কদমতলীতে হেলে পড়েছে চারতলা ভবন
রাজধানীর কদমতলী থানার মোহাম্মদবাগ এলাকায় কলেজ রোডের একটি চারতলা ভবন পাশের ছয়তলা ভবনের ওপর গতকাল হেলে পড়ে। কদমতলীতেই জনতাবাগ এলাকার একটি পাঁচতলা ভবন প্রায় দুই মাস আগে পাশের নয়তলা ভবনের ওপর হেলে পড়ে |
রাজধানীর
কদমতলীতে মোহাম্মদবাগ কলেজ রোডে একটি চারতলা ভবন পাশের একটি ছয়তলা ভবনের
গায়ে হেলে পড়েছে। ভবন দুটির বাসিন্দারা বলেছেন, গত বুধবারের ভূমিকম্পের
আগে দুটি ভবনের মাঝে এক হাতের মতো ফাঁকা ছিল। কিন্তু ভূমিকম্পের পর থেকে
একটু একটু করে চারতলা ভবনটি ছয়তলা ভবনের গায়ে হেলে পড়েছে। সর্বশেষ গতকাল
মঙ্গলবার একটি ভবনের কার্নিশ অপর ভবনের কার্নিশের ওপর উঠে গেছে। খবর পেয়ে
ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সেখানে গিয়ে ভবন দুটির বাসিন্দাদের সরিয়ে দেন। ফায়ার
সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (নিয়ন্ত্রণকক্ষ) এনায়েত হোসেন প্রথম
আলোকে বলেন, গতকাল বেলা দেড়টার পর ভবন হেলে পড়ার খবর পেয়ে ফায়ার
সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তাঁরা ভবন
দুটির বাসিন্দাদের নিরাপদে বের করে এনে দুটি ভবনেই তালা লাগিয়ে দেন। বিষয়টি
সিটি করপোরেশন ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) জানানো হয়েছে।
চারতলা ভবনটি হেলে পড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সন্ধ্যা ছয়টায়
ঘটনাস্থলে থাকা রাজউকের জোন-৮-এর অথরাইজড অফিসার আশিস কুমার সাহা প্রথম
আলোকে বলেন, ‘আমরা কেবল দেখতে পাচ্ছি দুটি ভবনের একটি আরেকটির গায়ে লেগে
আছে। ঠিক কী কারণে ভবনটি হেলে পড়েছে কিংবা আগে থেকেই হেলে ছিল কি না, সে
বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। ভবনের বাসিন্দাদের কেউ বলছেন, ভবনটি
আগে থেকেই খানিকটা হেলে ছিল।
রাজধানীর কদমতলী থানার মোহাম্মদবাগ এলাকায় কলেজ রোডের একটি চারতলা ভবন পাশের ছয়তলা ভবনের ওপর গতকাল হেলে পড়ে। কদমতলীতেই জনতাবাগ এলাকার একটি পাঁচতলা ভবন প্রায় দুই মাস আগে পাশের নয়তলা ভবনের ওপর হেলে পড়ে |
আবার কেউ বলছেন, বুধবারের ভূমিকম্পের পরই এ
ঘটনা ঘটেছে।’ তিনি বলেন, দুই ভবন মালিকের কেউই রাজউক অনুমোদিত নকশা দেখাতে
পারেননি। আজ বুধবার বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল এনে ভবন দুটি পরীক্ষা করার পর
প্রকৃত কারণ জানা যাবে। রাতে গিয়ে দেখা যায়, রাত ১১টার পরও আশপাশের এলাকার
বেশ কিছু উৎসুক মানুষ ভবন দুটি দেখতে এসেছেন। পাশের মেরাজনগরের বাসিন্দা
মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘আমরা দু-তিন দিন ধরেই ভবন হেলে পড়ার কথা
শুনছিলাম।’ প্রায় আড়াই বছর ধরে ছয়তলা ভবনে ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করা
শফিউদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘দুপুরে আমাদের ভবন থেকে বের করে দিয়ে ফটকে তালা
লাগিয়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু সন্ধ্যার সময় এসে আবার তালা খুলে দিয়ে বলেছে
সকালে চলে যেতে।’ এ বিষয়ে কথা বলার জন্য দুই ভবন মালিকের কাউকেই পাওয়া
যায়নি। প্রায় দুই মাস আগে কদমতলী থানার জনতাবাগে একটি পাঁচতলা ভবন
ভূমিকম্পের পর পাশের একটি নয়তলা ভবনে হেলে পড়ে। পরে হেলে পড়া ভবনটি থেকে
বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়ে ভবনটি সিলগালা করে দেয় রাজউক। ওই ভবনটিকে
ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে রাজউক সেখানে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি সাঁটিয়ে
দিয়েছে। গতকাল রাতে ভবনটির দেয়ালে ওই বিজ্ঞপ্তি দেখা গেছে।
No comments