দেখিয়ে দিতে পারবো বাংলাদেশ রোল মডেল: স্যার আবেদ
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ সম্মানে ভূষিত স্যার ফজলে হাসান আবেদ
বলেছেন, তার কর্মীদের জন্য স্বীকৃতি এ পুরস্কার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য,
কৃষিসহ নানা ক্ষেত্রে ব্র্যাকের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন,
সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশ উন্নয়নের যে উদাহরণ গড়ছে; একদিন তা সারাবিশ্বে রোল
মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। নিজের এবং ব্র্যাকের এ স্বীকৃতির দিন চ্যানেল
আই অনলাইনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান এবং বূর্মা পদকে ভূষিত কৃষি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ।
শাইখ সিরাজ: দেশের জন্য এমন গৌরব বয়ে আনার জন্য এবং ১৫ কোটি মানুষের হাতে খাবার পৌঁছে দেয়ার কাজের এমন স্বীকৃতির জন্য আপনাকে অনেক অভিনন্দন। পুরস্কারটি কবে নাগাদ আপনার হাতে তুলে দেয়া হবে?
স্যার ফজলে হাসান আবেদ: অসংখ্য ধন্যবাদ। এ পুরস্কারটি অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ব খাদ্য দিবসে দেয়া হয়। এবারও সে সময়েই দেয়া হবে। কাজের এ স্বীকৃতি আমাদের কর্মীদের কাজ করতে অনেক বেশি উদ্বুদ্ধ করবে, সেটাই সবচেয়ে বেশি ভাল লাগার কারণ।
শাইখ সিরাজ: ব্র্যাক এখন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। আপনি জানেন, গতকালই নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকাও অনেক। দেশের সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রগুলোতে ব্র্যাকের আর কী কী কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে?
স্যার ফজলে হাসান আবেদ: আমরা শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। পুষ্টিহীনতা নিয়েও কাজ করছি আমরা। প্রসূতি মায়েরা ২ বছর কী করে ব্রেস্ট ফিড করাবে সেটা নিয়েও কাজ করছি। আমাদের দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ খাটো থাকে। সেই পুষ্টিহীনতা দূর করতেও কাজ করছি আমরা।
বিকাশের মাধ্যমে কেবল যে টাকা পাঠানো যাবে তা-ই না। বরং বিকাশ দিয়ে ব্যাংক লোন বা সেভিংসও করা যাবে, এমন ব্যবস্থা আমরা করছি। আপনি জানেন, স্বাস্থ্যের ব্যাপারে এ দেশে এখনও অনেক কাজ করার আছে। দেশে কৃমিরোগীর সংখ্যা কম নয়। সেটা নিয়েও কাজ করে যাচ্ছি আমরা। পানি ও স্যানিটেশন নিয়েও কাজ করছি। সবাই যেন স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ও স্বাস্থ্যকর পানি পায় সে চেষ্টাই করে চলেছি। এসবের পাশাপাশি অনেক কাজ আছে আমাদের হাতে। যেমন কিছু প্রশিক্ষণ জনগণকে দেয়া যেন অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করে দেশকে উন্নতির দিকে নিতে পারি। তা ছাড়া কৃষিতেও অনেক ভাল সম্ভাবনা রয়েছে আমাদের। খাদ্য উৎপাদনশীলতা আরও বাড়াতে কাজ করে চলেছি।
শাইখ সিরাজ: বর্গাচাষি ঋণ আপনাদের একটি বড় কার্যক্রম, সেটা নিয়ে আপনাদের বর্তমান অবস্থান বলুন।
স্যার ফজলে হাসান আবেদ: সেটা চলছেই। প্রতি বছরই বাড়ছে ঋণের পরিমাণ। এখন ৭০০ কোটি টাকার ওপরে গেছে। আশা করি পরিমাণটা শিগগিরই এক হাজার কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে। হয়তো আরও বাড়বে।
শাইখ সিরাজ: এত গেল দেশের প্রেক্ষাপটে কর্মপরিকল্পনা। দেশের শিক্ষা, স্যানিটেশন ও সামাজিক উন্নয়ন নিয়ে কথা হলো, দেশের বাইরেও তো আপনারা অনেক কাজ করছেন? আফগানিস্তানে, উগান্ডাতেও আপনাদের কাজ চলছে?
স্যার ফজলে হাসান আবেদ: সেটাও চলছে। ওসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ একযোগে কাজ করছে। আমরা হয়তো একটা সময় গিয়ে দেখিয়ে দিতে পারবো বাংলাদেশ যে উন্নয়নের মডেল তৈরি করেছে সেসব অন্য দেশেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
শাইখ সিরাজ: দেশের বায়োটেকনোলজি আবিষ্কারগুলোও তো এখন দেশের বাইরে পাঠানো হচ্ছে?
ফজলে হাসান আবেদ: উগান্ডাতে আমরা একটা বায়োটেকনোলজি প্লান্ট তৈরি করেছি। সেটা শিগগিরই উৎপাদন শুরু হবে। আমরা এখানে যা শিখেছি তা ওখানে নিয়ে যাবো আবার অন্য দেশের শিক্ষা আমাদের দেশে নিয়ে আসবো। ভাল যেসব শিক্ষা সেসব আমরা অদল-বদল করতে চাই।
শাইখ সিরাজ: এ দেশের দারিদ্র্যবিমোচনে সরকারের পাশাপাশি এনজিওগুলোর অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। আপনার কি মনে হয় কবে নাগাদ দেশ থেকে দারিদ্র্য নির্মূল হতে পারবে?
স্যার ফজলে হাসান আবেদ: আশা করি ২০৩০ সালের মধ্যে। সেপ্টেম্বর মাসের দিকে জাতিসংঘ ঘোষণা করবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা। ২০৩০-এর মধ্যে যেসব লক্ষ্য অর্জন করতে হবে, সেটার মধ্যে প্রথমেই থাকবে দারিদ্র্যবিমোচন। এটাই যদি আমাদের প্রথম লক্ষ্য হয় তাহলে সবগুলো দেশই আরও জোরেশোরে কাজ করবে। এখনও তো প্রায় এক-চতুর্থাংশ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়ে গেছে। তাদের উঠিয়ে আনার জন্যও কাজ শুরু করতে হবে।
শাইখ সিরাজ: দেশের জন্য এমন গৌরব বয়ে আনার জন্য এবং ১৫ কোটি মানুষের হাতে খাবার পৌঁছে দেয়ার কাজের এমন স্বীকৃতির জন্য আপনাকে অনেক অভিনন্দন। পুরস্কারটি কবে নাগাদ আপনার হাতে তুলে দেয়া হবে?
স্যার ফজলে হাসান আবেদ: অসংখ্য ধন্যবাদ। এ পুরস্কারটি অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ব খাদ্য দিবসে দেয়া হয়। এবারও সে সময়েই দেয়া হবে। কাজের এ স্বীকৃতি আমাদের কর্মীদের কাজ করতে অনেক বেশি উদ্বুদ্ধ করবে, সেটাই সবচেয়ে বেশি ভাল লাগার কারণ।
শাইখ সিরাজ: ব্র্যাক এখন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। আপনি জানেন, গতকালই নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকাও অনেক। দেশের সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রগুলোতে ব্র্যাকের আর কী কী কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে?
স্যার ফজলে হাসান আবেদ: আমরা শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। পুষ্টিহীনতা নিয়েও কাজ করছি আমরা। প্রসূতি মায়েরা ২ বছর কী করে ব্রেস্ট ফিড করাবে সেটা নিয়েও কাজ করছি। আমাদের দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ খাটো থাকে। সেই পুষ্টিহীনতা দূর করতেও কাজ করছি আমরা।
বিকাশের মাধ্যমে কেবল যে টাকা পাঠানো যাবে তা-ই না। বরং বিকাশ দিয়ে ব্যাংক লোন বা সেভিংসও করা যাবে, এমন ব্যবস্থা আমরা করছি। আপনি জানেন, স্বাস্থ্যের ব্যাপারে এ দেশে এখনও অনেক কাজ করার আছে। দেশে কৃমিরোগীর সংখ্যা কম নয়। সেটা নিয়েও কাজ করে যাচ্ছি আমরা। পানি ও স্যানিটেশন নিয়েও কাজ করছি। সবাই যেন স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ও স্বাস্থ্যকর পানি পায় সে চেষ্টাই করে চলেছি। এসবের পাশাপাশি অনেক কাজ আছে আমাদের হাতে। যেমন কিছু প্রশিক্ষণ জনগণকে দেয়া যেন অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করে দেশকে উন্নতির দিকে নিতে পারি। তা ছাড়া কৃষিতেও অনেক ভাল সম্ভাবনা রয়েছে আমাদের। খাদ্য উৎপাদনশীলতা আরও বাড়াতে কাজ করে চলেছি।
শাইখ সিরাজ: বর্গাচাষি ঋণ আপনাদের একটি বড় কার্যক্রম, সেটা নিয়ে আপনাদের বর্তমান অবস্থান বলুন।
স্যার ফজলে হাসান আবেদ: সেটা চলছেই। প্রতি বছরই বাড়ছে ঋণের পরিমাণ। এখন ৭০০ কোটি টাকার ওপরে গেছে। আশা করি পরিমাণটা শিগগিরই এক হাজার কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে। হয়তো আরও বাড়বে।
শাইখ সিরাজ: এত গেল দেশের প্রেক্ষাপটে কর্মপরিকল্পনা। দেশের শিক্ষা, স্যানিটেশন ও সামাজিক উন্নয়ন নিয়ে কথা হলো, দেশের বাইরেও তো আপনারা অনেক কাজ করছেন? আফগানিস্তানে, উগান্ডাতেও আপনাদের কাজ চলছে?
স্যার ফজলে হাসান আবেদ: সেটাও চলছে। ওসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ একযোগে কাজ করছে। আমরা হয়তো একটা সময় গিয়ে দেখিয়ে দিতে পারবো বাংলাদেশ যে উন্নয়নের মডেল তৈরি করেছে সেসব অন্য দেশেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
শাইখ সিরাজ: দেশের বায়োটেকনোলজি আবিষ্কারগুলোও তো এখন দেশের বাইরে পাঠানো হচ্ছে?
ফজলে হাসান আবেদ: উগান্ডাতে আমরা একটা বায়োটেকনোলজি প্লান্ট তৈরি করেছি। সেটা শিগগিরই উৎপাদন শুরু হবে। আমরা এখানে যা শিখেছি তা ওখানে নিয়ে যাবো আবার অন্য দেশের শিক্ষা আমাদের দেশে নিয়ে আসবো। ভাল যেসব শিক্ষা সেসব আমরা অদল-বদল করতে চাই।
শাইখ সিরাজ: এ দেশের দারিদ্র্যবিমোচনে সরকারের পাশাপাশি এনজিওগুলোর অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। আপনার কি মনে হয় কবে নাগাদ দেশ থেকে দারিদ্র্য নির্মূল হতে পারবে?
স্যার ফজলে হাসান আবেদ: আশা করি ২০৩০ সালের মধ্যে। সেপ্টেম্বর মাসের দিকে জাতিসংঘ ঘোষণা করবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা। ২০৩০-এর মধ্যে যেসব লক্ষ্য অর্জন করতে হবে, সেটার মধ্যে প্রথমেই থাকবে দারিদ্র্যবিমোচন। এটাই যদি আমাদের প্রথম লক্ষ্য হয় তাহলে সবগুলো দেশই আরও জোরেশোরে কাজ করবে। এখনও তো প্রায় এক-চতুর্থাংশ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়ে গেছে। তাদের উঠিয়ে আনার জন্যও কাজ শুরু করতে হবে।
No comments