শাবিতে পুলিশ পাহারায় হলে ফিরলো ছাত্রলীগ
কমিটি
গঠনের প্রায় দুই বছর পর পুলিশ প্রহরায় হলে ফিরলো শাহজালাল বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ। গতকাল দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ
প্রহরায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির উপস্থিতিতে শাহপরাণ হলে প্রবেশ করেন
ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান,
সহসভাপতি আবু সাঈদ ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সবুজ। এসময়
ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও পদধারীদের মুখোমুখি অবস্থানে বাধা দিলে ছাত্র
উপদেষ্টা, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ও হল প্রভোস্টকে গালাগাল করে ছাত্রলীগ। পরে
ভিসির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
২০১৩ সালের ৮ই মে দীর্ঘ ১০ বছর পর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের পর ওই দিন রাতেই হামলার শিকার হন সাবেক আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সুমন। এ ঘটনায় পদবঞ্চিত নেতা উত্তম কুমার দাসকে দায়ী করেন সুমন। সুমনের ওপর হামলার ঘটনায় এর পরদিন উত্তম কুমার দাসকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি। অন্যদিকে কমিটির সহসভাপতি অঞ্জন রায় যোগ দেন পদবঞ্চিতদের সঙ্গে। ওই দিন থেকে পদবঞ্চিতদের ক্যাম্পাসে দেখা গেলেও কমিটির সভাপতিসহ অন্য নেতাদের দেখা মেলেনি ক্যাম্পাসে। তবে বিভিন্ন সময় বিবৃতি আর বিজ্ঞপ্তিতে সবর ছিলেন কমিটির পক্ষের নেতারা। সর্বশেষ গত বছরের ২০শে নভেম্বর কমিটি পক্ষের নেতারা হলে ফিরতে চাইলে পদবঞ্চিতদের সঙ্গে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে একজন নিহতসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়। ওই ঘটনায় প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর ক্যাম্পাসে মিছিল সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ১৮ই জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট।
সকাল ১০টায় কমিটি পক্ষের নেতারা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে ভিসির সঙ্গে দেখা করে বৈধ ছাত্রদের হলে থাকার ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। এ সময় শাহপরাণ হলের সামনে মিছিল বের করে অঞ্জন-উত্তম সমর্থক পদবঞ্চিতরা। মিছিলকারীদের বাধা দিতে এলে ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ইমদাদ হোসেন ও হল প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গে মিছিলকারীদের তীব্র বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এ সময় শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণও করেন মিছিলকারীরা। মিছিলকারীরা শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে একের পর এক আক্রমণাত্মক স্লোগান দিতে থাকলে শিক্ষকরা ভিসিকে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন।
অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সামনে প্রক্টরিয়াল কমিটির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন ভিসি। বৈঠকে অংশ নেয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী প্রক্টর জানান, শিক্ষকরা ভিসির কাছে আক্রমণাত্মক স্ল্লোগানধারী ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ওই সময়ই প্রক্টরিয়াল বডি ও হল প্রাধ্যক্ষরা পদত্যাগ করবেন বলে ভিসিকে জানান। ভিসি দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং আবাসিক হলে ছাত্রলীগের সব পক্ষের নেতাকর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে বলে শিক্ষকদের জানিয়ে তিনটি আবাসিক হল পরিদর্শন করেন। ভিসির হল পরিদর্শনের আগেই পুলিশ পদবঞ্চিত কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ প্রহরায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টর ও হল প্রাধ্যক্ষদের উপস্থিতিতে শাহপরাণ হলে প্রবেশ করেন কমিটি পক্ষের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ বলেন, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। আমরা বৈধ শিক্ষার্থীরা হলে উঠেছি, আমাদের পক্ষ থেকে কোন ঝামেলা করা হবে না। তবে কেউ যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে থাকে তা শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে। পদবঞ্চিতদের নেতা অঞ্জন রায় বলেন, বৈধ ছাত্ররা হলে উঠবে এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। তবে আমরা ২০শে নভেম্বর অস্ত্রধারীদের বিচার চাই।
ভিসি অধ্যাপক আমিনুল হক ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছাত্রদের নিরাপত্তা ছাত্ররাই সবচেয়ে ভাল দিতে পারে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সহায়ক ভূমিকা পালন করি। ছাত্ররা পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে একে অন্যের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কাল (মঙ্গলবার) দুপুরে সব পক্ষের নেতাদের নিয়ে মিনি অডিটোরিয়ামে মতো বিনিময় করা হবে যাতে ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ বজায় থাকে।’
২০১৩ সালের ৮ই মে দীর্ঘ ১০ বছর পর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের পর ওই দিন রাতেই হামলার শিকার হন সাবেক আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সুমন। এ ঘটনায় পদবঞ্চিত নেতা উত্তম কুমার দাসকে দায়ী করেন সুমন। সুমনের ওপর হামলার ঘটনায় এর পরদিন উত্তম কুমার দাসকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি। অন্যদিকে কমিটির সহসভাপতি অঞ্জন রায় যোগ দেন পদবঞ্চিতদের সঙ্গে। ওই দিন থেকে পদবঞ্চিতদের ক্যাম্পাসে দেখা গেলেও কমিটির সভাপতিসহ অন্য নেতাদের দেখা মেলেনি ক্যাম্পাসে। তবে বিভিন্ন সময় বিবৃতি আর বিজ্ঞপ্তিতে সবর ছিলেন কমিটির পক্ষের নেতারা। সর্বশেষ গত বছরের ২০শে নভেম্বর কমিটি পক্ষের নেতারা হলে ফিরতে চাইলে পদবঞ্চিতদের সঙ্গে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে একজন নিহতসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়। ওই ঘটনায় প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর ক্যাম্পাসে মিছিল সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ১৮ই জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট।
সকাল ১০টায় কমিটি পক্ষের নেতারা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে ভিসির সঙ্গে দেখা করে বৈধ ছাত্রদের হলে থাকার ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। এ সময় শাহপরাণ হলের সামনে মিছিল বের করে অঞ্জন-উত্তম সমর্থক পদবঞ্চিতরা। মিছিলকারীদের বাধা দিতে এলে ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ইমদাদ হোসেন ও হল প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গে মিছিলকারীদের তীব্র বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এ সময় শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণও করেন মিছিলকারীরা। মিছিলকারীরা শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে একের পর এক আক্রমণাত্মক স্লোগান দিতে থাকলে শিক্ষকরা ভিসিকে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন।
অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সামনে প্রক্টরিয়াল কমিটির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন ভিসি। বৈঠকে অংশ নেয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী প্রক্টর জানান, শিক্ষকরা ভিসির কাছে আক্রমণাত্মক স্ল্লোগানধারী ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ওই সময়ই প্রক্টরিয়াল বডি ও হল প্রাধ্যক্ষরা পদত্যাগ করবেন বলে ভিসিকে জানান। ভিসি দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং আবাসিক হলে ছাত্রলীগের সব পক্ষের নেতাকর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে বলে শিক্ষকদের জানিয়ে তিনটি আবাসিক হল পরিদর্শন করেন। ভিসির হল পরিদর্শনের আগেই পুলিশ পদবঞ্চিত কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ প্রহরায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টর ও হল প্রাধ্যক্ষদের উপস্থিতিতে শাহপরাণ হলে প্রবেশ করেন কমিটি পক্ষের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ বলেন, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। আমরা বৈধ শিক্ষার্থীরা হলে উঠেছি, আমাদের পক্ষ থেকে কোন ঝামেলা করা হবে না। তবে কেউ যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে থাকে তা শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে। পদবঞ্চিতদের নেতা অঞ্জন রায় বলেন, বৈধ ছাত্ররা হলে উঠবে এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। তবে আমরা ২০শে নভেম্বর অস্ত্রধারীদের বিচার চাই।
ভিসি অধ্যাপক আমিনুল হক ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছাত্রদের নিরাপত্তা ছাত্ররাই সবচেয়ে ভাল দিতে পারে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সহায়ক ভূমিকা পালন করি। ছাত্ররা পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে একে অন্যের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কাল (মঙ্গলবার) দুপুরে সব পক্ষের নেতাদের নিয়ে মিনি অডিটোরিয়ামে মতো বিনিময় করা হবে যাতে ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ বজায় থাকে।’
No comments