নারী নির্যাতনের ঘটনা- বিচারহীনতার সংস্কৃতি কাম্য নয়
অপরাধ দমনের দায়িত্ব যাঁদের হাতে অর্পিত, তাঁদের মধ্যেই যদি ব্যাপক মাত্রায় অপরাধপ্রবণতার চিত্র পাওয়া যায়, তবে তা বড় উদ্বেগের বিষয়।
পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে স্ত্রীকে খুন করা, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন চালানো, প্রতারণা করা, এমনকি নারী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধেরও অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর পর্যালোচনা করে তথ্য দিয়েছে, গত এক বছরে ৪৪ জন নারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্যদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ৪০ জনই নির্যাতিত হয়েছেন পুলিশ সদস্যদের দ্বারা। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্যদের হাতে নারী নির্যাতনের এই হিসাব পূর্ণাঙ্গ নয়।
আমাদের সমাজে এমনিতেই নারী নির্যাতনের মাত্রা ব্যাপক; উপরন্তু এগুলো দমন করা যাঁদের দায়িত্ব, তাঁরা নিজেরাই এসব অপরাধে লিপ্ত হলে নারী নির্যাতন প্রতিহত ও হ্রাস করার জন্য আর কে থাকে? যেসব অপরাধ আইন প্রয়োগকারীরাই করেন, সেগুলো বন্ধ করার নৈতিক মনোবল তাঁদের মধ্যে আসবে কোথা থেকে?
এই সমস্যার গুরুতর দিক হলো, পুলিশ কিংবা অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা যখন এ ধরনের অপরাধ করেন, তখন তার আইনি প্রতিকার দুরূহ হয়ে ওঠে। পুলিশ নিজেই যখন অপরাধী, তখন অপরাধের শিকার নারীরা ন্যায়বিচারের জন্য কার কাছে যাবেন? পুলিশের দ্বারা নির্যাতিত নারী বিচার চেয়ে উল্টো প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন, এমন দৃষ্টান্তও রয়েছে।
এ অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। পুলিশ বিভাগের উচিত এসব অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগের পথ সুগম করা। তাঁদের কঠোর শাস্তির মধ্য দিয়ে পুলিশ বিভাগের আত্মশুদ্ধির অভিযান চালানো জরুরি। রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুলিশ বিভাগের মানমর্যাদা ও তার প্রতি জনগণের আস্থা ধরে রাখার স্বার্থে এটা করতেই হবে।
পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে স্ত্রীকে খুন করা, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন চালানো, প্রতারণা করা, এমনকি নারী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধেরও অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর পর্যালোচনা করে তথ্য দিয়েছে, গত এক বছরে ৪৪ জন নারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্যদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ৪০ জনই নির্যাতিত হয়েছেন পুলিশ সদস্যদের দ্বারা। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্যদের হাতে নারী নির্যাতনের এই হিসাব পূর্ণাঙ্গ নয়।
আমাদের সমাজে এমনিতেই নারী নির্যাতনের মাত্রা ব্যাপক; উপরন্তু এগুলো দমন করা যাঁদের দায়িত্ব, তাঁরা নিজেরাই এসব অপরাধে লিপ্ত হলে নারী নির্যাতন প্রতিহত ও হ্রাস করার জন্য আর কে থাকে? যেসব অপরাধ আইন প্রয়োগকারীরাই করেন, সেগুলো বন্ধ করার নৈতিক মনোবল তাঁদের মধ্যে আসবে কোথা থেকে?
এই সমস্যার গুরুতর দিক হলো, পুলিশ কিংবা অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা যখন এ ধরনের অপরাধ করেন, তখন তার আইনি প্রতিকার দুরূহ হয়ে ওঠে। পুলিশ নিজেই যখন অপরাধী, তখন অপরাধের শিকার নারীরা ন্যায়বিচারের জন্য কার কাছে যাবেন? পুলিশের দ্বারা নির্যাতিত নারী বিচার চেয়ে উল্টো প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন, এমন দৃষ্টান্তও রয়েছে।
এ অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। পুলিশ বিভাগের উচিত এসব অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগের পথ সুগম করা। তাঁদের কঠোর শাস্তির মধ্য দিয়ে পুলিশ বিভাগের আত্মশুদ্ধির অভিযান চালানো জরুরি। রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুলিশ বিভাগের মানমর্যাদা ও তার প্রতি জনগণের আস্থা ধরে রাখার স্বার্থে এটা করতেই হবে।
No comments