বিএমপি কমিশনারকে প্রত্যাহারের সুপারিশ
পদোন্নতির জন্য ঘুষ সংগ্রহের ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তোলপাড় চলছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে (বিএমপি)। এরই মধ্যে একজন উপ-কমিশনারসহ ১১ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার। ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরীকে বিএমপি থেকে প্রত্যাহারসহ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে পুলিশের সিকিউরিটি সেলের তদন্ত কমিটি। জানা গেছে, ওই ঘটনা পুলিশ কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরীসহ বিএমপি’র ৪ ডিসিও জানতেন। ঘুষ সংগ্রহে বিএমপির এক ডিসি’র কার্যালয়ে বৈঠকও হয়েছে। বৈঠকের ঘটনা পুলিশ কমিশনারসহ ৪ ডিসি জানলেও পরে তা ধামাচাপা দেয়া হয়।
জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরে বিএমপিতে কর্মরত কনস্টেবল থেকে এএসআই পর্যন্ত প্রায় ৮০০ পুলিশ সদস্য পদোন্নতি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে ৩৩২ জন পদোন্নতি পায়। যার মধ্যেই ২৩০ জনই কনস্টেবল। পদোন্নতি পেলেও তাদের পদায়নের কোন জায়গা ছিল না। এ অবস্থায় পদায়নের জন্য স্বরাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়ে তদবিরের নামে ঘুষ সংগ্রহে নামে পুলিশ সদস্যরা। ঘুষ উত্তোলন করা হয় প্রায় ৭৭ লাখ টাকা। বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড ও ইন্টারনাল ইনভেস্টিগেশন শাখা তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তাসহ ৩ এএসআই ও ৭ পুলিশ কনস্টেবলের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায়। পরে গত ২৯শে জুন প্রাথমিকভাবে ৩ এএসআই ও ৭ পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গত বুধবার বরখাস্ত করা হয় ডিসি জিলুর রহমানকে।
বিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ঘুষ সংগ্রহের জন্য বিএমপির এক উপ- পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে গোপন বৈঠক হয়। যা পুলিশ কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরীসহ ৪ ডিসি যেনে গেলে হৈচৈ পড়ে যায়। পরে অবশ্য তা চেপে যান সবাই। ঘুষের টাকা উত্তোলনের দায়িত্ব দেয়া হয় উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জিল্লুর রহমানকে। পুলিশ হেড কোয়ার্টার ঘুষ সংগ্রহের বিষয় জেনে তদন্তে নামলে বিএমপি’র ৫ শীর্ষ কর্মকর্তাই নিজেদের রক্ষায় মরিয়া হয়ে ওঠেন। অবশ্য পুলিশ কনস্টেবল ও এসআইদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা ডিসি জিল্লুর হেডকোয়ার্টারের তদন্তে ফেঁসে যান। উত্তোলিত ৭৭ লাখ টাকার মধ্যে মাত্র ১৭ লাখ টাকার হদিস পাওয়া গেলেও বাকি অর্থের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযুক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জিল্লুর রহমানের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সিকিউরিটি সেলের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি আলমগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, বরিশাল মেট্রোপলিটনের শীর্ষ কর্মকর্তা হওয়ায় পুলিশ কমিশনার ঘুষ কেলেঙ্কারির দায় কোনভাবেই এড়াতে পারেন না। তদন্তে স্পষ্ট যে, শীর্ষ কর্মকর্তারা এই ঘটনার শুরু থেকে সবকিছুই জানতেন। এই অপরাধে কমিশনারকে প্রত্যাহারসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ সিকিউরিটি সেলের তদন্ত প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়ায় বিএমপি পুলিশের এক কনস্টেবল অভিযোগ করেন, পুলিশে তো সহজে পদায়ন হয় না। যে ঘুষ লেনদেন হয়েছে তা পুলিশ কমিশনারসহ সবাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জানতেন। তাদের তো অর্থ দেযার জন্য উপর থেকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এখন কেন তারা কয়েকজনই কেবল দোষী হবেন।
এ ব্যপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরী বলেন, টাকাগুলো উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। সেগুলো আছে, পাওয়াও যাবে। হেডকোয়র্টারের আগেই তারা গত ১৩ই জুন কমিটি গঠন করেছেন।
জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরে বিএমপিতে কর্মরত কনস্টেবল থেকে এএসআই পর্যন্ত প্রায় ৮০০ পুলিশ সদস্য পদোন্নতি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে ৩৩২ জন পদোন্নতি পায়। যার মধ্যেই ২৩০ জনই কনস্টেবল। পদোন্নতি পেলেও তাদের পদায়নের কোন জায়গা ছিল না। এ অবস্থায় পদায়নের জন্য স্বরাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়ে তদবিরের নামে ঘুষ সংগ্রহে নামে পুলিশ সদস্যরা। ঘুষ উত্তোলন করা হয় প্রায় ৭৭ লাখ টাকা। বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড ও ইন্টারনাল ইনভেস্টিগেশন শাখা তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তাসহ ৩ এএসআই ও ৭ পুলিশ কনস্টেবলের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায়। পরে গত ২৯শে জুন প্রাথমিকভাবে ৩ এএসআই ও ৭ পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গত বুধবার বরখাস্ত করা হয় ডিসি জিলুর রহমানকে।
বিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ঘুষ সংগ্রহের জন্য বিএমপির এক উপ- পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে গোপন বৈঠক হয়। যা পুলিশ কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরীসহ ৪ ডিসি যেনে গেলে হৈচৈ পড়ে যায়। পরে অবশ্য তা চেপে যান সবাই। ঘুষের টাকা উত্তোলনের দায়িত্ব দেয়া হয় উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জিল্লুর রহমানকে। পুলিশ হেড কোয়ার্টার ঘুষ সংগ্রহের বিষয় জেনে তদন্তে নামলে বিএমপি’র ৫ শীর্ষ কর্মকর্তাই নিজেদের রক্ষায় মরিয়া হয়ে ওঠেন। অবশ্য পুলিশ কনস্টেবল ও এসআইদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা ডিসি জিল্লুর হেডকোয়ার্টারের তদন্তে ফেঁসে যান। উত্তোলিত ৭৭ লাখ টাকার মধ্যে মাত্র ১৭ লাখ টাকার হদিস পাওয়া গেলেও বাকি অর্থের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযুক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জিল্লুর রহমানের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সিকিউরিটি সেলের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি আলমগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, বরিশাল মেট্রোপলিটনের শীর্ষ কর্মকর্তা হওয়ায় পুলিশ কমিশনার ঘুষ কেলেঙ্কারির দায় কোনভাবেই এড়াতে পারেন না। তদন্তে স্পষ্ট যে, শীর্ষ কর্মকর্তারা এই ঘটনার শুরু থেকে সবকিছুই জানতেন। এই অপরাধে কমিশনারকে প্রত্যাহারসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ সিকিউরিটি সেলের তদন্ত প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়ায় বিএমপি পুলিশের এক কনস্টেবল অভিযোগ করেন, পুলিশে তো সহজে পদায়ন হয় না। যে ঘুষ লেনদেন হয়েছে তা পুলিশ কমিশনারসহ সবাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জানতেন। তাদের তো অর্থ দেযার জন্য উপর থেকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এখন কেন তারা কয়েকজনই কেবল দোষী হবেন।
এ ব্যপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরী বলেন, টাকাগুলো উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। সেগুলো আছে, পাওয়াও যাবে। হেডকোয়র্টারের আগেই তারা গত ১৩ই জুন কমিটি গঠন করেছেন।
No comments