তথ্যমন্ত্রীর তৎপরতা রহস্যজনক: বিএনপি
জাসদের
সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বাংলাদেশে উগ্রপন্থার জনক বলে দাবি
করেছে বিএনপি। দলটি অভিযোগ করেছে, তথ্যমন্ত্রীর ‘৭২-৭৫ সময়ের ভূমিকা ও
বর্তমানে জিয়া-খালেদার বিরুদ্ধে বক্তব্য রহস্যজনক। তিনি সংকট উত্তরণের
প্রতিবন্ধক। শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির এক
সংবাদ সম্মেলনে দলটির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন এ অভিযোগ করেন। রিপন
বলেন, “আমরা জানি বর্তমান তথ্যমন্ত্রী ১৯৭২-১৯৭৫ সময়ে এ দেশের রাজনীতিতে
উগ্রপন্থার জনক। এই পরজীবী রাজনীতিক এ দেশে সহিংস রাজনীতির পথপ্রদর্শকও
বটে।” সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “তার (ইনু)অতীত ভূমিকা, শেখ মুজিবের
হত্যাকাণ্ড, ৭২-৭৫ সময়ে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার প্রেক্ষিত রচনাকারী
হিসেবে তিনি বরাবরই নিন্দিত এবং ৭৫ পরবর্তীতে সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা নষ্ট
করে বারবার ক্যু সংঘটনে নেতৃত্বদানের জন্য তার বিতর্কিত ভূমিকাকে আড়াল চান।
এ জন্য তিনি সব সময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা
জিয়াকে অরাজনৈতিক ভাষায় সমালোচনা করে নিজের অতীত কদর্য চেহারা আড়াল করার
অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।” রিপন বলেন, “বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের প্রতিষ্ঠাতা
হাসানুল হক ইনুর এসব তৎপরতার উদ্দেশ্য খুবই রহস্যজনক এবং বর্তমান সংকট থেকে
উত্তরণেরও তিনি প্রতিবন্ধক। বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে তিনি গলা টিপে ধরতে সব
সময় সচেষ্ট রয়েছেন।” রিপন বলেন, “বিনা ভোটের সরকারকে খুশি করতে গিয়ে তিনি
(ইনু) যেসব গণমাধ্যম সরকারের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেয়-তাদের প্রতি নাখোশ হন।
এরই ধারাবাহিকতায় আমরা লক্ষ্য করেছি-বেশ কয়েকটি পত্রিকা, চ্যানেল বন্ধ হয়ে
গেছে। আমরা লক্ষ্য করছি এবং বুঝতে কষ্ট হয় না যে, দেশের অন্যতম প্রধান
দু’টি দৈনিক ডেইলি স্টার, প্রথম আলোতে সরকারি চাপে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর
বিজ্ঞাপন প্রকাশ বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কিছু দিন ধরে। এর উদ্দেশ্য পত্রিকা
দু’টো যাতে আর্থিক চাপে পড়ে প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়, কর্মী ছাঁটাই করতে
বাধ্য হয় বা এক পর্যায়ে বন্ধ করে দেয়। তিনি বলেন, আইন বহির্ভূতভাবে
গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ, তার স্বাধীন বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করার সরকারের এই
কূটকৌশল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা
বন্ধ করে দেয়া সব পত্রিকা, চ্যানেল খুলে দেয়ার আহ্বান জানাই।”
No comments