আইসিটি বিভাগের উদ্ভাবন তহবিলের অনুদান- সিপি গ্যাং রাতারাতি হয়ে গেল হ্যাপিওয়ার্কস by রাহিতুল ইসলাম
মিশান হাউস, ১৭/ডি, রোড-২, মহানগর প্রজেক্ট, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা—এ ঠিকানায় হ্যাপিওয়ার্কস খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং তিন তলার দরজায় সিপি গ্যাং প্রোডাকশন্স লিমিটেডের নামফলক (ইনসেটে) |
অনলাইন,
বিশেষ করে ফেসবুক পেজভিত্তিক সংগঠন সিপি গ্যাং প্রোডাকশন লিমিটেড নাকি
হ্যাপিওয়ার্কস নামের প্রতিষ্ঠান তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের উদ্ভাবন
তহবিলের অনুদান পেয়েছে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। অনুদানের চেক
হস্তান্তরের মাত্র এক দিনের মধ্যে অনুদানপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন
হয়ে গেছে। আদতে নাম দুটি হলেও প্রতিষ্ঠান একটিই।
৩০ জুন সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি বিভাগের সম্মেলনকক্ষে উদ্ভাবন তহবিলের (ইনোভেশন ফান্ড) আওতায় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে উদ্ভাবনী কাজের জন্য ২০১৪-১৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের অনুদান এবং উচ্চশিক্ষার জন্য ফেলোশিপের চেক হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানের পর আইসিটি বিভাগ থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনুষ্ঠানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এবং অনুদান ও ফেলোশিপপ্রাপ্তদের তালিকা পাঠানো হয়। উদ্ভাবন তহবিল থেকে তৃতীয় পর্বে অনুদানপ্রাপ্তদের তালিকার ২ নম্বর ক্রমিকে সিপি গ্যাং প্রোডাকশন লিমিটেডকে চার লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
১ জুলাই প্রথম আলোসহ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের অনুদানপ্রাপ্তদের তালিকায় সিপি গ্যাংয়ের নাম থাকায় অনলাইনে তুমুল আলোচনার ঝড় ওঠে। এর কারণ, সিপি গ্যাং নামের সংগঠনটি অনলাইনে কুরুচিপূর্ণ ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রোপাগান্ডা চালানোর জন্য সমালোচিত।
কে কোন প্রকল্পের জন্য অনুদান পেয়েছে, সেই তালিকা আইসিটি বিভাগ থেকে পাওয়া যায় ১ জুলাই সন্ধ্যায়। এই তালিকায় সিপি গ্যাংয়ের নাম নেই। ক্রমিক-২-এ আছে ‘হ্যাপিওয়ার্কস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নাম। ঠিকানা হিসেবে আছে, ১৭/ডি, রোড-২, মহানগর প্রজেক্ট, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি ‘ভিডিও ডেটা ভিত্তিক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা’ উদ্ভাবনের জন্য অনুদান পেয়েছে।
চেক হস্তান্তরের দিন গণমাধ্যমে আইসিটি বিভাগ থেকে পাঠানো তালিকায় সিপি গ্যাং প্রোডাকশন্স লিমিটেডের নাম থাকার বিষয়টি করণিক ভুল (ক্লারিক্যাল মিস্টেক) বলে উল্লেখ করেন আইসিটি বিভাগের উপসচিব (ই-সার্ভিস ডেলিভারি) বিকর্ণ কুমার ঘোষ। গতকাল বৃহস্পতিবার ফোনে তিনি প্রথম আলোকে জানান, ‘ভুলবশত তালিকায় সিপি গ্যাং প্রোডাকশন্সের নাম ছিল। আসলে অনুদান পেয়েছে হ্যাপিওয়ার্কস। আমার জানামতে দুটি আলাদা প্রতিষ্ঠান।’
সিপি গ্যাং আর হ্যাপিওয়ার্কস একই মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান কি না, জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘এটা আমি বলতে পারব না।’
বিকর্ণ কুমার ঘোষ জানান, উদ্ভাবনী প্রকল্পের ধারণাসহ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অনুদানের জন্য আবেদন করে। এরপর বাছাই কমিটির কাছে ধারণার উপস্থাপনা হয়। অনুদান কারা পাবে, তা নির্ধারণ করে বাছাই কমিটি।
এদিকে গতকাল বিকেলে হ্যাপিওয়ার্কসের ঠিকানায় গিয়ে দেখা যায়, এটা আসলে সিপি গ্যাং প্রোডাকশন লিমিটেডের অফিস। ওই ঠিকানায় ‘মিশান হাউস’ নামের পাঁচ তলা দালানে হ্যাপিওয়ার্কস নামে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। তবে তিন তলায় আছে সিপি গ্যাং।
সিপি গ্যাং প্রোডাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল হান্নান (অনলাইন নাম রাসেল রহমান) প্রথম আলোকে ফোনে বলেন, ‘আমরা ভিডিওভিত্তিক যানজট নিরসনের একটি পদ্ধতির অ্যাপের ধারণা দিয়ে আবেদন করেছিলাম। সে জন্য এই অনুদান পেয়েছি।’
সিপি গ্যাং আর হ্যাপিওয়ার্কস কি একই প্রতিষ্ঠান? এ প্রশ্নের উত্তরে রাসেল বলেন, ‘ওটা (হ্যাপিওয়ার্কস) আমার হতে যাবে কেন? আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন কেন? এটা কার আমি জানি না।’ তিনি এরপর আবার বলেন, ‘এই কাজটি সম্ভবত আমরা করব না। চেক হস্তান্তরের দিন আমি উপস্থিত ছিলাম না। পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি আমরা অনুদান পেয়েছি।’
তালিকায় উল্লেখ করা হ্যাপিওয়ার্কসের ঠিকানায় যে সিপি গ্যাংয়ের অফিস, এ সম্পর্কে জানতে চাইলে গতকাল রাতে ফোনে বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, ‘এটা আমার জানা নেই। আমরা সিপি গ্যাংকে কোনো অনুদান দেইনি। একটা একটা করে ঠিকানা পরীক্ষা করাও আমাদের পক্ষে সম্ভব না। করতে পারলে ভালো হতো, তবে সেই জনশক্তি আমাদের নেই।’ ৩০ জুন এই চার লাখ টাকা অনুদানের চেক আসলে কে গ্রহণ করল? জানতে চাইলে বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, ‘এটা রোববার অফিস খুললে তালিকা দেখে বলতে পারব।’
৩০ জুন সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি বিভাগের সম্মেলনকক্ষে উদ্ভাবন তহবিলের (ইনোভেশন ফান্ড) আওতায় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে উদ্ভাবনী কাজের জন্য ২০১৪-১৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের অনুদান এবং উচ্চশিক্ষার জন্য ফেলোশিপের চেক হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানের পর আইসিটি বিভাগ থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনুষ্ঠানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এবং অনুদান ও ফেলোশিপপ্রাপ্তদের তালিকা পাঠানো হয়। উদ্ভাবন তহবিল থেকে তৃতীয় পর্বে অনুদানপ্রাপ্তদের তালিকার ২ নম্বর ক্রমিকে সিপি গ্যাং প্রোডাকশন লিমিটেডকে চার লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
১ জুলাই প্রথম আলোসহ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের অনুদানপ্রাপ্তদের তালিকায় সিপি গ্যাংয়ের নাম থাকায় অনলাইনে তুমুল আলোচনার ঝড় ওঠে। এর কারণ, সিপি গ্যাং নামের সংগঠনটি অনলাইনে কুরুচিপূর্ণ ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রোপাগান্ডা চালানোর জন্য সমালোচিত।
কে কোন প্রকল্পের জন্য অনুদান পেয়েছে, সেই তালিকা আইসিটি বিভাগ থেকে পাওয়া যায় ১ জুলাই সন্ধ্যায়। এই তালিকায় সিপি গ্যাংয়ের নাম নেই। ক্রমিক-২-এ আছে ‘হ্যাপিওয়ার্কস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নাম। ঠিকানা হিসেবে আছে, ১৭/ডি, রোড-২, মহানগর প্রজেক্ট, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি ‘ভিডিও ডেটা ভিত্তিক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা’ উদ্ভাবনের জন্য অনুদান পেয়েছে।
চেক হস্তান্তরের দিন গণমাধ্যমে আইসিটি বিভাগ থেকে পাঠানো তালিকায় সিপি গ্যাং প্রোডাকশন্স লিমিটেডের নাম থাকার বিষয়টি করণিক ভুল (ক্লারিক্যাল মিস্টেক) বলে উল্লেখ করেন আইসিটি বিভাগের উপসচিব (ই-সার্ভিস ডেলিভারি) বিকর্ণ কুমার ঘোষ। গতকাল বৃহস্পতিবার ফোনে তিনি প্রথম আলোকে জানান, ‘ভুলবশত তালিকায় সিপি গ্যাং প্রোডাকশন্সের নাম ছিল। আসলে অনুদান পেয়েছে হ্যাপিওয়ার্কস। আমার জানামতে দুটি আলাদা প্রতিষ্ঠান।’
সিপি গ্যাং আর হ্যাপিওয়ার্কস একই মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান কি না, জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘এটা আমি বলতে পারব না।’
বিকর্ণ কুমার ঘোষ জানান, উদ্ভাবনী প্রকল্পের ধারণাসহ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অনুদানের জন্য আবেদন করে। এরপর বাছাই কমিটির কাছে ধারণার উপস্থাপনা হয়। অনুদান কারা পাবে, তা নির্ধারণ করে বাছাই কমিটি।
এদিকে গতকাল বিকেলে হ্যাপিওয়ার্কসের ঠিকানায় গিয়ে দেখা যায়, এটা আসলে সিপি গ্যাং প্রোডাকশন লিমিটেডের অফিস। ওই ঠিকানায় ‘মিশান হাউস’ নামের পাঁচ তলা দালানে হ্যাপিওয়ার্কস নামে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। তবে তিন তলায় আছে সিপি গ্যাং।
সিপি গ্যাং প্রোডাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল হান্নান (অনলাইন নাম রাসেল রহমান) প্রথম আলোকে ফোনে বলেন, ‘আমরা ভিডিওভিত্তিক যানজট নিরসনের একটি পদ্ধতির অ্যাপের ধারণা দিয়ে আবেদন করেছিলাম। সে জন্য এই অনুদান পেয়েছি।’
সিপি গ্যাং আর হ্যাপিওয়ার্কস কি একই প্রতিষ্ঠান? এ প্রশ্নের উত্তরে রাসেল বলেন, ‘ওটা (হ্যাপিওয়ার্কস) আমার হতে যাবে কেন? আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন কেন? এটা কার আমি জানি না।’ তিনি এরপর আবার বলেন, ‘এই কাজটি সম্ভবত আমরা করব না। চেক হস্তান্তরের দিন আমি উপস্থিত ছিলাম না। পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি আমরা অনুদান পেয়েছি।’
তালিকায় উল্লেখ করা হ্যাপিওয়ার্কসের ঠিকানায় যে সিপি গ্যাংয়ের অফিস, এ সম্পর্কে জানতে চাইলে গতকাল রাতে ফোনে বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, ‘এটা আমার জানা নেই। আমরা সিপি গ্যাংকে কোনো অনুদান দেইনি। একটা একটা করে ঠিকানা পরীক্ষা করাও আমাদের পক্ষে সম্ভব না। করতে পারলে ভালো হতো, তবে সেই জনশক্তি আমাদের নেই।’ ৩০ জুন এই চার লাখ টাকা অনুদানের চেক আসলে কে গ্রহণ করল? জানতে চাইলে বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, ‘এটা রোববার অফিস খুললে তালিকা দেখে বলতে পারব।’
No comments