যেখানে দুর্বলতা দক্ষিণ আফ্রিকার by ফাহিম রহমান
২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্পিনেই বধ করেছিল বাংলাদেশ। ফাইল ছবি |
প্রায়
এক বছর পর উপমহাদেশে খেলতে এলো দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বশেষ প্রোটিয়ারা
খেলেছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, গত জুলাইয়ে। বাংলাদেশে খেলেছিল আরও আগে। সেই
২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। সে ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের
কাছে হেরে ৪৯ রানে হেরে আরও একটি বিশ্বকাপ স্বপ্নযাত্রার সমাপ্তি হয়েছিল
দক্ষিণ আফ্রিকার।
ওই বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সাতজন আছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে স্কোয়াডে। এবি ভিলিয়ার্স, হাশিম আমলা, ফ্যাফ ডু প্লেসিসদের নিয়ে গড়া ব্যাটিং লাইনআপ বিশ্বের যে কোন বোলিং লাইনআপকে নাকাল করে ছেড়ে দিতে পারে। তবে যতই শক্তিশালী দল হোক না কেন সবারই কিছু দুর্বলতা থাকে। উপমহাদেশের কন্ডিশনে প্রোটিয়াদের দুর্বলতা যেমন স্পিনে। পরিসংখ্যান অন্তত তা-ই বলে। ২০১১ বিশ্বকাপের পর সামগ্রিক পরিসংখ্যানের বিচারে ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে পেসাররা নিয়েছেন ৩০২ উইকেট, স্পিনাররা ১৬৪ উইকেট। তবে বোলিং গড়ের দিক দিয়ে স্পিনাররাই এগিয়ে। আবার স্পিনারদের বলে রান নিতেও বেগ পেতে হয়েছে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের। তাদের বিপক্ষে পেসারদের ইকোনমি ৫.৯৩, স্পিনারদের ৪.৮৬।
তবে এশিয়ার মাটিতে বিস্তর ব্যবধান। ২০১১ বিশ্বকাপের পর এশিয়ার মাটিতে ১৩টি ওয়ানডে খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ সময়ে প্রতিপক্ষের পেসাররা নিয়েছেন ৩৯ উইকেট, স্পিনাররা ৬২টি। প্রোটিয়াদের প্রতিটি উইকেট নেওয়ার জন্য পেসাররা যেখানে দিয়েছেন ৩৪.৬১ রান, স্পিনাররা মাত্র ২২.৭৭ রান। পেসাররা ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৫.৪০, স্পিনাররা সেখানে ৪.৩৫। এতেই স্পষ্ট এশিয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকে রাখতে হলে স্পিনই হবে সবচেয়ে বড় অস্ত্র। এই স্পিনারদের মধ্যেই আবার বাহাতি স্পিনারদের খেলতে বেশি অসুবিধা হয়েছে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের। ডান হাতি স্পিনাররা যেখানে প্রতি উইকেটের জন্য দিয়েছেন ২৩.৪০ রান এবং প্রতি ওভারে ৪.৪৪ রান, সেখানে বাঁহাতি স্পিনাররা প্রতি উইকেটের জন্য ১৮.৫ রান এবং প্রতি ওভারে মাত্র ৩.৭১ রান।
শুধু যে উপমহাদেশের কন্ডিশনেই স্পিন খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকার সমস্যা হয়, তা নয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো মাঠেই পেসারদের চেয়ে স্পিনারদের খেলতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাদের। এখনো পর্যন্ত ১৪ ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার ৫২ উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে পেসাররা নিয়েছে ২৪ উইকেট আর স্পিনাররা ২৮ উইকেট। এর ১৯ টিই আবার বাঁহাতি স্পিনাররা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইকোনমির দিক দিয়েও সবচেয়ে এগিয়ে স্পিনাররা। সেরা ছয় বোলারের মধ্যে পাঁচজনই স্পিনার, এদের ৪জনই বাঁহাতি। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকারি রাজ্জাক (৮ উইকেট) ও সাকিব (৭ উইকেট) কিন্তু বাঁহাতি। এছাড়াও এশিয়ার বাইরের যে কোন দলের বিপক্ষেই অন্য বোলারদের চেয়ে বাহাতি স্পিনাররা অনেক এগিয়ে। বাঁহাতি স্পিনারদের গড় যেখানে ২৯, সেখানে অন্যদের ৩৭।
বাংলাদেশ দেশের মাটিতে তাদের সর্বশেষ ১০ ম্যাচের ৯টিতেই জিতেছে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের মাটিতে সর্বশেষ ১০ ম্যাচের ৪টিতে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেই যেভাবে সাকিব আল হাসান পর পর দুই টেস্টে ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের নাকানি-চুবানি খাইয়েছিলেন, এবারও তার পুনারাবৃত্তি বাংলাদেশ প্রত্যাশা করতেই পারে। তবে এবার দলে রাজ্জাক নেই; স্পিন আক্রমণে সাকিবের সঙ্গে আছেন আরাফাত সানি, জুবায়ের হোসেন ও সোহাগ গাজী। ভারতের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করা নাসির হোসেনকে রাখতে হবে তালিকায়।
ওই বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সাতজন আছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে স্কোয়াডে। এবি ভিলিয়ার্স, হাশিম আমলা, ফ্যাফ ডু প্লেসিসদের নিয়ে গড়া ব্যাটিং লাইনআপ বিশ্বের যে কোন বোলিং লাইনআপকে নাকাল করে ছেড়ে দিতে পারে। তবে যতই শক্তিশালী দল হোক না কেন সবারই কিছু দুর্বলতা থাকে। উপমহাদেশের কন্ডিশনে প্রোটিয়াদের দুর্বলতা যেমন স্পিনে। পরিসংখ্যান অন্তত তা-ই বলে। ২০১১ বিশ্বকাপের পর সামগ্রিক পরিসংখ্যানের বিচারে ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে পেসাররা নিয়েছেন ৩০২ উইকেট, স্পিনাররা ১৬৪ উইকেট। তবে বোলিং গড়ের দিক দিয়ে স্পিনাররাই এগিয়ে। আবার স্পিনারদের বলে রান নিতেও বেগ পেতে হয়েছে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের। তাদের বিপক্ষে পেসারদের ইকোনমি ৫.৯৩, স্পিনারদের ৪.৮৬।
তবে এশিয়ার মাটিতে বিস্তর ব্যবধান। ২০১১ বিশ্বকাপের পর এশিয়ার মাটিতে ১৩টি ওয়ানডে খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ সময়ে প্রতিপক্ষের পেসাররা নিয়েছেন ৩৯ উইকেট, স্পিনাররা ৬২টি। প্রোটিয়াদের প্রতিটি উইকেট নেওয়ার জন্য পেসাররা যেখানে দিয়েছেন ৩৪.৬১ রান, স্পিনাররা মাত্র ২২.৭৭ রান। পেসাররা ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৫.৪০, স্পিনাররা সেখানে ৪.৩৫। এতেই স্পষ্ট এশিয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকে রাখতে হলে স্পিনই হবে সবচেয়ে বড় অস্ত্র। এই স্পিনারদের মধ্যেই আবার বাহাতি স্পিনারদের খেলতে বেশি অসুবিধা হয়েছে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের। ডান হাতি স্পিনাররা যেখানে প্রতি উইকেটের জন্য দিয়েছেন ২৩.৪০ রান এবং প্রতি ওভারে ৪.৪৪ রান, সেখানে বাঁহাতি স্পিনাররা প্রতি উইকেটের জন্য ১৮.৫ রান এবং প্রতি ওভারে মাত্র ৩.৭১ রান।
শুধু যে উপমহাদেশের কন্ডিশনেই স্পিন খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকার সমস্যা হয়, তা নয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো মাঠেই পেসারদের চেয়ে স্পিনারদের খেলতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাদের। এখনো পর্যন্ত ১৪ ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার ৫২ উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে পেসাররা নিয়েছে ২৪ উইকেট আর স্পিনাররা ২৮ উইকেট। এর ১৯ টিই আবার বাঁহাতি স্পিনাররা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইকোনমির দিক দিয়েও সবচেয়ে এগিয়ে স্পিনাররা। সেরা ছয় বোলারের মধ্যে পাঁচজনই স্পিনার, এদের ৪জনই বাঁহাতি। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকারি রাজ্জাক (৮ উইকেট) ও সাকিব (৭ উইকেট) কিন্তু বাঁহাতি। এছাড়াও এশিয়ার বাইরের যে কোন দলের বিপক্ষেই অন্য বোলারদের চেয়ে বাহাতি স্পিনাররা অনেক এগিয়ে। বাঁহাতি স্পিনারদের গড় যেখানে ২৯, সেখানে অন্যদের ৩৭।
বাংলাদেশ দেশের মাটিতে তাদের সর্বশেষ ১০ ম্যাচের ৯টিতেই জিতেছে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের মাটিতে সর্বশেষ ১০ ম্যাচের ৪টিতে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেই যেভাবে সাকিব আল হাসান পর পর দুই টেস্টে ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের নাকানি-চুবানি খাইয়েছিলেন, এবারও তার পুনারাবৃত্তি বাংলাদেশ প্রত্যাশা করতেই পারে। তবে এবার দলে রাজ্জাক নেই; স্পিন আক্রমণে সাকিবের সঙ্গে আছেন আরাফাত সানি, জুবায়ের হোসেন ও সোহাগ গাজী। ভারতের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করা নাসির হোসেনকে রাখতে হবে তালিকায়।
No comments