‘সদস্য পদে প্রার্থী হতে চেয়েছিলাম’
বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার। প্রায় দেড় যুগ ধরে তাঁর পরিচয় অবশ্য ক্রিকেট সংগঠক। সেসব ছাপিয়ে দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক। এবার হঠাৎ তাঁর আবির্ভাব বাফুফের নির্বাচনে। কেন এই নির্বাচনে এলেন, তা নিয়েই কথা বললেন সাবেক এই ফুটবলার
* মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে হঠাৎ শোনা গেল আপনি জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পদে প্রার্থী হচ্ছেন। কীভাবে এই নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলেন? দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল: সত্যি বলতে, এবার সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা আমার প্রথম থেকেই ছিল। এ নিয়ে হারুন ভাই, বাদল, নাবিলদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বসেছিও। কিন্তু তাঁরা যে প্যানেলটা চূড়ান্ত করলেন, সেটার সঙ্গে আমি একমত নই। আমি কিছু মুখ বাদ দিতে বলেছিলাম, কিন্তু তাঁরা সেটা করেননি বা করতে পারেননি।
* এ জন্যই কি আপনি সালাউদ্দিনবিরোধী জোটে গেলেন? অনেকে বলছেন, সালাউদ্দিনকে সরাতে আপনার ভূমিকা চাইছে একটি পক্ষ... টুটুল: আমি সালাউদ্দিন ভাইকে সরাতে এসেছি, এটা ভুল। গত নির্বাচনেই প্রার্থী হতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি বিসিবিতে থাকার কারণে। বিসিবিতে থাকলে অন্য কোনো ফেডারেশনের কমিটিতে থাকা যাবে না। এবার সেই বাধা নেই বলেই বাফুফের নির্বাচনে আসা।
* ফুটবলার হিসেবে সালাউদ্দিনকে অনেক সম্মান করেন আপনারা। সংগঠক হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে গেলেন কেন?
টুটুল: আমি একটা পরিবর্তন চাই। আট বছর তো ওনাকে দেখলাম। আমার ধারণা, দেশের ৯৯ ভাগ মানুষই ফুটবলে পরিবর্তন চায়।
* পরিবর্তনই যদি চান, তাহলে হারুনুর রশিদ, বাদল রায়দের সঙ্গে বসেছিলেন কেন? তাঁরা তো সালাউদ্দিনের সঙ্গী...
টুটুল: সভাপতি-শাসিত ফেডারেশনে অন্যদের ভূমিকা রাখার সুযোগ কম। তবু আমি চাইছিলাম কিছু মুখ বাদ দিয়ে নতুন শুরু। সেটা হয়নি। তাই ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে যেতে হলো। তা ছাড়া প্রশাসনিকভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার আছে। সেটা কাজে লাগাতে পারব। সদস্য পদে ভূমিকা রাখার সুযোগ কম। সব ভেবেচিন্তে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হচ্ছি সবার পরামর্শে।
* আপনি ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক। তো আপনি বাফুফের নির্বাচন করা মানে সেখানে রাজনৈতিক একটা প্রভাব থাকবে মনে করেন অনেকে। আপনি নিজে কী মনে করেন?
টুটুল: এখানে রাজনৈতিক প্রভাবের কিছু নেই। কাউন্সিলর ১৩৪ জন। এঁরা যাঁর যাঁর জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। আমার প্রভাব থাকবে না। কারণ এটা আমজনতার ইলেকশন নয়। আমি বললেই কেউ আমাকে ভোট দিয়ে দেবে, ব্যাপারটা সে রকমও নয়। যদি আমাকে ভোটাররা ফুটবলার টুটুল হিসেবে বা সংগঠক হিসেবে ভোট দেন, তো দেবেন। না দিলে নেই...।
* আপনি ফুটবল বাঁচাও আন্দোলনের ব্যানারে গেছেন। ওই পরিষদের সভাপতি প্রার্থী ফুটবলে অচেনা মুখ। এটাকে কীভাবে দেখছেন?
টুটুল: ফুটবলে এর চেয়ে খারাপ তো আর কিছু হওয়ার নয়। কাজেই সভাপতি প্রার্থী নিয়ে বেশি কিছু বলার দেখছি না। একটা পরিষদে যাওয়ার জন্যই আসলে আমার যাওয়া। শেষ পর্যন্ত কাজটা তো ব্যক্তিগতভাবে আমাকেই করতে হবে।
* অনেকে বলেন, আপনি বিসিবির নির্বাচনে হেরে ফুটবলে আসতে চাইছেন...।
টুটুল: কে কী বলে, সেটা বড় নয়। আমি বিসিবিতে থাকলাম কি থাকলাম না, সেটাও বিষয় নয়। ওখানে আমি সফল না ব্যর্থ, সেটাই বিবেচ্য হওয়া উচিত। ক্রিকেটের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, আপনারা যাঁরা আছেন, আপনারা বিচার করতে পারবেন। তা ছাড়া রাজনৈতিক বা বিভিন্ন কারণে কেউ ছিটকে যেতেই পারে। মূল্যায়নটা হওয়া উচিত কাজ দিয়ে।
* সে ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পদে সালাম মুর্শেদীর বিপক্ষে জিততে পারবেন?
টুটুল: সালাম ভালো প্রার্থী। আমার জন্য নির্বাচনটা তাই সহজ হবে না।
* মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে হঠাৎ শোনা গেল আপনি জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পদে প্রার্থী হচ্ছেন। কীভাবে এই নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলেন? দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল: সত্যি বলতে, এবার সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা আমার প্রথম থেকেই ছিল। এ নিয়ে হারুন ভাই, বাদল, নাবিলদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বসেছিও। কিন্তু তাঁরা যে প্যানেলটা চূড়ান্ত করলেন, সেটার সঙ্গে আমি একমত নই। আমি কিছু মুখ বাদ দিতে বলেছিলাম, কিন্তু তাঁরা সেটা করেননি বা করতে পারেননি।
* এ জন্যই কি আপনি সালাউদ্দিনবিরোধী জোটে গেলেন? অনেকে বলছেন, সালাউদ্দিনকে সরাতে আপনার ভূমিকা চাইছে একটি পক্ষ... টুটুল: আমি সালাউদ্দিন ভাইকে সরাতে এসেছি, এটা ভুল। গত নির্বাচনেই প্রার্থী হতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি বিসিবিতে থাকার কারণে। বিসিবিতে থাকলে অন্য কোনো ফেডারেশনের কমিটিতে থাকা যাবে না। এবার সেই বাধা নেই বলেই বাফুফের নির্বাচনে আসা।
* ফুটবলার হিসেবে সালাউদ্দিনকে অনেক সম্মান করেন আপনারা। সংগঠক হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে গেলেন কেন?
টুটুল: আমি একটা পরিবর্তন চাই। আট বছর তো ওনাকে দেখলাম। আমার ধারণা, দেশের ৯৯ ভাগ মানুষই ফুটবলে পরিবর্তন চায়।
* পরিবর্তনই যদি চান, তাহলে হারুনুর রশিদ, বাদল রায়দের সঙ্গে বসেছিলেন কেন? তাঁরা তো সালাউদ্দিনের সঙ্গী...
টুটুল: সভাপতি-শাসিত ফেডারেশনে অন্যদের ভূমিকা রাখার সুযোগ কম। তবু আমি চাইছিলাম কিছু মুখ বাদ দিয়ে নতুন শুরু। সেটা হয়নি। তাই ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে যেতে হলো। তা ছাড়া প্রশাসনিকভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার আছে। সেটা কাজে লাগাতে পারব। সদস্য পদে ভূমিকা রাখার সুযোগ কম। সব ভেবেচিন্তে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হচ্ছি সবার পরামর্শে।
* আপনি ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক। তো আপনি বাফুফের নির্বাচন করা মানে সেখানে রাজনৈতিক একটা প্রভাব থাকবে মনে করেন অনেকে। আপনি নিজে কী মনে করেন?
টুটুল: এখানে রাজনৈতিক প্রভাবের কিছু নেই। কাউন্সিলর ১৩৪ জন। এঁরা যাঁর যাঁর জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। আমার প্রভাব থাকবে না। কারণ এটা আমজনতার ইলেকশন নয়। আমি বললেই কেউ আমাকে ভোট দিয়ে দেবে, ব্যাপারটা সে রকমও নয়। যদি আমাকে ভোটাররা ফুটবলার টুটুল হিসেবে বা সংগঠক হিসেবে ভোট দেন, তো দেবেন। না দিলে নেই...।
* আপনি ফুটবল বাঁচাও আন্দোলনের ব্যানারে গেছেন। ওই পরিষদের সভাপতি প্রার্থী ফুটবলে অচেনা মুখ। এটাকে কীভাবে দেখছেন?
টুটুল: ফুটবলে এর চেয়ে খারাপ তো আর কিছু হওয়ার নয়। কাজেই সভাপতি প্রার্থী নিয়ে বেশি কিছু বলার দেখছি না। একটা পরিষদে যাওয়ার জন্যই আসলে আমার যাওয়া। শেষ পর্যন্ত কাজটা তো ব্যক্তিগতভাবে আমাকেই করতে হবে।
* অনেকে বলেন, আপনি বিসিবির নির্বাচনে হেরে ফুটবলে আসতে চাইছেন...।
টুটুল: কে কী বলে, সেটা বড় নয়। আমি বিসিবিতে থাকলাম কি থাকলাম না, সেটাও বিষয় নয়। ওখানে আমি সফল না ব্যর্থ, সেটাই বিবেচ্য হওয়া উচিত। ক্রিকেটের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, আপনারা যাঁরা আছেন, আপনারা বিচার করতে পারবেন। তা ছাড়া রাজনৈতিক বা বিভিন্ন কারণে কেউ ছিটকে যেতেই পারে। মূল্যায়নটা হওয়া উচিত কাজ দিয়ে।
* সে ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পদে সালাম মুর্শেদীর বিপক্ষে জিততে পারবেন?
টুটুল: সালাম ভালো প্রার্থী। আমার জন্য নির্বাচনটা তাই সহজ হবে না।
No comments