দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী দুই ছাত্র কলেজে ভর্তি হতে পারবে না? by প্রণব বল
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী দুই ছাত্রের কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য এবার প্রতিবন্ধী কোটা না থাকায় আবেদন করার সময়ই তারা বিভ্রান্তিতে পড়ে। পরে শিক্ষা কোটায় আবেদন করে। দুজনের একজন চট্টগ্রাম কলেজে, অন্যজন হাজেরা তুজ ডিগ্রি কলেজ শিক্ষা কোটায় ভর্তির জন্য বিবেচিত হয়। কিন্তু কোটার শর্ত পূরণ না করায় কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের ভর্তি করাচ্ছে না।
দুই ছাত্রের মধ্যে একজন বিশ্বজিৎ বসাক বান্দরবান সুয়ালেক উচ্চবিদ্যালয় আর আল আমিন চট্টগ্রাম নগরের রহমানিয়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছে। দুজনই মানবিক বিভাগের ছাত্র। বিশ্বজিতের জিপিএ ৪.২৮ আর আল আমিনের ৩.৮৯।
ভর্তি-প্রক্রিয়ায় এবার জেলা কোটা, শিক্ষা কোটা ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকলেও প্রতিবন্ধী কোটা ছিল না। কোন কোটায় আবেদন করবে, তা বুঝতে না পেরে শিক্ষা কোটায় আবেদন করে দুজন।
ভর্তির এই অনিশ্চয়তা নিয়ে দুই ছাত্রের অভিভাবকেরাও উদ্বিগ্ন। বিশ্বজিতের মা সীমা বসাক বলেন, ‘কষ্ট করে ছেলে পড়ালেখা করল। এত সীমাবদ্ধতা নিয়ে ছেলে এসএসসি পাস করার পর অনেক খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু এখন ভর্তি হতে পারছে না। আমার ছেলের শিক্ষাজীবন কি এখানে থেমে যাবে?’
শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, শিক্ষা কোটাটি কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সন্তানদের জন্য। এই দুই ছাত্রের কেউ ওই কোটায় পড়ে না।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কলেজের মানবিক বিভাগের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘সে (বিশ্বজিৎ) আবেদনের সময় ভুল করেছে। তারা শিক্ষা কোটায় ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। প্রতিবন্ধী কোটা নেই। এখন তাদের বিষয়ে আমরা কীভাবে সিদ্ধান্ত নেব? আমাদের এ ক্ষেত্রে কিছু করার নেই।’
এ বিষয়ে বিশ্বজিৎ বসাক জানায়, প্রতিবার প্রতিবন্ধী কোটা থাকলেও এবার ভর্তিতে কোটা ছিল না। তাই সে শিক্ষা কোটায় আবেদন করে। এই কোটায় তার নাম এলেও ভর্তি হতে দিচ্ছে না কলেজ।
নিয়ম অনুযায়ী, পাঁচটি পছন্দের কলেজের নাম দিয়ে আবেদন করে হাজেরা তুজ ডিগ্রি কলেজে ভর্তির জন্য বিবেচিত হয় আল আমিন। কিন্তু ১ জুলাই ভর্তি হতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কেন সে সাধারণ (জেনারেল) কোটায় আবেদন করেনি, তা জানতে চাওয়া হয়।
আল আমিন বলে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই পাস করতে হয় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের। এখন সে কী করবে বুঝতে পারছে না।
এ বিষয়ে হাজেরা তুজ ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ কুতুব উদ্দিন বলেন, শিক্ষা কোটায় আবেদন করায় কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি করাতে পারছে না। তবে বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় তাকে চট্টগ্রাম বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন তাঁরা।
ভুক্তভোগী দুই ছাত্র জানায়, চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজে এবার চার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। তারাও শিক্ষা কোটায় আবেদন করেছিল।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ উপপরিদর্শক মো. হালিম প্রথম আলোকে বলেন, ভর্তির নীতিমালায় প্রতিবন্ধীদের জন্য এবার কোনো কোটা রাখা হয়নি। তবে সব কলেজকে তাদের বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সাধারণ কোটায় আবেদন করতে হবে। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের ভর্তি করাতে পারে। এতে বোর্ডের কোনো আপত্তি থাকবে না। এ ছাড়া এই দুজনকে খালি আসনে আবেদনের মাধ্যমে ভর্তির চেষ্টা করতে পারবে।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই শিক্ষার্থীরা শ্রুতলেখকের মাধ্যমে পরীক্ষা দেয়। তারা মুখে বলবে আর শ্রুতলেখক তা লিখবে। চট্টগ্রাম সরকারি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের সুযোগ রয়েছে। এরপর শিক্ষার্থীরা অন্য বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সামাদ বলেন, ‘প্রতিবন্ধী কোটা না থাকায় ভর্তির আবেদনে হয়তো ভুল হয়েছে। কিন্তু সিটি কলেজ আমাদের চারজনকে ভর্তি করিয়েছে। চট্টগ্রাম কলেজ ও হাজেরা তুজ ডিগ্রি কলেজ ভর্তি করাচ্ছে না। এখন কি তাহলে তাদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে?’
দুই ছাত্রের মধ্যে একজন বিশ্বজিৎ বসাক বান্দরবান সুয়ালেক উচ্চবিদ্যালয় আর আল আমিন চট্টগ্রাম নগরের রহমানিয়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছে। দুজনই মানবিক বিভাগের ছাত্র। বিশ্বজিতের জিপিএ ৪.২৮ আর আল আমিনের ৩.৮৯।
ভর্তি-প্রক্রিয়ায় এবার জেলা কোটা, শিক্ষা কোটা ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকলেও প্রতিবন্ধী কোটা ছিল না। কোন কোটায় আবেদন করবে, তা বুঝতে না পেরে শিক্ষা কোটায় আবেদন করে দুজন।
ভর্তির এই অনিশ্চয়তা নিয়ে দুই ছাত্রের অভিভাবকেরাও উদ্বিগ্ন। বিশ্বজিতের মা সীমা বসাক বলেন, ‘কষ্ট করে ছেলে পড়ালেখা করল। এত সীমাবদ্ধতা নিয়ে ছেলে এসএসসি পাস করার পর অনেক খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু এখন ভর্তি হতে পারছে না। আমার ছেলের শিক্ষাজীবন কি এখানে থেমে যাবে?’
শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, শিক্ষা কোটাটি কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সন্তানদের জন্য। এই দুই ছাত্রের কেউ ওই কোটায় পড়ে না।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কলেজের মানবিক বিভাগের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘সে (বিশ্বজিৎ) আবেদনের সময় ভুল করেছে। তারা শিক্ষা কোটায় ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। প্রতিবন্ধী কোটা নেই। এখন তাদের বিষয়ে আমরা কীভাবে সিদ্ধান্ত নেব? আমাদের এ ক্ষেত্রে কিছু করার নেই।’
এ বিষয়ে বিশ্বজিৎ বসাক জানায়, প্রতিবার প্রতিবন্ধী কোটা থাকলেও এবার ভর্তিতে কোটা ছিল না। তাই সে শিক্ষা কোটায় আবেদন করে। এই কোটায় তার নাম এলেও ভর্তি হতে দিচ্ছে না কলেজ।
নিয়ম অনুযায়ী, পাঁচটি পছন্দের কলেজের নাম দিয়ে আবেদন করে হাজেরা তুজ ডিগ্রি কলেজে ভর্তির জন্য বিবেচিত হয় আল আমিন। কিন্তু ১ জুলাই ভর্তি হতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কেন সে সাধারণ (জেনারেল) কোটায় আবেদন করেনি, তা জানতে চাওয়া হয়।
আল আমিন বলে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই পাস করতে হয় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের। এখন সে কী করবে বুঝতে পারছে না।
এ বিষয়ে হাজেরা তুজ ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ কুতুব উদ্দিন বলেন, শিক্ষা কোটায় আবেদন করায় কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি করাতে পারছে না। তবে বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় তাকে চট্টগ্রাম বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন তাঁরা।
ভুক্তভোগী দুই ছাত্র জানায়, চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজে এবার চার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। তারাও শিক্ষা কোটায় আবেদন করেছিল।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ উপপরিদর্শক মো. হালিম প্রথম আলোকে বলেন, ভর্তির নীতিমালায় প্রতিবন্ধীদের জন্য এবার কোনো কোটা রাখা হয়নি। তবে সব কলেজকে তাদের বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সাধারণ কোটায় আবেদন করতে হবে। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের ভর্তি করাতে পারে। এতে বোর্ডের কোনো আপত্তি থাকবে না। এ ছাড়া এই দুজনকে খালি আসনে আবেদনের মাধ্যমে ভর্তির চেষ্টা করতে পারবে।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই শিক্ষার্থীরা শ্রুতলেখকের মাধ্যমে পরীক্ষা দেয়। তারা মুখে বলবে আর শ্রুতলেখক তা লিখবে। চট্টগ্রাম সরকারি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের সুযোগ রয়েছে। এরপর শিক্ষার্থীরা অন্য বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সামাদ বলেন, ‘প্রতিবন্ধী কোটা না থাকায় ভর্তির আবেদনে হয়তো ভুল হয়েছে। কিন্তু সিটি কলেজ আমাদের চারজনকে ভর্তি করিয়েছে। চট্টগ্রাম কলেজ ও হাজেরা তুজ ডিগ্রি কলেজ ভর্তি করাচ্ছে না। এখন কি তাহলে তাদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে?’
No comments