অপহৃত শিশু হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ওলামা লীগ নেতাও, কনস্টেবল বরখাস্ত
সিলেটে
স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে (৯) অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সিলেট
জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক এন ইসলাম তালুকদার ওরফে রাকীবও আদালতে
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে তিনি মহানগর
হাকিমের আদালতে জবানবন্দি দেন।
এর আগে অপহরণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে গত রোববার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান। দুজনের জবানবন্দির বক্তব্যে মিল রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। জবানবন্দিতে এবাদুর বলেছিলেন, টাকার জন্যই সাঈদকে অপহরণ করা হয়। কিন্তু সাঈদ তাঁকে (এবাদুর) চিনে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ওলামা লীগের নেতা রাকীবসহ পাঁচজন জড়িত।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মো. রহমত উল্লাহ জানান, বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা ও পরবর্তী সময়ে মামলা হওয়ায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া এবাদুরের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘সোর্স’ গেদা মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সকালে মহানগর হাকিমের আদালতে গেদাকে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) শাহ মো. ফজলে আজিম পাটওয়ারী ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গেদা মিয়াকে গতকালই রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানায়।
সিলেট নগরের রায়নগর এলাকার বাসিন্দা মতিন মিয়ার ছেলে আবু সাঈদকে গত বুধবার অপহরণ করে পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুঠোফোনে ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অপহরণকারীদের শনাক্ত করে পুলিশ শনিবার রাতে কনস্টেবল এবাদুরকে আটক করে। পরে তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ওই রাতে নগরের কুমারপাড়ার ঝেরঝেরিপাড়ায় তাঁর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় সাঈদের লাশ।
এ ঘটনায় এবাদুরের সহযোগী গেদা মিয়া ও এন ইসলাম তালুকদারকে আটক করা হয়। সাঈদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পূর্বপরিচিত ছিলেন এবাদুর। সাঈদ তাঁকে ‘মামা’ সম্বোধন করতেন। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এবাদুর ‘টাকার জন্য’ সাঈদকে অপহরণ করার কথা জানিয়ে ‘চিনে ফেলায় হত্যা করা হয়’ বলে উল্লেখ করেন। অপহরণের ঘটনায় সঙ্গে গেদা ও রাকীব ছাড়া আরও তিনজন ছিলেন বলে জানান এবাদুর।
সাঈদের সহপাঠীদের প্রতিবাদ: নগরের রায়নগর হাজি শাহমীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল আবু সাঈদ। ওই বিদ্যালয়ের সামনে গতকাল বেলা ১১টায় এলাকাবাসী মানববন্ধনের আয়োজন করলে ওই বিদ্যালয় ছাড়াও আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। মানববন্ধনে সাঈদের সহপাঠীরা কালো ব্যাজ পরে নিজ হাতে লেখা প্রতিবাদী নানা ফেস্টুন প্রদর্শন করে। এ সময় তাদের অনেককে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। মানববন্ধন থেকে সাঈদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল রায়নগর এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাবেরী রানী দেবী জানান, ঘটনা জানাজানি হলে শনিবার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কম থাকায় পাঠদান হয়নি। গতকালও এ অবস্থা ছিল।
সংশোধনী: গতকাল প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনের একাংশে মুক্তিপণের পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে দুই লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, অপহরণকারীরা পাঁচ লাখ টাকা দাবি করলেও দুই লাখ টাকা তাদের কাছে দেওয়ার চেষ্টা করছিল সাঈদের পরিবার। বিষয়টি আগেই পুলিশকে জানানোয় এই টাকা অপহরণকারীরা নিতে পারেনি।
এর আগে অপহরণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে গত রোববার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান। দুজনের জবানবন্দির বক্তব্যে মিল রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। জবানবন্দিতে এবাদুর বলেছিলেন, টাকার জন্যই সাঈদকে অপহরণ করা হয়। কিন্তু সাঈদ তাঁকে (এবাদুর) চিনে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ওলামা লীগের নেতা রাকীবসহ পাঁচজন জড়িত।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মো. রহমত উল্লাহ জানান, বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা ও পরবর্তী সময়ে মামলা হওয়ায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া এবাদুরের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘সোর্স’ গেদা মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সকালে মহানগর হাকিমের আদালতে গেদাকে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) শাহ মো. ফজলে আজিম পাটওয়ারী ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গেদা মিয়াকে গতকালই রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানায়।
সিলেট নগরের রায়নগর এলাকার বাসিন্দা মতিন মিয়ার ছেলে আবু সাঈদকে গত বুধবার অপহরণ করে পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুঠোফোনে ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অপহরণকারীদের শনাক্ত করে পুলিশ শনিবার রাতে কনস্টেবল এবাদুরকে আটক করে। পরে তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ওই রাতে নগরের কুমারপাড়ার ঝেরঝেরিপাড়ায় তাঁর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় সাঈদের লাশ।
এ ঘটনায় এবাদুরের সহযোগী গেদা মিয়া ও এন ইসলাম তালুকদারকে আটক করা হয়। সাঈদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পূর্বপরিচিত ছিলেন এবাদুর। সাঈদ তাঁকে ‘মামা’ সম্বোধন করতেন। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এবাদুর ‘টাকার জন্য’ সাঈদকে অপহরণ করার কথা জানিয়ে ‘চিনে ফেলায় হত্যা করা হয়’ বলে উল্লেখ করেন। অপহরণের ঘটনায় সঙ্গে গেদা ও রাকীব ছাড়া আরও তিনজন ছিলেন বলে জানান এবাদুর।
সাঈদের সহপাঠীদের প্রতিবাদ: নগরের রায়নগর হাজি শাহমীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল আবু সাঈদ। ওই বিদ্যালয়ের সামনে গতকাল বেলা ১১টায় এলাকাবাসী মানববন্ধনের আয়োজন করলে ওই বিদ্যালয় ছাড়াও আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। মানববন্ধনে সাঈদের সহপাঠীরা কালো ব্যাজ পরে নিজ হাতে লেখা প্রতিবাদী নানা ফেস্টুন প্রদর্শন করে। এ সময় তাদের অনেককে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। মানববন্ধন থেকে সাঈদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল রায়নগর এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাবেরী রানী দেবী জানান, ঘটনা জানাজানি হলে শনিবার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কম থাকায় পাঠদান হয়নি। গতকালও এ অবস্থা ছিল।
সংশোধনী: গতকাল প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনের একাংশে মুক্তিপণের পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে দুই লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, অপহরণকারীরা পাঁচ লাখ টাকা দাবি করলেও দুই লাখ টাকা তাদের কাছে দেওয়ার চেষ্টা করছিল সাঈদের পরিবার। বিষয়টি আগেই পুলিশকে জানানোয় এই টাকা অপহরণকারীরা নিতে পারেনি।
No comments