কিরণমালায় মাত তরুণীরা
এখনও
ঈদের বাকি প্রায় ১৫ দিন। ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে ঈদ বাজার। নতুন ডিজাইন আর
কারুকাজের পোশাক কিনতে ক্রেতারা ছুটছেন দোকানে দোকানে। এবারের ঈদ বাজারে
তরুণীরা ছুটছেন ‘কিরণমালার’ খোঁজে। ভারতীয় জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘কিরণমালা’
নামের পোশাকটি মধ্যবিত্তের বাজার ছেয়ে গেছে। রাজধানীর বঙ্গবাজার, নিউ
মার্কেট, গাউছিয়াসহ বেশ কিছু মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে বিশেষ এই পোশাকের
দিকেই ঝোঁক তরুণীদের। আর এসব পোশাকের বিশেষ এই ধরনের নামকরণও হয় এই
উদ্দেশ্যেই বলে জানালেন নিউ মার্কেটের কাপড়ের ব্যবসায়ী নয়ন।
রাজধানীর বঙ্গবাজার, গাউছিয়া ও নিউ মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, এবার ভারতীয় পোশাক কিরণমালার জয়জয়কার অবস্থা। এমন কোন দোকান নেই যে দোকানে পোশাকটি খুঁজে পাওয়া যাবে না। থরে থরে সাজানো হয়েছে প্রতিটি দোকান। যেন সহজেই চোখে পড়ে এজন্য কেউ রেখেছেন দোকানের সামনে আবার কেউ নারী সদৃশ বড় বড় পুতুলকে পরিয়ে দিয়েছেন এসব পোশাক। কিরণমালা বড় মেয়েদের পাশাপাশি ছোট শিশুদেরও পছন্দের তালিকায় প্রথম। ফলে দোকানদাররা কিরণমালা ছাড়া আর অন্য পোশাকও বেশি রাখছেন না। মধ্যবিত্তের জন্য দামে চড়া হলে তবু চাই এ পোশাক। পোশাকটি ১৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানালেন বাধন ফ্যশেনের কর্মী সুমন। তবে একই কিরণমালা ইস্টার্ন প্লাজায় বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। মিনি ডলস শোরুমের মাসুম বলেন, ছেলেদের জন্য মোদি ও মেয়েদের জন্য কিরণমালা। মোদি পোশাক পাওয়া যাচ্ছে ৩ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায়। কিরণমালা পাওয়া যাচ্ছে ২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকায়। নিউ মার্কেটের একটি দোকানের বাইরে নড়াচড়া করে কিরণমালা পোশাক দেখছিলেন সুমনা বেগম। তিনি বলেন, একমাত্র মেয়ে ৯ম শ্রেণীতে পড়ে। তার প্রাইভেট থাকায় তাকে নিয়ে আসতে পারেননি। তবে তিনিই তার জন্য নতুন মডেলের এই পোশাকটির নাম শুনে দেখছেন এবং নিয়েও যাবেন। একই মার্কেটে মায়ের সঙ্গে এসেছেন ৫ বছরের মৌসুমী আক্তার। সে কিরণমালা দেখেই জিদ ধরেছে ওই পোশাক ছাড়া আর কিছু নেবে না। ঈদকে সামনে রেখে দুপুরের পরেই মার্কেটগুলোর কেনাটাকাটা জমে উঠছে। আর তা থাকছে রাত পর্যন্ত। তবে এখন পুরুষ ক্রেতার চেয়ে নারী ক্রেতাই বেশি। রোজার অর্ধেক থাকায় বাসার কাজকর্মও কম। সংসারে তেমন চাপ নেই এখন। ফলে এ সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন নারীরা। নিউ মার্কেট মধ্যবিত্তের মার্কেট। যারা খুব দামি কাপড় কিনতে পারেন না তাদের জন্যই এই মার্কেট। স্বল্প দামে বেশ ভাল কাপড় পাওয়া যায়। নিউ মার্কেটে কোন কাপড় যে দামে পাওয়া যায় তার অর্ধেক দামেই মিলে বঙ্গবাজারে। ফলে স্বল্প টাকার আরেক শেষস্থল এই মার্কেট। তবে এখানেও ভারতীয় পোশাকের একক আধিপত্য। ভারতীয় সিরিয়ালের নামে নাম রাখা হয়েছে আরও কিছু পণ্যের নাম। এগুলো হচ্ছে পিয়র, লাভস্টোরি, সুস্মিতা ও গুরুজি। এই তিন শাড়ির মধ্যে এবার নারীদের বেশ পছন্দের গুরুজি বলে জানালেন বঙ্গ মার্কেটের আরাফাত শাড়ি হাউজের আরিফ। তিনি বলেন, এবার গুরুজি শাড়িটা একটু বেশিই চলছে। তবে কিরণমালার এই জোয়ার উচ্চবিত্তের বাজার খুব বেশি ছুঁতে পারেনি। বসুন্ধরা সিটি, ইস্টার্ন প্লাজা, ইস্টার্ন মল্লিকাসহ উচ্চবিত্তের শপিং মলে চলছে বেলবেট কোটি, ফ্লোর টাচ্, শিপনসহ তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ড। ইস্টার্ন প্লাজার স্টার ওয়ার্ল্ডের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বজল জানান, এবারের ঈদে বেশি চলছে বেলবেট কোটি। ভারতীয় পোশাকটির দাম রাখা হচ্ছে ১০ হাজার থেকে ৪২ হাজার টাকা পর্যন্ত। দ্বিতীয় চাহিদা সম্পন্ন পোশাক হচ্ছে ফ্লোর টাচ। পোশাকটির দাম রাখা হচ্ছে ৬ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
রাজধানীর বঙ্গবাজার, গাউছিয়া ও নিউ মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, এবার ভারতীয় পোশাক কিরণমালার জয়জয়কার অবস্থা। এমন কোন দোকান নেই যে দোকানে পোশাকটি খুঁজে পাওয়া যাবে না। থরে থরে সাজানো হয়েছে প্রতিটি দোকান। যেন সহজেই চোখে পড়ে এজন্য কেউ রেখেছেন দোকানের সামনে আবার কেউ নারী সদৃশ বড় বড় পুতুলকে পরিয়ে দিয়েছেন এসব পোশাক। কিরণমালা বড় মেয়েদের পাশাপাশি ছোট শিশুদেরও পছন্দের তালিকায় প্রথম। ফলে দোকানদাররা কিরণমালা ছাড়া আর অন্য পোশাকও বেশি রাখছেন না। মধ্যবিত্তের জন্য দামে চড়া হলে তবু চাই এ পোশাক। পোশাকটি ১৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানালেন বাধন ফ্যশেনের কর্মী সুমন। তবে একই কিরণমালা ইস্টার্ন প্লাজায় বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। মিনি ডলস শোরুমের মাসুম বলেন, ছেলেদের জন্য মোদি ও মেয়েদের জন্য কিরণমালা। মোদি পোশাক পাওয়া যাচ্ছে ৩ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায়। কিরণমালা পাওয়া যাচ্ছে ২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকায়। নিউ মার্কেটের একটি দোকানের বাইরে নড়াচড়া করে কিরণমালা পোশাক দেখছিলেন সুমনা বেগম। তিনি বলেন, একমাত্র মেয়ে ৯ম শ্রেণীতে পড়ে। তার প্রাইভেট থাকায় তাকে নিয়ে আসতে পারেননি। তবে তিনিই তার জন্য নতুন মডেলের এই পোশাকটির নাম শুনে দেখছেন এবং নিয়েও যাবেন। একই মার্কেটে মায়ের সঙ্গে এসেছেন ৫ বছরের মৌসুমী আক্তার। সে কিরণমালা দেখেই জিদ ধরেছে ওই পোশাক ছাড়া আর কিছু নেবে না। ঈদকে সামনে রেখে দুপুরের পরেই মার্কেটগুলোর কেনাটাকাটা জমে উঠছে। আর তা থাকছে রাত পর্যন্ত। তবে এখন পুরুষ ক্রেতার চেয়ে নারী ক্রেতাই বেশি। রোজার অর্ধেক থাকায় বাসার কাজকর্মও কম। সংসারে তেমন চাপ নেই এখন। ফলে এ সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন নারীরা। নিউ মার্কেট মধ্যবিত্তের মার্কেট। যারা খুব দামি কাপড় কিনতে পারেন না তাদের জন্যই এই মার্কেট। স্বল্প দামে বেশ ভাল কাপড় পাওয়া যায়। নিউ মার্কেটে কোন কাপড় যে দামে পাওয়া যায় তার অর্ধেক দামেই মিলে বঙ্গবাজারে। ফলে স্বল্প টাকার আরেক শেষস্থল এই মার্কেট। তবে এখানেও ভারতীয় পোশাকের একক আধিপত্য। ভারতীয় সিরিয়ালের নামে নাম রাখা হয়েছে আরও কিছু পণ্যের নাম। এগুলো হচ্ছে পিয়র, লাভস্টোরি, সুস্মিতা ও গুরুজি। এই তিন শাড়ির মধ্যে এবার নারীদের বেশ পছন্দের গুরুজি বলে জানালেন বঙ্গ মার্কেটের আরাফাত শাড়ি হাউজের আরিফ। তিনি বলেন, এবার গুরুজি শাড়িটা একটু বেশিই চলছে। তবে কিরণমালার এই জোয়ার উচ্চবিত্তের বাজার খুব বেশি ছুঁতে পারেনি। বসুন্ধরা সিটি, ইস্টার্ন প্লাজা, ইস্টার্ন মল্লিকাসহ উচ্চবিত্তের শপিং মলে চলছে বেলবেট কোটি, ফ্লোর টাচ্, শিপনসহ তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ড। ইস্টার্ন প্লাজার স্টার ওয়ার্ল্ডের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বজল জানান, এবারের ঈদে বেশি চলছে বেলবেট কোটি। ভারতীয় পোশাকটির দাম রাখা হচ্ছে ১০ হাজার থেকে ৪২ হাজার টাকা পর্যন্ত। দ্বিতীয় চাহিদা সম্পন্ন পোশাক হচ্ছে ফ্লোর টাচ। পোশাকটির দাম রাখা হচ্ছে ৬ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
No comments