ইসির প্রকল্প থেকে সরে গেল জাতিসংঘ
মেয়াদ
শেষ হওয়ার আট মাস আগেই ‘নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ প্রকল্প’ থেকে
সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি জানিয়েছে, দাতারা অর্থের
জোগান বন্ধ করে দেয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে এ
প্রকল্পে তহবিল জোগান দিয়ে আসছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন।
সাম্প্রতিক অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো নিয়ে এসব দেশ ও জোট অসন্তোষ প্রকাশ করে
আসছে। বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন সমপ্রতি এক অনুষ্ঠানে ৩ সিটি
নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত না হওয়াকে ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেন। এ
ছাড়া ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ
বিভিন্ন দেশ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আসছে। গত বৃহস্পতিবারও ঢাকায়
নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট বলেছেন, ওই নির্বাচন প্রশ্নে তাদের
অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। কেবল বহুল আলোচিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনই নয়,
পরে নতুন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচন এবং স্থানীয় নির্বাচনগুলোও
বিতর্কমুক্ত হয়নি। এ অবস্থায় সব দলের অংশগ্রহণে দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নতুন
নির্বাচন অনুষ্ঠানে এখনই সংলাপ শুরুর তাগিদ দিয়ে দিচ্ছে আন্তর্জাতিক
সম্প্রদায় এবং দাতা দেশ সংস্থাগুলো। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বিভিন্ন
সময়ে সংসদের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে সরকারের প্রতি
আহ্বান জানিয়েছেন। একইভাবে বিরোধী দলগুলোকেও সংলাপে উৎসাহ দিয়ে চলেছেন।
তিনি দুই নেত্রীকে সংলাপের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। সংলাপে উৎসাহিত
করতে অতীতে বাংলাদেশে দূতিয়ালি করে যাওয়া জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার
ফার্নান্দেজ তারানকোকে দায়িত্ব দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। ইউরোপের ২৮
রাষ্ট্রের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নও সরকার ও বিরোধী দলকে সংলাপে উৎসাহ জোগাচ্ছে।
সমপ্রতি এক অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ ইইউ ডেলিগেশনপ্রধান রাষ্ট্রদূত পিয়েরে
মায়েদুন এক অনুষ্ঠানে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে খানিক স্বস্তি
ফিরে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করলেও এটি ‘ভঙ্গুর’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি
চলমান সংকটের স্থায়ী এবং দীর্ঘদেয়াদি রাজনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিরোধী দলের বর্জনের মুখে অনুষ্ঠিত গত সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ
থেকে আগে ঘোষণা দিয়ে বিরত ছিল ইইউ।
প্রকল্প বন্ধের ঘোষণা এলেও বিজ্ঞপ্তিতে তহবিল প্রত্যাহারের কারণ উল্লেখ নেই: প্রকল্প বন্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে জাতিসংঘের ঢাকাস্থ আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাঠানো হয়েছে। ‘ক্লোজ অব প্রজেক্ট: স্টেংদেনিং ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাতাদের তহবিল প্রত্যাহারের কোন কারণ উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া ওই প্রকল্প আগামী বছরের মার্চে চলার কথা থাকলেও দাতারা তহবিল প্রত্যাহার করে নেয়ায় চলতি মাসেই প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। জাতিসংঘ জানায়, ১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় শক্তিশালীকরণে সংস্থাটি সহায়তা দিয়ে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আওতায় ‘বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। ভোটার নিবন্ধনপ্রক্রিয়াসহ নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ ও আধুনিক নির্বাচনী চর্চাগুলো প্রবর্তনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করতে ওই প্রকল্প ভূমিকা রেখেছে। চলতি জুলাইয়ে ওই প্রকল্প শেষ করে দিলেও ইউএনডিপি এ দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে তাদের অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে ইউএনডিপির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের’ লক্ষ্য গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা জোরদার করা। এ প্রকল্পে অংশীদাররা হলো- বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি), ইউরোপীয় কমিশন, যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক দপ্তর ডিএফআইডি ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা ইউএসএআইডি। প্রকল্পে অর্থায়নবিষয়ক তথ্যে বলা হয়েছে, ওই প্রকল্পের আওতায় প্রতি বছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক কোটি ৩৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬৩০ ডলার, ডিএফআইডি ২৫ লাখ ডলার, ইউএনডিপি টিআরএসি (টার্গেট ফর রিসোর্স অ্যাসাইনমেন্ট ফ্রম দ্য কোর ফান্ডিং) ২০ লাখ ১৪ হাজার ৪২৩ ডলার এবং ইউএসএআইডি ১৪ লাখ ডলার দিয়ে আসছিল। ২০১১ সালে ওই প্রকল্পে ছয় লাখ ৪৯ হাজার ৬৬০ দশমিক ৫৭ ডলার এবং ২০১২ সালে ৭১ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪৫ দশমিক ৮৫ ডলার দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে ইউএনডিপির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পালনে এবং শাসনব্যবস্থার একটি স্থায়ী, পেশাদার, বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হতে সহায়তা করতে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন, এর সচিবালয় ও স্থানীয় দপ্তরগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ প্রকল্প’ নেয়া হয়েছিল। ২০০৮ সালে নির্বাচনী সংস্কারপ্রক্রিয়া শুরুর প্রেক্ষাপটে এটি করা হয়েছিল। প্রকল্পের আওতায় ২০১২ সালে ৭০ লাখ নতুন ভোটারকে নিবন্ধন করা হয়। প্রকল্পটি অংশগ্রহণমূলক ও নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নে ভূমিকা রাখে।
প্রকল্প বন্ধের ঘোষণা এলেও বিজ্ঞপ্তিতে তহবিল প্রত্যাহারের কারণ উল্লেখ নেই: প্রকল্প বন্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে জাতিসংঘের ঢাকাস্থ আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাঠানো হয়েছে। ‘ক্লোজ অব প্রজেক্ট: স্টেংদেনিং ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাতাদের তহবিল প্রত্যাহারের কোন কারণ উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া ওই প্রকল্প আগামী বছরের মার্চে চলার কথা থাকলেও দাতারা তহবিল প্রত্যাহার করে নেয়ায় চলতি মাসেই প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। জাতিসংঘ জানায়, ১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় শক্তিশালীকরণে সংস্থাটি সহায়তা দিয়ে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আওতায় ‘বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। ভোটার নিবন্ধনপ্রক্রিয়াসহ নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ ও আধুনিক নির্বাচনী চর্চাগুলো প্রবর্তনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করতে ওই প্রকল্প ভূমিকা রেখেছে। চলতি জুলাইয়ে ওই প্রকল্প শেষ করে দিলেও ইউএনডিপি এ দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে তাদের অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে ইউএনডিপির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের’ লক্ষ্য গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা জোরদার করা। এ প্রকল্পে অংশীদাররা হলো- বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি), ইউরোপীয় কমিশন, যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক দপ্তর ডিএফআইডি ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা ইউএসএআইডি। প্রকল্পে অর্থায়নবিষয়ক তথ্যে বলা হয়েছে, ওই প্রকল্পের আওতায় প্রতি বছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক কোটি ৩৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬৩০ ডলার, ডিএফআইডি ২৫ লাখ ডলার, ইউএনডিপি টিআরএসি (টার্গেট ফর রিসোর্স অ্যাসাইনমেন্ট ফ্রম দ্য কোর ফান্ডিং) ২০ লাখ ১৪ হাজার ৪২৩ ডলার এবং ইউএসএআইডি ১৪ লাখ ডলার দিয়ে আসছিল। ২০১১ সালে ওই প্রকল্পে ছয় লাখ ৪৯ হাজার ৬৬০ দশমিক ৫৭ ডলার এবং ২০১২ সালে ৭১ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪৫ দশমিক ৮৫ ডলার দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে ইউএনডিপির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পালনে এবং শাসনব্যবস্থার একটি স্থায়ী, পেশাদার, বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হতে সহায়তা করতে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন, এর সচিবালয় ও স্থানীয় দপ্তরগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ প্রকল্প’ নেয়া হয়েছিল। ২০০৮ সালে নির্বাচনী সংস্কারপ্রক্রিয়া শুরুর প্রেক্ষাপটে এটি করা হয়েছিল। প্রকল্পের আওতায় ২০১২ সালে ৭০ লাখ নতুন ভোটারকে নিবন্ধন করা হয়। প্রকল্পটি অংশগ্রহণমূলক ও নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নে ভূমিকা রাখে।
No comments