বেশভূষা দেখে তাঁর কথা বিশ্বাস করেনি শিলং পুলিশ by রাহীদ এজাজ
সোমবার
ভোর ছয়টার দিকে শিলং পুলিশের ইন্সপেক্টর কে শাবং সাদামাটা পোশাকের এক
লোককে নিয়ে পাশের পুলিশ ফাঁড়িতে পৌঁছান। সৌম্য, শান্ত লোকটির হাতে ছিল
পলিথিনের পোঁটলা। এতে কয়েকটি জামা ও কয়েক পাতা বাংলাদেশি ওষুধ। পুলিশকে
জানালেন, তাঁর নাম সালাহ উদ্দিন আহমদ। তিনি বাংলাদেশের একজন সাবেক
প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির নেতা।
তবে সালাহ উদ্দিনের এ বক্তব্য বিশ্বাস করেনি পুলিশ। তখন ফাঁড়িতে শোরগোল পড়ে যায়। শিলংয়ের যে ফাঁড়িতে প্রথম সালাহ উদ্দিনকে নেওয়া হয়েছিল, সেই ফাঁড়ির সদস্যরা গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে এসব কথা বলেন। তাঁরা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, চোখ বাঁধার কথা বলা হলেও তাঁর চোখ কিংবা কপালের আশপাশে কোনো দাগ দেখা যায়নি। পরনে ছিল সাদা শার্ট ও একটি ট্রাউজার। পায়ে জুতা থাকলেও মোজা ছিল না। মুখে হালকা দাড়ি। ওই সময় তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, দুই মাস আগে তাঁকে বাংলাদেশ থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। এরপর অপহরণকারীরা তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে মেঘালয়ে ফেলে যায়।
তাঁকে মানসিক হাসপাতালে নেওয়ার কারণ হিসেবে পুলিশ বলছে, তিনি যে পরিচয় দিচ্ছিলেন, সেটি তাঁদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। তিনি ঠিক বলছেন কি না অথবা মানসিকভাবে তিনি পুরোপুরি সুস্থ কি না, তা নিশ্চিত হতে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সোমবার ফাঁড়ি থেকে সিভিল হাসপাতাল, শিলং সদর থানা, মানসিক হাসপাতাল হয়ে সিভিল হাসপাতাল নেওয়া পর্যন্ত সালাহ উদ্দিন আহমদের সঙ্গে ছিলেন ইন্সপেক্টর কে শাবাং ও সাব-ইন্সপেক্টর পি লামারে।
সালাহ উদ্দিনের এসব বক্তব্য নিয়ে এখনো ঘোরের মধ্যে আছেন শিলং পুলিশের কর্মকর্তারা। তাঁরা এ নিয়ে কিছুই বলছেন না। কী করে সালাহ উদ্দিন এখানে এলেন, সে ব্যাপারে জানতে চাইলে কেউ কেউ এককথায় সব উড়িয়ে দিচ্ছেন, কেউ রহস্যের হাসি হাসছেন।
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে পুলিশি পাহারায় শিলংয়ের সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদকে সোমবার আদালতে নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। ওই দিনের মামলার তালিকায় তাঁর নাম আছে। তবে পুলিশ বলছে, ‘বিএনপি নেতা সুস্থ’ চিকিৎসকের এমন ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাঁকে আদালতে নেওয়া হবে।
গত সোমবার ভোরে শিলংয়ের গলফ-লিংক এলাকায় উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরির সময় তাঁকে পুলিশ আটক করে স্থানীয় ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। গত শুক্রবার ও গতকাল স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও চিকিৎসকেরা আলাদাভাবে প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে সালাহ উদ্দিন নিজে নন, পুলিশই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাস্তুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।
যে স্থান থেকে সালাহ উদ্দিনকে আটকের কথা বলা হচ্ছে, সেটি হলো গলফ-লিংক। এর অবস্থানটা শিলংয়ের কেন্দ্রস্থল থেকে চার কিলোমিটার দূরে। গত শুক্রবার বেলা তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত এখানে ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড় কেটে তৈরি করা গলফ কোর্সগুলোর মাঝে সড়কটি গলফ লিংক নামে পরিচিত। গলফ কোর্সের আশপাশে সারি সারি গাছে চোখজুড়ানো সবুজ এলাকাটি বেশ নিরিবিলি। এখানে সাধারণত কারও যাওয়ার কথা নয়। কেউ সেখানে যানও না। ঘণ্টা খানেক আশপাশে ঘুরে সালাহ উদ্দিন সম্পর্কে জানতে চাইলে অনেকে তাঁর আটকের কথা শুনেছেন বলে জানান। সোমবার ভোরে এঁদের কেউ সেখানে থাকার কথা স্বীকার করেননি। পুলিশের বক্তব্য, ওই সময় স্থানীয় লোকজনের ফোন পেয়ে বিএনপি নেতাকে আটক করা হয় গলফ-লিংক থেকে।
গতকাল শনিবার সকাল সাতটার পর এ সম্পর্কে জানতে পুনরায় এই প্রতিবেদক গলফ-লিংক এলাকায় যান। কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন দিন, এখানে-সেখানে কয়েক জনকে গলফ খেলতে দেখা গেলেও সড়কে কোনো গাড়ি চোখে পড়ল না। হাতের গলফ-কোর্স সড়কের পাশে দায়িত্ব পালন করছিলেন নিরাপত্তাকর্মী সেস্নাং। বাংলাদেশের নাগরিক পরিচয় দিয়ে সালাহ উদ্দিনের নাম বলতেই বেশ সপ্রতিভভাবে জানালেন, গত সোমবার ভোরে তাঁকে এখান থেকে আটক করা হয়েছে। গণমাধ্যমের পরিচয় দিয়ে সেদিন কী ঘটেছিল জানতে চাইলে, কথা না বলে উল্টো হাঁটতে শুরু করেন এক তরুণী। স্থানীয় দুই তরুণের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁরাও কথা বলতে অসম্মতি জানান। এভাবে ঘণ্টা দেড়েক ওই এলাকায় অবস্থান করেও এ নিয়ে কারও বক্তব্য পাওয়া গেল না।
গলফ-লিংক থেকে এই প্রতিবেদকের পরের গন্তব্য মিমহানস (মেঘালয় ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সেস) নামে পরিচিত শিলংয়ের মানসিক হাসপাতাল। সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এখানেই রাখা হয়েছিল সালাহ উদ্দিন আহমদকে। পুলিশ তাঁকে চিকিৎসার জন্য সেখানে নিয়ে যায়।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে গিয়ে বিএনপি নেতার সম্পর্কে জানতে চাইলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মনোরোগবিশেষজ্ঞ এ কে রায়ের তত্ত্বাবধানে সালাহ উদ্দিন আহমদের চিকিৎসা হয়েছে। এ মুহূর্তে তিনি হাসপাতালে নেই, এ বিষয়ে কথা বললে একমাত্র নার্সদের সমন্বয়কারী কর্মকর্তা কথা বলতে পারেন। নার্সদের সমন্বয়কারীর কাছে গেলে তিনি পাস্তুর পুলিশ ফাঁড়িতে যোগাযোগের অনুরোধ জানান।
সেদিন ঠিক কী হয়েছিল, জানতে গতকাল দুপুরে পাস্তুর পুলিশ ফাঁড়িতে যাই। ফাঁড়ির প্রবেশপথে এক পুলিশ কর্মকর্তার কাছে নিজের পরিচয় দিয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে চাই। কমলেশ প্রসাদ সিং হাত বাড়িয়ে আমাকে কামরায় নিয়ে যান। তিনি বলেন, পুলিশই গত সোমবার ভোরে সালাহ উদ্দিন আহমদকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসেছিল। তিনি নিজে আসেননি। এরপর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মানসিক হাসপাতালের চিকিৎসক এ কে রায় গতকাল বিকেলে ফোনে প্রথম আলোকে বলেন, হুট করে অজানা পরিবেশে এসে পড়ায় শুরুতে সালাহ উদ্দিন আহমদ বেশ বিক্ষিপ্ত ছিলেন। তাঁর কথাবার্তা ছিল অসংলগ্ন। তা ছাড়া তাঁর পরিচয় নিয়ে পুলিশ ছিল সন্দিহান। সব মিলিয়ে মনে হয়েছে, তাঁকে হাসপাতালে রাখা উচিত। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তাঁকে এখানে রাখা হয়। এখান থেকেই তিনি স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি মানসিকভাবে সুস্থ—এটি পুলিশকে জানানোর পর হৃদ্রোগসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যার জন্য তাঁকে সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে সালাহ উদ্দিনের এ বক্তব্য বিশ্বাস করেনি পুলিশ। তখন ফাঁড়িতে শোরগোল পড়ে যায়। শিলংয়ের যে ফাঁড়িতে প্রথম সালাহ উদ্দিনকে নেওয়া হয়েছিল, সেই ফাঁড়ির সদস্যরা গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে এসব কথা বলেন। তাঁরা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, চোখ বাঁধার কথা বলা হলেও তাঁর চোখ কিংবা কপালের আশপাশে কোনো দাগ দেখা যায়নি। পরনে ছিল সাদা শার্ট ও একটি ট্রাউজার। পায়ে জুতা থাকলেও মোজা ছিল না। মুখে হালকা দাড়ি। ওই সময় তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, দুই মাস আগে তাঁকে বাংলাদেশ থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। এরপর অপহরণকারীরা তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে মেঘালয়ে ফেলে যায়।
তাঁকে মানসিক হাসপাতালে নেওয়ার কারণ হিসেবে পুলিশ বলছে, তিনি যে পরিচয় দিচ্ছিলেন, সেটি তাঁদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। তিনি ঠিক বলছেন কি না অথবা মানসিকভাবে তিনি পুরোপুরি সুস্থ কি না, তা নিশ্চিত হতে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সোমবার ফাঁড়ি থেকে সিভিল হাসপাতাল, শিলং সদর থানা, মানসিক হাসপাতাল হয়ে সিভিল হাসপাতাল নেওয়া পর্যন্ত সালাহ উদ্দিন আহমদের সঙ্গে ছিলেন ইন্সপেক্টর কে শাবাং ও সাব-ইন্সপেক্টর পি লামারে।
সালাহ উদ্দিনের এসব বক্তব্য নিয়ে এখনো ঘোরের মধ্যে আছেন শিলং পুলিশের কর্মকর্তারা। তাঁরা এ নিয়ে কিছুই বলছেন না। কী করে সালাহ উদ্দিন এখানে এলেন, সে ব্যাপারে জানতে চাইলে কেউ কেউ এককথায় সব উড়িয়ে দিচ্ছেন, কেউ রহস্যের হাসি হাসছেন।
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে পুলিশি পাহারায় শিলংয়ের সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদকে সোমবার আদালতে নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। ওই দিনের মামলার তালিকায় তাঁর নাম আছে। তবে পুলিশ বলছে, ‘বিএনপি নেতা সুস্থ’ চিকিৎসকের এমন ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাঁকে আদালতে নেওয়া হবে।
গত সোমবার ভোরে শিলংয়ের গলফ-লিংক এলাকায় উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরির সময় তাঁকে পুলিশ আটক করে স্থানীয় ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। গত শুক্রবার ও গতকাল স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও চিকিৎসকেরা আলাদাভাবে প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে সালাহ উদ্দিন নিজে নন, পুলিশই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাস্তুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।
যে স্থান থেকে সালাহ উদ্দিনকে আটকের কথা বলা হচ্ছে, সেটি হলো গলফ-লিংক। এর অবস্থানটা শিলংয়ের কেন্দ্রস্থল থেকে চার কিলোমিটার দূরে। গত শুক্রবার বেলা তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত এখানে ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড় কেটে তৈরি করা গলফ কোর্সগুলোর মাঝে সড়কটি গলফ লিংক নামে পরিচিত। গলফ কোর্সের আশপাশে সারি সারি গাছে চোখজুড়ানো সবুজ এলাকাটি বেশ নিরিবিলি। এখানে সাধারণত কারও যাওয়ার কথা নয়। কেউ সেখানে যানও না। ঘণ্টা খানেক আশপাশে ঘুরে সালাহ উদ্দিন সম্পর্কে জানতে চাইলে অনেকে তাঁর আটকের কথা শুনেছেন বলে জানান। সোমবার ভোরে এঁদের কেউ সেখানে থাকার কথা স্বীকার করেননি। পুলিশের বক্তব্য, ওই সময় স্থানীয় লোকজনের ফোন পেয়ে বিএনপি নেতাকে আটক করা হয় গলফ-লিংক থেকে।
গতকাল শনিবার সকাল সাতটার পর এ সম্পর্কে জানতে পুনরায় এই প্রতিবেদক গলফ-লিংক এলাকায় যান। কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন দিন, এখানে-সেখানে কয়েক জনকে গলফ খেলতে দেখা গেলেও সড়কে কোনো গাড়ি চোখে পড়ল না। হাতের গলফ-কোর্স সড়কের পাশে দায়িত্ব পালন করছিলেন নিরাপত্তাকর্মী সেস্নাং। বাংলাদেশের নাগরিক পরিচয় দিয়ে সালাহ উদ্দিনের নাম বলতেই বেশ সপ্রতিভভাবে জানালেন, গত সোমবার ভোরে তাঁকে এখান থেকে আটক করা হয়েছে। গণমাধ্যমের পরিচয় দিয়ে সেদিন কী ঘটেছিল জানতে চাইলে, কথা না বলে উল্টো হাঁটতে শুরু করেন এক তরুণী। স্থানীয় দুই তরুণের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁরাও কথা বলতে অসম্মতি জানান। এভাবে ঘণ্টা দেড়েক ওই এলাকায় অবস্থান করেও এ নিয়ে কারও বক্তব্য পাওয়া গেল না।
গলফ-লিংক থেকে এই প্রতিবেদকের পরের গন্তব্য মিমহানস (মেঘালয় ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সেস) নামে পরিচিত শিলংয়ের মানসিক হাসপাতাল। সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এখানেই রাখা হয়েছিল সালাহ উদ্দিন আহমদকে। পুলিশ তাঁকে চিকিৎসার জন্য সেখানে নিয়ে যায়।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে গিয়ে বিএনপি নেতার সম্পর্কে জানতে চাইলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মনোরোগবিশেষজ্ঞ এ কে রায়ের তত্ত্বাবধানে সালাহ উদ্দিন আহমদের চিকিৎসা হয়েছে। এ মুহূর্তে তিনি হাসপাতালে নেই, এ বিষয়ে কথা বললে একমাত্র নার্সদের সমন্বয়কারী কর্মকর্তা কথা বলতে পারেন। নার্সদের সমন্বয়কারীর কাছে গেলে তিনি পাস্তুর পুলিশ ফাঁড়িতে যোগাযোগের অনুরোধ জানান।
সেদিন ঠিক কী হয়েছিল, জানতে গতকাল দুপুরে পাস্তুর পুলিশ ফাঁড়িতে যাই। ফাঁড়ির প্রবেশপথে এক পুলিশ কর্মকর্তার কাছে নিজের পরিচয় দিয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে চাই। কমলেশ প্রসাদ সিং হাত বাড়িয়ে আমাকে কামরায় নিয়ে যান। তিনি বলেন, পুলিশই গত সোমবার ভোরে সালাহ উদ্দিন আহমদকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসেছিল। তিনি নিজে আসেননি। এরপর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মানসিক হাসপাতালের চিকিৎসক এ কে রায় গতকাল বিকেলে ফোনে প্রথম আলোকে বলেন, হুট করে অজানা পরিবেশে এসে পড়ায় শুরুতে সালাহ উদ্দিন আহমদ বেশ বিক্ষিপ্ত ছিলেন। তাঁর কথাবার্তা ছিল অসংলগ্ন। তা ছাড়া তাঁর পরিচয় নিয়ে পুলিশ ছিল সন্দিহান। সব মিলিয়ে মনে হয়েছে, তাঁকে হাসপাতালে রাখা উচিত। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তাঁকে এখানে রাখা হয়। এখান থেকেই তিনি স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি মানসিকভাবে সুস্থ—এটি পুলিশকে জানানোর পর হৃদ্রোগসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যার জন্য তাঁকে সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
No comments