কথা ভুলে যাচ্ছেন সালাহ উদ্দিন -সাক্ষাৎ শেষে বিএনপি নেতার দাবি by রাহীদ এজাজ
শিলং সিভিল হাসপাতাল ভবন এটি। এই হাসপাতালেই বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ চিকিৎসাধীন আছেন। ছবি: প্রথম আলো |
ভারতের
শিলংয়ের সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির নেতা সালাহ উদ্দিন আহমদের
মানসিক বিপর্যয় এখনো কাটেনি। তিনি ভীতি, উত্কণ্ঠা ও আশঙ্কায় দিন
কাটাচ্ছেন। কোনো কথা মনে রাখতে পারছেন না।
আজ রোববার দুপুরে ওই হাসপাতালে সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করার পর গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এসব দাবি করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ।
গত সোমবার ভোরে শিলংয়ের গলফ-লিংক এলাকায় উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরির সময় সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে সেখানকার পুলিশ। পরদিন থেকে পুলিশি পাহারায় শিলংয়ের সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। তাঁকে হাসপাতালের অ্যানেক্স ভবনে বিচারাধীন মামলার আসামিদের ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
আজ দুপুরে সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিএনপি নেতা আবদুল লতিফ সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তাঁর (সালাহ উদ্দিন) শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি মানসিকভাবে এতটাই বিপর্যস্ত যে কোনো কথা মনে রাখতে পারছেন না। একটা কথা বলে কিছুক্ষণ পরেই তা ভুলে যাচ্ছেন। এটা কেন হচ্ছে, সেটি নিয়ে তাঁর (লতিফ) মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সালাহ উদ্দিন এখনো ভীতি, উত্কণ্ঠা ও আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন বলে দাবি করেন আবদুল লতিফ। তাঁর মতে, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিবের মানসিক বিপর্যয়ের রেশ এখনো রয়ে গেছে। তাই তাঁর বলা কথাগুলো জড়িয়ে যাচ্ছে। স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদকের ভাষ্য, সালাহ উদ্দিন বারবার শুধু জানতে চাইছেন, তাঁর স্ত্রী হাসিনা আহমদ কখন শিলং আসবেন। তিনি (হাসিনা আহমদ) ভারতে আসার ভিসা পেলে খবরটা তাঁকে জানাতে বলেছেন। স্ত্রী কখন তাঁর সামনে আসবেন, সে জন্য অধীর অপেক্ষায় আছেন তিনি। সালাহ উদ্দিনের কিডনির অবস্থা খুবই খারাপ বলে দাবি করেন আবদুল লতিফ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত তিন দিনে তাঁর কিডনির অনেকগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলে এ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
আবদুল লতিফ বলেন, সালাহ উদ্দিনের অন্য শারীরিক সমস্যা নিয়ে একটি চিকিৎসা বোর্ড গঠন করা হয়েছে। নিয়মিতভাবেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। চিকিত্সকেরা সবগুলো পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
সালাহ উদ্দিনকে উদ্ধৃত করে আবদুল লতিফ বলেন, শিলংয়ের সিভিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু তিনি সিঙ্গাপুরে যে চিকিৎসা নেন, সে ধরনের যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামো-সুবিধা এই হাসপাতালে নেই। তাই এ হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাওয়া নিয়ে সন্দিহান তিনি। বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদকের ভাষ্যমতে, হাসপাতাল থেকে কোথাও নেওয়ার মতো সুস্থ নন সালাহ উদ্দিন। হাসপাতালে সালাহ উদ্দিনের চিকিৎসক ও হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ জি কে গোস্বামী প্রথম আলোকে বলেন, কিডনিসহ নানা বিষয়ে বেশ কয়েকটি শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। কাল সোমবার সেগুলো পর্যালোচনার পর সালাহ উদ্দিনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে। এরপর বোঝা যাবে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া যাবে কি না। চিকিত্সক গোস্বামীর বক্তব্যের আভাস অনুযায়ী, সালাহ উদ্দিনকে কাল হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার সম্ভাবনা কম।
এদিকে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিবের আইনগত বিষয় সম্পর্কে দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল লতিফ বলেন, এ নিয়ে স্থানীয় আইনজীবীদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক কথা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে পাওয়া এবং সালাহ উদ্দিনের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার আগে এ বিষয়ে তাঁরা কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। তিনি জানান, সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী শিলং আসার পর আইনজীবীরা তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন। এরপর তাঁর (সালাহ উদ্দিন) বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, সে বিষয়ে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
আজ রোববার দুপুরে ওই হাসপাতালে সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করার পর গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এসব দাবি করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ।
গত সোমবার ভোরে শিলংয়ের গলফ-লিংক এলাকায় উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরির সময় সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে সেখানকার পুলিশ। পরদিন থেকে পুলিশি পাহারায় শিলংয়ের সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। তাঁকে হাসপাতালের অ্যানেক্স ভবনে বিচারাধীন মামলার আসামিদের ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
আজ দুপুরে সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিএনপি নেতা আবদুল লতিফ সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তাঁর (সালাহ উদ্দিন) শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি মানসিকভাবে এতটাই বিপর্যস্ত যে কোনো কথা মনে রাখতে পারছেন না। একটা কথা বলে কিছুক্ষণ পরেই তা ভুলে যাচ্ছেন। এটা কেন হচ্ছে, সেটি নিয়ে তাঁর (লতিফ) মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সালাহ উদ্দিন এখনো ভীতি, উত্কণ্ঠা ও আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন বলে দাবি করেন আবদুল লতিফ। তাঁর মতে, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিবের মানসিক বিপর্যয়ের রেশ এখনো রয়ে গেছে। তাই তাঁর বলা কথাগুলো জড়িয়ে যাচ্ছে। স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদকের ভাষ্য, সালাহ উদ্দিন বারবার শুধু জানতে চাইছেন, তাঁর স্ত্রী হাসিনা আহমদ কখন শিলং আসবেন। তিনি (হাসিনা আহমদ) ভারতে আসার ভিসা পেলে খবরটা তাঁকে জানাতে বলেছেন। স্ত্রী কখন তাঁর সামনে আসবেন, সে জন্য অধীর অপেক্ষায় আছেন তিনি। সালাহ উদ্দিনের কিডনির অবস্থা খুবই খারাপ বলে দাবি করেন আবদুল লতিফ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত তিন দিনে তাঁর কিডনির অনেকগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলে এ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
আবদুল লতিফ বলেন, সালাহ উদ্দিনের অন্য শারীরিক সমস্যা নিয়ে একটি চিকিৎসা বোর্ড গঠন করা হয়েছে। নিয়মিতভাবেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। চিকিত্সকেরা সবগুলো পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
সালাহ উদ্দিনকে উদ্ধৃত করে আবদুল লতিফ বলেন, শিলংয়ের সিভিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু তিনি সিঙ্গাপুরে যে চিকিৎসা নেন, সে ধরনের যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামো-সুবিধা এই হাসপাতালে নেই। তাই এ হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাওয়া নিয়ে সন্দিহান তিনি। বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদকের ভাষ্যমতে, হাসপাতাল থেকে কোথাও নেওয়ার মতো সুস্থ নন সালাহ উদ্দিন। হাসপাতালে সালাহ উদ্দিনের চিকিৎসক ও হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ জি কে গোস্বামী প্রথম আলোকে বলেন, কিডনিসহ নানা বিষয়ে বেশ কয়েকটি শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। কাল সোমবার সেগুলো পর্যালোচনার পর সালাহ উদ্দিনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে। এরপর বোঝা যাবে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া যাবে কি না। চিকিত্সক গোস্বামীর বক্তব্যের আভাস অনুযায়ী, সালাহ উদ্দিনকে কাল হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার সম্ভাবনা কম।
এদিকে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিবের আইনগত বিষয় সম্পর্কে দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল লতিফ বলেন, এ নিয়ে স্থানীয় আইনজীবীদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক কথা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে পাওয়া এবং সালাহ উদ্দিনের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার আগে এ বিষয়ে তাঁরা কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। তিনি জানান, সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী শিলং আসার পর আইনজীবীরা তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন। এরপর তাঁর (সালাহ উদ্দিন) বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, সে বিষয়ে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
No comments