মুসলমান হবেন সার্ব গ্রামের সব খ্রিষ্টানরা!
চার্চটি ভাঙার জন্য ক্রেন আনা হয়েছে |
সার্বিয়ার একটি গ্রামে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গীর্জাটি মেরামত না করলে সব বাসিন্দা মুসলমান হবেন বলে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। বেলগ্রেডের
কাছে সোপিচ নামের ওই গ্রামের গীর্জাটি মেরামত করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি
দাবি জানায় গ্রামবাসীরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত চার্চটি
ভেঙে পুননির্মাণ করতে। এ সিদ্ধান্ত মানতে রাজী নয় গ্রামবাসীরা। তারা
চাচ্ছেন, চার্চটি না ভেঙে সংস্কার করা হোক। অন্যথায় তারা খ্রিষ্টানরা ধর্ম
ছেড়ে দিয়ে মুসলমান হয়ে যাবেন। এ জন্য তারা সার্বিয়ার অর্থডক্স চার্চকে
এক চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, পুরোনো গীর্জাটি রক্ষার এ উদ্যোগে তারা যদি
সমর্থন না জানান, তাহলে গ্রামের সব লোক একসাথে ধর্মত্যাগ করে মুসলমান হয়ে
যাবেন - যাতে সার্বিয়ার আইনের আওতায় তারা বেশি সুরক্ষা পেতে পারেন।
এলো নামের একটি ওয়েবসাইট এ খবর দিয়েছে। গত জুলাই মাসে এক শক্তিশালী ঝড়ে ১৫০ বছরের পুরোনো চার্চটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তার টাওয়ারটির ছাদ ভেঙে যায়। এর পর স্থানীয় যাজক সিদ্ধান্ত নেন, গীর্জাটি ভেঙে ফেলে নতুন করে বানাতে হবে, কারণ এর ভিত্তির মাটি দুর্বল হয়ে গেছে। কিন্তু গ্রামের একজন বাসিন্দা প্রেদ্রাগ লাজারেভিচ, যিনি ওই চিঠিটির মুসাবিদা করেছেন জানান, তিনি নিজে একজন ভূতত্ববিদ এবং তার মূল্যায়ন অনুযায়ী গীর্জাটির ভিত্তি ঠিকই আছে এবং তা ভেঙে ফেলার কোনো দরকার নেই, সংস্কার করাই যথেষ্ট। লাজারেভিচ রেডিও সারায়েভোকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, তারা নতুন চার্চ নির্মাণের বিরোধী নন, তবে তা করতে হবে পুরোনো চার্চটি অক্ষত রেখে।
সূত্র : বিবিসি
এলো নামের একটি ওয়েবসাইট এ খবর দিয়েছে। গত জুলাই মাসে এক শক্তিশালী ঝড়ে ১৫০ বছরের পুরোনো চার্চটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তার টাওয়ারটির ছাদ ভেঙে যায়। এর পর স্থানীয় যাজক সিদ্ধান্ত নেন, গীর্জাটি ভেঙে ফেলে নতুন করে বানাতে হবে, কারণ এর ভিত্তির মাটি দুর্বল হয়ে গেছে। কিন্তু গ্রামের একজন বাসিন্দা প্রেদ্রাগ লাজারেভিচ, যিনি ওই চিঠিটির মুসাবিদা করেছেন জানান, তিনি নিজে একজন ভূতত্ববিদ এবং তার মূল্যায়ন অনুযায়ী গীর্জাটির ভিত্তি ঠিকই আছে এবং তা ভেঙে ফেলার কোনো দরকার নেই, সংস্কার করাই যথেষ্ট। লাজারেভিচ রেডিও সারায়েভোকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, তারা নতুন চার্চ নির্মাণের বিরোধী নন, তবে তা করতে হবে পুরোনো চার্চটি অক্ষত রেখে।
সূত্র : বিবিসি
No comments