ব্লগারদের প্রতি সরকারের নিষ্ক্রিয় মনোভাব রয়েছে: অজয় রায়
চার মাস পার হলেও ছেলে অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অজয় রায়। শুক্রবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন |
ব্লগারদের
প্রতি সরকারের নিষ্ক্রিয় মনোভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত ব্লগার
অভিজিৎ রায়ের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অজয় রায়। আজ শুক্রবার
রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন। চার মাস
পার হলেও ছেলের হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন প্রবীণ
এই অধ্যাপক। বিশ্বব্যাপী
মুক্ত মত প্রকাশের অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি সংগঠন আর্টিকেল ১৯ ‘স্পন্দমান
ও শঙ্কামুক্ত অনলাইন ক্ষেত্র চাই’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে অনলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর ১২টি ধারা সংবলিত একটি সনদের
উদ্বোধন হয়।
অনুষ্ঠানে অজয় রায় বলেন, ‘অভিজিৎ হত্যার পর প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন দিয়ে সমবেদনা জানিয়েছেন। এ জন্য আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু বিষয়টা তিনি গণমাধ্যমে প্রকাশ করেননি কারণ এতে হয়তো ব্লগারদের প্রতি তাঁর সমর্থনের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যাবে। আমার বাসায় কয়েকজন মন্ত্রীও এসেছিলেন সান্ত্বনা দিতে। তারাও একই কারণে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেননি। এমনকি আওয়ামী লীগ কোনো ব্লগার হত্যার পর নিন্দা পর্যন্ত প্রকাশ করেনি।’
অভিজিৎকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্যের সমালোচনা করে অজয় রায় বলেন, ‘অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি উটকো ও অযাচিত মন্তব্য করেছেন।’
অজয় রায় অভিযোগ করে বলেন, ‘অল্প কয়দিনের মধ্যে তিনজন ব্লগার খুন হলেও সরকার বিষয়টিতে যথাযথ গুরুত্ব দেয়নি। বরং সরকারের মধ্যে এক ধরনের নিস্পৃহ ভাব দেখা গেছে। অভিজিৎ হত্যার চার মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘অভিজিতের মৃত্যুর পর থেকে আমরা দুঃসহ জীবন যাপন করছি। আমাদের পুরো পরিবারটা তছনছ হয়ে গেছে।’
অজয় রায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ দেশে মুক্ত ও প্রগতিশীলতার চর্চা হচ্ছে। এটি হবেও। তবে মুক্তচিন্তা মানেই কারও বিশ্বাসের ওপর বিরূপ মন্তব্য নয়। ব্লগার কিংবা যাঁরা ইন্টারনেটে লেখালেখি করছেন তাঁদের এ সব মেনে চলা উচিত। আর্টিকেল ১৯ এর সনদ ব্লগারদের সুরক্ষাকবচ হয়ে উঠবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ব্রিটিশ হাইকমিশনের রাজনৈতিক শাখার প্রধান আদ্রিয়ান জোনস ব্লগার হত্যার নিন্দা জানিয়ে বলেন, সামাজিক গণমাধ্যমগুলো এখন মুক্তমত প্রকাশের স্থান হয়ে উঠছে। তবে মুক্তমত প্রকাশের নামে ঘৃণা বা বিদ্বেষ ছড়ানো উচিত নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘অনলাইনে যারা লেখালেখি করছেন তাঁদের সহনশীলতার অভাব রয়েছে। কাউকে চট করে প্রগতিশীল বা মৌলবাদী, আস্তিক বা নাস্তিক ভেবে নেওয়া উচিত নয়। এসব বিভাজন সমস্যা তৈরি করে। আর ভিন্ন মতাদর্শের মানুষের প্রতিও সহনশীল হওয়া উচিত।’
আর্টিকেল ১৯ এর বাংলাদেশের পরিচালক তাহমিনা রহমান বলেন, ১২ দফার এই সনদে প্রচলিত হয়রানিমূলক আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ, আন্তর্জাতিক আইন নিশ্চিত করা, মত প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি না করা ও ব্লগারদের সুরক্ষাসহ নানা বিষয় উঠে এসেছে।
অনুষ্ঠানে অজয় রায় বলেন, ‘অভিজিৎ হত্যার পর প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন দিয়ে সমবেদনা জানিয়েছেন। এ জন্য আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু বিষয়টা তিনি গণমাধ্যমে প্রকাশ করেননি কারণ এতে হয়তো ব্লগারদের প্রতি তাঁর সমর্থনের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যাবে। আমার বাসায় কয়েকজন মন্ত্রীও এসেছিলেন সান্ত্বনা দিতে। তারাও একই কারণে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেননি। এমনকি আওয়ামী লীগ কোনো ব্লগার হত্যার পর নিন্দা পর্যন্ত প্রকাশ করেনি।’
অভিজিৎকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্যের সমালোচনা করে অজয় রায় বলেন, ‘অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি উটকো ও অযাচিত মন্তব্য করেছেন।’
অজয় রায় অভিযোগ করে বলেন, ‘অল্প কয়দিনের মধ্যে তিনজন ব্লগার খুন হলেও সরকার বিষয়টিতে যথাযথ গুরুত্ব দেয়নি। বরং সরকারের মধ্যে এক ধরনের নিস্পৃহ ভাব দেখা গেছে। অভিজিৎ হত্যার চার মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘অভিজিতের মৃত্যুর পর থেকে আমরা দুঃসহ জীবন যাপন করছি। আমাদের পুরো পরিবারটা তছনছ হয়ে গেছে।’
অজয় রায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ দেশে মুক্ত ও প্রগতিশীলতার চর্চা হচ্ছে। এটি হবেও। তবে মুক্তচিন্তা মানেই কারও বিশ্বাসের ওপর বিরূপ মন্তব্য নয়। ব্লগার কিংবা যাঁরা ইন্টারনেটে লেখালেখি করছেন তাঁদের এ সব মেনে চলা উচিত। আর্টিকেল ১৯ এর সনদ ব্লগারদের সুরক্ষাকবচ হয়ে উঠবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ব্রিটিশ হাইকমিশনের রাজনৈতিক শাখার প্রধান আদ্রিয়ান জোনস ব্লগার হত্যার নিন্দা জানিয়ে বলেন, সামাজিক গণমাধ্যমগুলো এখন মুক্তমত প্রকাশের স্থান হয়ে উঠছে। তবে মুক্তমত প্রকাশের নামে ঘৃণা বা বিদ্বেষ ছড়ানো উচিত নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘অনলাইনে যারা লেখালেখি করছেন তাঁদের সহনশীলতার অভাব রয়েছে। কাউকে চট করে প্রগতিশীল বা মৌলবাদী, আস্তিক বা নাস্তিক ভেবে নেওয়া উচিত নয়। এসব বিভাজন সমস্যা তৈরি করে। আর ভিন্ন মতাদর্শের মানুষের প্রতিও সহনশীল হওয়া উচিত।’
আর্টিকেল ১৯ এর বাংলাদেশের পরিচালক তাহমিনা রহমান বলেন, ১২ দফার এই সনদে প্রচলিত হয়রানিমূলক আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ, আন্তর্জাতিক আইন নিশ্চিত করা, মত প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি না করা ও ব্লগারদের সুরক্ষাসহ নানা বিষয় উঠে এসেছে।
No comments