‘অস্ত্র’ বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের by রানা আব্বাস
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শিষ্যদের কাছে দারুণ কিছু প্রত্যাশা করছেন স্পিন কোচ কালপাগে। ফাইল ছবি |
বৃহস্পতিবার
দুপুরের পর জরুরি সভায় বসেছিল বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। শেষ হতে বিকেল
সাড়ে পাঁচটা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রণপরিকল্পনা ঠিক করতেই এ সভা। সভায়
কী কী আলোচনা হলো, জানার উপায় নেই। তবে এটা ধারণা করা যেতেই পারে, সভায়
স্পিন আক্রমণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে ঢের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভালো করতে
স্পিন আক্রমণে জোর দেওয়ার যে বিকল্প নেই।
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে চার পেসার খেলিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এ কৌশল প্রয়োগের সম্ভাবনা সীমিত। অতীত রেকর্ড বলছে, স্পিনেই আটকাতে হবে প্রোটিয়াদের। ২০১১ বিশ্বকাপের পর এশিয়ার মাটিতে ১৩টি ওয়ানডে খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ সময়ে প্রতিপক্ষের পেসার নিয়েছেন ৩৯ উইকেট, স্পিনাররা ৬২টি। উপমহাদেশের কন্ডিশনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাস্ত করতে হলে স্পিনই হবে সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হোটেল সোনারগাঁওয়ের লবিতে কথা হলো বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচ রুয়ান কালপাগের সঙ্গে। বাংলাদেশের আক্রমণ কেবল স্পিননির্ভর হবে—সরাসরি না বললেও মানছেন পেস আক্রমণে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিনই, ‘দলে দারুণ কিছু স্পিনার রয়েছে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আছে। সে সবচেয়ে অভিজ্ঞ স্পিনার আমাদের দলে। গত আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর দলে ফিরল সোহাগ গাজী। বেশ কয়েকজন তরুণ প্রতিভাবান স্পিনার রয়েছে। তার মানে এই নয় আমাদের বোলিং আক্রমণ কেবল স্পিননির্ভর হবে। তবে স্পিনারদের বিরাট সুযোগ রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভালো করার। যদি দক্ষিণ আফ্রিকার ফাস্ট বোলারদের সঙ্গে আমাদের ফাস্ট বোলারদের তুলনা করেন, তবে তারা এগিয়ে থাকবে।’
কেবল বাংলাদেশের মাটিতে নয়, যেকোনো মাঠেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পেসারদের তুলনায় বাংলাদেশের স্পিনাররা তুলনামূলক সফল। ওয়ানডেতে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছে ১৪ বার। প্রোটিয়াদের ৫২ উইকেট নিতে পেরেছেন বাংলাদেশি বোলাররা। এর মধ্যে ২৪ উইকেট নিয়েছেন পেসাররা, বাকি ২৮টি স্পিনাররা। টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি দুবার। এই দুই ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। এর মধ্যে নয়টিই স্পিনারদের দখলে।
এবার স্পিন নিয়ে কী পরিকল্পনা বাংলাদেশের? সাকিব-তাইজুলরা পারবেন আবারও দারুণ কিছু সাফল্য উপহার দিতে? প্রত্যাশা আছে, তবে কালপাগে মনে করিয়ে দিতে চাইলেন র্যাঙ্কিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থানটাও, ‘পরিকল্পনা তো আছেই। ভুলে যাবেন না তারা টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর দল। ওয়ানডেতে চার। এমন প্রতিপক্ষকে অন্যভাবে দেখতে হবে। তারা শীর্ষ দল হয়েছে সব দলের বিপক্ষে ভালো খেলেই। উপমহাদেশের কন্ডিশনে ভারত, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তারা ভালো খেলেছে। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলাটা চ্যালেঞ্জিং। এমন দলের বিপক্ষে স্পিন নিয়ে অবশ্যই আমাদের পরিকল্পনা আছে। তা ছাড়া গোটা দেশ ভীষণ রোমাঞ্চিত। কারণ, আমরা ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ খেলেছি। দক্ষিণ আফ্রিকা খুব শক্তিশালী দল ঠিক আছে। তবে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে ভালো করার।’
সাকিব আল হাসান বাদে দলের বেশির ভাগ স্পিনারই তরুণ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতাও অনেকের নেই। স্পিন কোচ তাই বললেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট নিতে স্পিনারদের নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। এও বুঝতে হবে, সাকিব বাদে আমাদের বেশির ভাগ স্পিনারের অভিজ্ঞতা খুব বেশি দিনের নয়। তবে এখন পর্যন্ত তারা তাদের সেরাটাই দিয়েছে। আশা করি, এ সিরিজেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।’
ওয়ানডেতে ধারাবাহিক সাফল্য পেলেও টেস্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে আছে প্রশ্ন। টেস্টে জিততে হলে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়ার বিকল্প নেই। প্রতিপক্ষকে দুবার অলআউট করতে বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনা জরুরি বলে মনে করেন কালপাগে, ‘প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়া এখনো আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নিতে হলে সাকিবকে ছাড়া চারজন বিশেষজ্ঞ বোলার দরকার। সাকিব দলে থাকা আমাদের জন্য বাড়তি সুবিধা। একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলাতে পারি। তবে বোলিংয়ে আরও বৈচিত্র্য আনতে হবে। ওয়ানডেতে আমাদের বোলিং বৈচিত্র্য দারুণ। টেস্টে সেটা থাকে না। কারণ, কেউ ফিট নয়, কেউ আবার চোটাক্রান্ত।’
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে চার পেসার খেলিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এ কৌশল প্রয়োগের সম্ভাবনা সীমিত। অতীত রেকর্ড বলছে, স্পিনেই আটকাতে হবে প্রোটিয়াদের। ২০১১ বিশ্বকাপের পর এশিয়ার মাটিতে ১৩টি ওয়ানডে খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ সময়ে প্রতিপক্ষের পেসার নিয়েছেন ৩৯ উইকেট, স্পিনাররা ৬২টি। উপমহাদেশের কন্ডিশনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাস্ত করতে হলে স্পিনই হবে সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হোটেল সোনারগাঁওয়ের লবিতে কথা হলো বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচ রুয়ান কালপাগের সঙ্গে। বাংলাদেশের আক্রমণ কেবল স্পিননির্ভর হবে—সরাসরি না বললেও মানছেন পেস আক্রমণে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিনই, ‘দলে দারুণ কিছু স্পিনার রয়েছে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আছে। সে সবচেয়ে অভিজ্ঞ স্পিনার আমাদের দলে। গত আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর দলে ফিরল সোহাগ গাজী। বেশ কয়েকজন তরুণ প্রতিভাবান স্পিনার রয়েছে। তার মানে এই নয় আমাদের বোলিং আক্রমণ কেবল স্পিননির্ভর হবে। তবে স্পিনারদের বিরাট সুযোগ রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভালো করার। যদি দক্ষিণ আফ্রিকার ফাস্ট বোলারদের সঙ্গে আমাদের ফাস্ট বোলারদের তুলনা করেন, তবে তারা এগিয়ে থাকবে।’
কেবল বাংলাদেশের মাটিতে নয়, যেকোনো মাঠেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পেসারদের তুলনায় বাংলাদেশের স্পিনাররা তুলনামূলক সফল। ওয়ানডেতে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছে ১৪ বার। প্রোটিয়াদের ৫২ উইকেট নিতে পেরেছেন বাংলাদেশি বোলাররা। এর মধ্যে ২৪ উইকেট নিয়েছেন পেসাররা, বাকি ২৮টি স্পিনাররা। টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি দুবার। এই দুই ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। এর মধ্যে নয়টিই স্পিনারদের দখলে।
এবার স্পিন নিয়ে কী পরিকল্পনা বাংলাদেশের? সাকিব-তাইজুলরা পারবেন আবারও দারুণ কিছু সাফল্য উপহার দিতে? প্রত্যাশা আছে, তবে কালপাগে মনে করিয়ে দিতে চাইলেন র্যাঙ্কিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থানটাও, ‘পরিকল্পনা তো আছেই। ভুলে যাবেন না তারা টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর দল। ওয়ানডেতে চার। এমন প্রতিপক্ষকে অন্যভাবে দেখতে হবে। তারা শীর্ষ দল হয়েছে সব দলের বিপক্ষে ভালো খেলেই। উপমহাদেশের কন্ডিশনে ভারত, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তারা ভালো খেলেছে। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলাটা চ্যালেঞ্জিং। এমন দলের বিপক্ষে স্পিন নিয়ে অবশ্যই আমাদের পরিকল্পনা আছে। তা ছাড়া গোটা দেশ ভীষণ রোমাঞ্চিত। কারণ, আমরা ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ খেলেছি। দক্ষিণ আফ্রিকা খুব শক্তিশালী দল ঠিক আছে। তবে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে ভালো করার।’
সাকিব আল হাসান বাদে দলের বেশির ভাগ স্পিনারই তরুণ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতাও অনেকের নেই। স্পিন কোচ তাই বললেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট নিতে স্পিনারদের নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। এও বুঝতে হবে, সাকিব বাদে আমাদের বেশির ভাগ স্পিনারের অভিজ্ঞতা খুব বেশি দিনের নয়। তবে এখন পর্যন্ত তারা তাদের সেরাটাই দিয়েছে। আশা করি, এ সিরিজেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।’
ওয়ানডেতে ধারাবাহিক সাফল্য পেলেও টেস্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে আছে প্রশ্ন। টেস্টে জিততে হলে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়ার বিকল্প নেই। প্রতিপক্ষকে দুবার অলআউট করতে বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনা জরুরি বলে মনে করেন কালপাগে, ‘প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়া এখনো আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নিতে হলে সাকিবকে ছাড়া চারজন বিশেষজ্ঞ বোলার দরকার। সাকিব দলে থাকা আমাদের জন্য বাড়তি সুবিধা। একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলাতে পারি। তবে বোলিংয়ে আরও বৈচিত্র্য আনতে হবে। ওয়ানডেতে আমাদের বোলিং বৈচিত্র্য দারুণ। টেস্টে সেটা থাকে না। কারণ, কেউ ফিট নয়, কেউ আবার চোটাক্রান্ত।’
No comments