এসসিসির স্টাফ কোয়ার্টার জটিলতা যেন শাপেবর!
সিলেট নগরীর কুমারপাড়ায় ১০ শতক জায়গার ওপর নিজের স্টাফদের জন্য আবাসন নির্মাণ করতে উদ্যোগ নিয়েছিল সিলেট সিটি করপোরেশন (এসসিসি)। উত্তরাধিকার সূত্রে জায়গার মালিকানা দাবি করে কাজে বাধা আসে একটি পক্ষের কাছ থেকে। থানা-পুলিশ হয়, কয়দিন কাজ বন্ধও থাকে। নিজেদের জায়গা তবুও আরেকটু ঘাঁটাঘাঁটি করে সিটি করপোরেশন। পাশাপাশি চলে আইনি লড়াইও। ভূমির মালিকানার দাবি করে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে যে স্বত্ব মামলা দায়ের করেছেন ‘দাবিদার’রা এসসিসি প্রমাণসমেত তা খারিজের আবেদনও করেছে। সিটি করপোরেশন বলছে, করপোরেশনের ভূমি ভোগ দখলের হীন স্বার্থে উন্নয়ন কাজে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে বাধা আসায় ক্ষতির চেয়ে বরং লাভই হয়েছে এসসিসির। ঘাঁটতে গিয়ে নতুন তথ্য মেলে, ১০ শতক নয়, সিটি করপোরেশনের মালিকানা আরও বাড়তি ৬ শতকজুড়ে। মোটমাট ১৬ শতক, অর্থাৎ ভূমির মালিকানা তো দূরের কথা ‘দাবিদার’দের আরও ৬ শতক ভূমি ছাড়তে হবে। সেধেই যেন ‘বিপদে’ পড়েছেন ভূমির মালিক দাবিদাররা। মালিক পরিচয়ে আবির্ভূত পক্ষটি সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে জবর-দখলের অভিযোগ তুললেও অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সব ধরনের রেকর্ডে ভূমিটি সিটি করপোরেশনের নামেই রেকর্ডভুক্ত রয়েছে। এমনকি পূর্বের যে আধপাকা স্থাপনা ছিল সেসবের বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন বিল সিটি করপোরেশনের নামেই পরিশোধ করা হয়েছে।
পেছনে তাকালে দেখা যাবে, ভূমিটিতে সিটি করপোরেশন মালিকানা ১১০ বছর আগে থেকে। অবশ্য তখন সিটি করপোরেশন ছিল না, ছিল সিলেট মিউনিসিপালিটি। তারপর পৌরসভা হয়ে এখন সিটি করপোরেশন। শহরে সুপেয় পানির অভাব দূর করতে ১৯০৫-০৬ অর্থবছরে জায়গাটি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। সিলেটের ডেপুটি কমিশনার কার্যালয় একটি ভূমি অধিগ্রহণ মামলার (নং ৪৫/১৯০৫-০৬) বলেই জায়গাটি অধিগ্রহণ করে। যার বৃত্তান্ত আছে ১৯০৫ সালের ক্যালকাটা গেজেটের ৫৯ পৃষ্ঠায় দ্বিতীয় অংশে। সে সময় সিলেট অঞ্চলে কোন প্রকার জরিপ না হওয়ায় প্রথম দিকে জায়গাটির কোন দাগ নাম্বার ছিল না।
অধিগৃহীত ভূমিতে একটি পানির কুয়া বা ‘ইন্দারা’ ছিল। সেটাই সুপেয় জলের যোগান দিতে থাকে স্থানীয় জনসাধারণকে। ‘ইন্দারা’র প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাওয়ার পর একসময় স্থানটি রূপ নেয় নাগরিক সেবা প্রতিষ্ঠান মিউনিসিপালিটির স্টাফ কোয়ার্টারে। ছোট্ট দুটো আধপাকা স্টাফ কোয়ার্টার প্রয়োজনের সামান্যতম অংশও মেটাতে পারায় সিদ্ধান্ত হয় বড় পরিসরে স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণের। বেশ আগে থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও কাজ আটকে ছিল কেবল ফাইল পর্যন্ত। এমনকি এ উদ্যোগের অপমৃত্যুরও সংশয় দেখা দিয়েছিল। সব বাধা কাটিয়ে অবশেষে ২০১৪ সালের ৩রা নভেম্বর ৯ তলা বিশিষ্ট স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণের জন্য টেন্ডার (১৩/২০১৪-১৫) আহ্বান করা হয়। কাজ পায় সিলেটের স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আরশাদ আলী এন্টারপ্রাইজ। প্রথম দফায় দুই তলায় মোট ৬ হাজার ২৬ বর্গফুট কাজের প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয় ১ কোটি ৯৯ লাল ৯৯ হাজার টাকা। চলতি বছরের ৩০শে ডিসেম্বর কাজ বুঝিয়ে দেয়ার কথা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের।
টেন্ডার শেষে চলতি বছরের শুরুর দিকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিলাম ডেকে ভেঙে ফেলা হয় পুরনো স্থাপনা। তারপর শুরু হয় নির্মাণকাজ। তখনই বাধা আসে। মালিকানা দাবি করে মোহাম্মদ ইদ্রিস ও হাফিজা বানুর উত্তরাধিকারী পরিচয়ে নগরীর কুমারপাড়ার বাসিন্দা আলী হায়দারসহ ১৩ ব্যক্তি ৫ই মার্চ উকিল নোটিশ পাঠান। সিটি করপোরেশন থেকে সাড়া না পেয়ে ২০শে এপ্রিল সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি স্বত্ব মামলাও ঠুকে দেন তারা। ওই দিনই তারা ভূমিতে প্রতিপক্ষের ভোগ-দখলে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বসেন।
বাধা পেয়ে কাজ খানিকটা গতি হারালেও থমকে যায়নি। গত ২১শে মে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার পর এখন অবশ্য জোর কদমেই চলছে নির্মাণ কাজ। সিলেট সিটি করপোশেনের প্রধান নির্বাহী এনামুল হাবিব মানবজমিনকে বলেছেন, করপোরেশন কোন জমি কেউ দখল করে রাখুক এটা আমরা হতে দিতে পারি না। তিনি জানান, নগরীতে সিটি করপোরেশনের অপদখলীয় ভূমি উদ্ধারে রমজানের পরেই আভযান শুরু হবে। তবে নগরীর কুমারপাড়ার জায়গায় বাধা প্রদানকারীদের কাছে সিটি করপোরেশন যেন একটু কৃতজ্ঞই। কারণ, বাধা না এলে বাড়তি আরও ৬ শতকের খোঁজ মিলতো না। সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই ‘নতুন পাওয়া’ ভূমিটিতেও নির্মাণকাজ শুরু হবে।
পেছনে তাকালে দেখা যাবে, ভূমিটিতে সিটি করপোরেশন মালিকানা ১১০ বছর আগে থেকে। অবশ্য তখন সিটি করপোরেশন ছিল না, ছিল সিলেট মিউনিসিপালিটি। তারপর পৌরসভা হয়ে এখন সিটি করপোরেশন। শহরে সুপেয় পানির অভাব দূর করতে ১৯০৫-০৬ অর্থবছরে জায়গাটি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। সিলেটের ডেপুটি কমিশনার কার্যালয় একটি ভূমি অধিগ্রহণ মামলার (নং ৪৫/১৯০৫-০৬) বলেই জায়গাটি অধিগ্রহণ করে। যার বৃত্তান্ত আছে ১৯০৫ সালের ক্যালকাটা গেজেটের ৫৯ পৃষ্ঠায় দ্বিতীয় অংশে। সে সময় সিলেট অঞ্চলে কোন প্রকার জরিপ না হওয়ায় প্রথম দিকে জায়গাটির কোন দাগ নাম্বার ছিল না।
অধিগৃহীত ভূমিতে একটি পানির কুয়া বা ‘ইন্দারা’ ছিল। সেটাই সুপেয় জলের যোগান দিতে থাকে স্থানীয় জনসাধারণকে। ‘ইন্দারা’র প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাওয়ার পর একসময় স্থানটি রূপ নেয় নাগরিক সেবা প্রতিষ্ঠান মিউনিসিপালিটির স্টাফ কোয়ার্টারে। ছোট্ট দুটো আধপাকা স্টাফ কোয়ার্টার প্রয়োজনের সামান্যতম অংশও মেটাতে পারায় সিদ্ধান্ত হয় বড় পরিসরে স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণের। বেশ আগে থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও কাজ আটকে ছিল কেবল ফাইল পর্যন্ত। এমনকি এ উদ্যোগের অপমৃত্যুরও সংশয় দেখা দিয়েছিল। সব বাধা কাটিয়ে অবশেষে ২০১৪ সালের ৩রা নভেম্বর ৯ তলা বিশিষ্ট স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণের জন্য টেন্ডার (১৩/২০১৪-১৫) আহ্বান করা হয়। কাজ পায় সিলেটের স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আরশাদ আলী এন্টারপ্রাইজ। প্রথম দফায় দুই তলায় মোট ৬ হাজার ২৬ বর্গফুট কাজের প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয় ১ কোটি ৯৯ লাল ৯৯ হাজার টাকা। চলতি বছরের ৩০শে ডিসেম্বর কাজ বুঝিয়ে দেয়ার কথা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের।
টেন্ডার শেষে চলতি বছরের শুরুর দিকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিলাম ডেকে ভেঙে ফেলা হয় পুরনো স্থাপনা। তারপর শুরু হয় নির্মাণকাজ। তখনই বাধা আসে। মালিকানা দাবি করে মোহাম্মদ ইদ্রিস ও হাফিজা বানুর উত্তরাধিকারী পরিচয়ে নগরীর কুমারপাড়ার বাসিন্দা আলী হায়দারসহ ১৩ ব্যক্তি ৫ই মার্চ উকিল নোটিশ পাঠান। সিটি করপোরেশন থেকে সাড়া না পেয়ে ২০শে এপ্রিল সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি স্বত্ব মামলাও ঠুকে দেন তারা। ওই দিনই তারা ভূমিতে প্রতিপক্ষের ভোগ-দখলে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বসেন।
বাধা পেয়ে কাজ খানিকটা গতি হারালেও থমকে যায়নি। গত ২১শে মে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার পর এখন অবশ্য জোর কদমেই চলছে নির্মাণ কাজ। সিলেট সিটি করপোশেনের প্রধান নির্বাহী এনামুল হাবিব মানবজমিনকে বলেছেন, করপোরেশন কোন জমি কেউ দখল করে রাখুক এটা আমরা হতে দিতে পারি না। তিনি জানান, নগরীতে সিটি করপোরেশনের অপদখলীয় ভূমি উদ্ধারে রমজানের পরেই আভযান শুরু হবে। তবে নগরীর কুমারপাড়ার জায়গায় বাধা প্রদানকারীদের কাছে সিটি করপোরেশন যেন একটু কৃতজ্ঞই। কারণ, বাধা না এলে বাড়তি আরও ৬ শতকের খোঁজ মিলতো না। সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই ‘নতুন পাওয়া’ ভূমিটিতেও নির্মাণকাজ শুরু হবে।
No comments