comments