ব্যর্থতা কীভাবে ঢাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী?
রাজধানী ঢাকা এবং এর আশপাশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। ফ্ল্যাটে জোড়া খুন, কলেজছাত্র হত্যা, ছেলে হত্যা মামলার আসামিদের হাতে মামলার বাদী বাবা খুন বা নিখোঁজ শিশুর গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনা—এগুলো সবই ঘটেছে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার এই দুই দিনে। তবে দেশের অন্যান্য স্থানে অপরাধের মাত্রা কমেছে বলা যাবে না। অস্বীকার করার উপায় নেই যে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অনেক সময় অপরাধ সংঘিটত হলেও থানাপুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছেন না এই ভেবে যে কোনো লাভ নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই ব্যর্থতা ঢাকবে কীভাবে?
বুধবার দুপুরে পল্লবীতে নিজ ফ্ল্যাটে খুন হয়েছেন ডেসকোর এক উপসহকারী প্রকৌশলীর স্ত্রী ও তাঁর মামা। বৃহস্পতিবার মিরপুরে জমি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে এক কলেজছাত্রকে। মোহাম্মদপুরে নিখোঁজ হওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে পানির ট্যাংকে সন্ধান মিলেছে শিশুর গলাকাটা লাশ।
ঢাকার পাশে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঘটেছে ছেলে নজরুল ইসলাম বাবু খুনের দায়ে অভিযুক্ত আসামিদের হাতে মামলার বাদী বাবা জালালউদ্দিনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এই আসামিরা মাত্র কয়েক দিন আগেই জামিন পেয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনদুপুরে বাবাকে অপহরণ করে চোখ উপড়ে, কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
অপরাধের ক্ষেত্রে সব ঘটনা হয়তো আগে থেকে ঠেকানো কঠিন। কিন্তু পুলিশ সতর্ক ও তৎপর থাকলে অন্তত জালালউদ্দিনের হত্যাকাণ্ডটি ঠেকানো যেত। ছেলে হত্যার আসামিরা যে জামিন পেয়েছে এবং তারা যে ভয়ংকর, সেটা পুলিশের বিবেচনায় নেওয়া উচিত ছিল। বাবু হত্যা মামলার মূল আসামি ছাত্রলীগ নেতা সোহেলের সন্ত্রাসী বাহিনীর কারা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের নাম পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে। এই সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে পুলিশের ধারণা না থাকার কথা নয়। কিন্তু তারা তাঁর নিরাপত্তায় আগাম কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই উদাসীনতার জবাব কি?
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয় ভূমিকাই অপরাধীদের বেপরোয়া করে তোলে। আর অপরাধ করে পার পাওয়া যাবে—এই ধারণা দুর্বৃত্তদের উৎসাহিত করে। গভীর উদ্বেগের বিষয় হলো যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একদিকে এসব অপরাধ ঠেকাতে পারছে না, অন্যদিকে অপরাধ ঘটে যাওয়ার পরও অপরাধীদের ধরতে পারছে না। জননিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সরকার তথা পুলিশ প্রশাসন তৎপর না হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামনে আরও গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
বুধবার দুপুরে পল্লবীতে নিজ ফ্ল্যাটে খুন হয়েছেন ডেসকোর এক উপসহকারী প্রকৌশলীর স্ত্রী ও তাঁর মামা। বৃহস্পতিবার মিরপুরে জমি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে এক কলেজছাত্রকে। মোহাম্মদপুরে নিখোঁজ হওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে পানির ট্যাংকে সন্ধান মিলেছে শিশুর গলাকাটা লাশ।
ঢাকার পাশে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঘটেছে ছেলে নজরুল ইসলাম বাবু খুনের দায়ে অভিযুক্ত আসামিদের হাতে মামলার বাদী বাবা জালালউদ্দিনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এই আসামিরা মাত্র কয়েক দিন আগেই জামিন পেয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনদুপুরে বাবাকে অপহরণ করে চোখ উপড়ে, কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
অপরাধের ক্ষেত্রে সব ঘটনা হয়তো আগে থেকে ঠেকানো কঠিন। কিন্তু পুলিশ সতর্ক ও তৎপর থাকলে অন্তত জালালউদ্দিনের হত্যাকাণ্ডটি ঠেকানো যেত। ছেলে হত্যার আসামিরা যে জামিন পেয়েছে এবং তারা যে ভয়ংকর, সেটা পুলিশের বিবেচনায় নেওয়া উচিত ছিল। বাবু হত্যা মামলার মূল আসামি ছাত্রলীগ নেতা সোহেলের সন্ত্রাসী বাহিনীর কারা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের নাম পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে। এই সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে পুলিশের ধারণা না থাকার কথা নয়। কিন্তু তারা তাঁর নিরাপত্তায় আগাম কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই উদাসীনতার জবাব কি?
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয় ভূমিকাই অপরাধীদের বেপরোয়া করে তোলে। আর অপরাধ করে পার পাওয়া যাবে—এই ধারণা দুর্বৃত্তদের উৎসাহিত করে। গভীর উদ্বেগের বিষয় হলো যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একদিকে এসব অপরাধ ঠেকাতে পারছে না, অন্যদিকে অপরাধ ঘটে যাওয়ার পরও অপরাধীদের ধরতে পারছে না। জননিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সরকার তথা পুলিশ প্রশাসন তৎপর না হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামনে আরও গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
No comments