কাজে দিচ্ছে পুতিনের কৌশল -দ্য গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণ
সিরিয়ার
বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কৌশলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার
মিত্ররা যদি বারবার চমকে যায়, তাহলে বলতে হবে সেই কৌশল কাজে দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র এবং সামরিক জোট ন্যাটোর গত কয়েক দিনের
কর্মকাণ্ডে বোঝা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে অন্তত সিরিয়া নিয়ে পুতিনের কৌশল
কাজে দিচ্ছে।
সিরিয়া ও ইরাকে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে অভিযানের নামে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিরিয়ায় বিমান হামলা শুরু করে রাশিয়া। কয়েক দিন পরেই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চমকে দিয়ে কাস্পিয়ান সাগরে যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও শুরু করে মস্কো।
সিরিয়ায় রুশ অভিযানের জবাবে কী করা যায়, তা নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অনেকটা ব্যতিব্যস্ত দেখা গেছে ন্যাটো সদস্যরাষ্ট্রগুলোর নেতাদের। একই ধরনের অবস্থা দেখা গেল গত বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ন্যাটো রাষ্ট্রগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকেও।
সিরিয়ায় রুশ হামলার মাত্রাও চমকে দিয়েছে পশ্চিমাদের। এই হামলায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অবস্থান শক্তিশালী করছে বলেই মনে হচ্ছে। এটাও মনে হচ্ছে, বাশার বাহিনী ও ইরান-সমর্থিত বাহিনীর স্থল অভিযানের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল এটা।
সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি পাশ থেকে দেখছে ন্যাটো। আর বাশারবিরোধীদের মার্কিন সহায়তা হয়ে গেছে অর্থহীন। ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে সংগঠনটির মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছিলেন, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে সেনা পাঠাতে তিনি প্রস্তুত আছেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ন্যাটোর অভ্যন্তরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
ইউক্রেন সংকটের পর সিরিয়া সংকটে রাশিয়ার অংশগ্রহণ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বৈশ্বিক ব্যাপারে একেবারে কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। রুশ জনগণেরও এর পক্ষে সমর্থন রয়েছে। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা যায়, ৭২ শতাংশ রুশ জনগণ সিরিয়ায় রাশিয়ার অভিযানের পক্ষে রয়েছে, যেটা হয়তো সিরিয়ায় অভিযানের পুতিনকে মানসিক রসদ জুগিয়েছে।
সিরিয়ায় অভিযানের কারণে রাশিয়ার বিপর্যয়ের মুখে পড়ারও হুমকি রয়েছে। এর কারণ হলো সুন্নি বিশ্ব মনে করছে, রাশিয়া আসলে একটি পক্ষ নিয়েছে। এর ফলে বেপরোয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো মস্কোর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবে এবং বিশ্বব্যাপী জিহাদিদের মস্কোকে নিশানা করতে উৎসাহিত করবে।
রাশিয়ার ওই ক্ষতি দেখার জন্য অপেক্ষা করলেও তার মূল্য দিতে হবে পশ্চিমাদের। কারণ, সিরিয়ায় রাশিয়ার হামলার ফলে ইউরোপমুখী শরণার্থীদের ঢল আরও বাড়বে; একই সঙ্গে কমবে সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাও। সেটা সার্বিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে, যা রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটোর মধ্যে ছায়াযুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করবে।
শেষ কথা হলো, পুতিনের চমকিত করার কৌশল তাঁকে চালকের আসনে বসিয়েছে। কিন্তু তিনি কোন দিকে যাচ্ছেন, সে সম্পর্কে তিনিও হয়তো জানেন না।
সিরিয়া ও ইরাকে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে অভিযানের নামে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিরিয়ায় বিমান হামলা শুরু করে রাশিয়া। কয়েক দিন পরেই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চমকে দিয়ে কাস্পিয়ান সাগরে যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও শুরু করে মস্কো।
সিরিয়ায় রুশ অভিযানের জবাবে কী করা যায়, তা নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অনেকটা ব্যতিব্যস্ত দেখা গেছে ন্যাটো সদস্যরাষ্ট্রগুলোর নেতাদের। একই ধরনের অবস্থা দেখা গেল গত বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ন্যাটো রাষ্ট্রগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকেও।
সিরিয়ায় রুশ হামলার মাত্রাও চমকে দিয়েছে পশ্চিমাদের। এই হামলায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অবস্থান শক্তিশালী করছে বলেই মনে হচ্ছে। এটাও মনে হচ্ছে, বাশার বাহিনী ও ইরান-সমর্থিত বাহিনীর স্থল অভিযানের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল এটা।
সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি পাশ থেকে দেখছে ন্যাটো। আর বাশারবিরোধীদের মার্কিন সহায়তা হয়ে গেছে অর্থহীন। ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে সংগঠনটির মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছিলেন, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে সেনা পাঠাতে তিনি প্রস্তুত আছেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ন্যাটোর অভ্যন্তরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
ইউক্রেন সংকটের পর সিরিয়া সংকটে রাশিয়ার অংশগ্রহণ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বৈশ্বিক ব্যাপারে একেবারে কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। রুশ জনগণেরও এর পক্ষে সমর্থন রয়েছে। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা যায়, ৭২ শতাংশ রুশ জনগণ সিরিয়ায় রাশিয়ার অভিযানের পক্ষে রয়েছে, যেটা হয়তো সিরিয়ায় অভিযানের পুতিনকে মানসিক রসদ জুগিয়েছে।
সিরিয়ায় অভিযানের কারণে রাশিয়ার বিপর্যয়ের মুখে পড়ারও হুমকি রয়েছে। এর কারণ হলো সুন্নি বিশ্ব মনে করছে, রাশিয়া আসলে একটি পক্ষ নিয়েছে। এর ফলে বেপরোয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো মস্কোর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবে এবং বিশ্বব্যাপী জিহাদিদের মস্কোকে নিশানা করতে উৎসাহিত করবে।
রাশিয়ার ওই ক্ষতি দেখার জন্য অপেক্ষা করলেও তার মূল্য দিতে হবে পশ্চিমাদের। কারণ, সিরিয়ায় রাশিয়ার হামলার ফলে ইউরোপমুখী শরণার্থীদের ঢল আরও বাড়বে; একই সঙ্গে কমবে সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাও। সেটা সার্বিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে, যা রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটোর মধ্যে ছায়াযুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করবে।
শেষ কথা হলো, পুতিনের চমকিত করার কৌশল তাঁকে চালকের আসনে বসিয়েছে। কিন্তু তিনি কোন দিকে যাচ্ছেন, সে সম্পর্কে তিনিও হয়তো জানেন না।
No comments