প্রতিবাদী নাটক ‘শিকারী’
১৮ এপ্রিল সকাল। ঘড়ির কাঁটায় তখন ৭টা বেজে ১০ মিনিট। শিল্পকলা একাডেমির মাঠে চলছে এক ঝাঁক নাট্যকর্মীর নানা শারীরিক কসরত। কসরতের বিভিন্ন মুদ্রা দেখিয়ে দিচ্ছেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ। তাঁর সঙ্গে আছেন সহযোগী দোলা। কসরতের ভাষাগুলো যেন কিছুটা ভিন্ন রঙের। কখনো তা রূপ নেয় বীররসে, আবার কখনো রুদ্ররসে। কখনো লড়াইয়ের, আবার কখনো হেরে যাওয়া মানুষের। এভাবে এক সময় তাঁদের এই কসরতের ভাষায় ফুটে ওঠে প্রতিবাদ। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া তনু হত্যার প্রতিবাদ জানানো হবে এই নাটকের মাধ্যমে। নাটকের নাম শিকারী। তাই তো প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমির মাঠে চলছে নাট্যকর্মীদের নিবিড় মহড়া। নাটকটি লিখেছেন বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরা। নাটক রচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নাটকটি তনুকে কেন্দ্র করে রচিত হলেও এই নাটকের একটি সর্বজনীন আবেদন রয়েছে। সব সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে এই নাটক।’ শিকারীর নির্দেশনা দিয়েছেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ সালে শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে বনপাংশুল নাটকের মহড়া করেছিলাম। ২০ বছর পর আবার সেখানে মহড়া করছি। কাজটি অবশ্যই অনেক চ্যালেঞ্জের। সব হত্যা ও ধর্ষণের মতো বেদনাদায়ক ঘটনার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদের ভাষা হচ্ছে এই পথনাটক। আমরা সারা দেশে নাটকটির প্রদর্শনী করব।’ নাটকটির সমন্বয়ক আহমেদ গিয়াস বলেন, ‘বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের পক্ষ থেকে এটাই প্রথম প্রযোজনা। ঢাকার বিভিন্ন নাট্যদলের প্রায় ২০ জন নাট্যকর্মী অভিনয় করেছেন এই নাটকে। ৩০ এপ্রিল কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজে নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে।’
No comments