আইনজীবী সোহেল রানা ৩৬ দিন ধরে নিখোঁজ
সোহেল
রানা (৩৫) নামের এক আইনজীবী ৩৬ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁর বাসা
রাজধানীর আদাবর থানার শেখেরটেকে। সোহেল রানার স্বজনদের অভিযোগ, গত ১০
ফেব্রুয়ারি রাতে উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টর থেকে তাঁকে কয়েকজন যুবক
মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ। এ ঘটনায় আদাবর
থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নেওয়া হলেও পুলিশ তাতে উল্লেখ করিয়েছে যে তিনি
বাসা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও সন্ধান না পেয়ে এ
আইনজীবীর স্ত্রী, পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়। তাঁকে
উদ্ধারে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা। সোহেলের দুই শিশুসন্তান
রয়েছে। পরিবারের করা জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা আদাবর থানার উপপরিদর্শক
(এসআই) মারুফ হাসান রাসেল বলেন, আইনজীবী সোহেল রানার মোবাইল ফোন কলের
তালিকা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায়
অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে, এমন তথ্যও
নেই।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সোহেল রানা ১০ ফেব্রুয়ারি কাজে যাচ্ছেন বলে শেখেরটেকের বাসা থেকে বের হন। রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি স্ত্রী আফরোজা সুলতানাকে ফোন করে বলেন, তিনি মহাখালীতে আছেন। সেখান থেকে উত্তরায় এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে যাবেন এবং উত্তরা থেকে বাসায় ফিরবেন। রাত ১২টায়ও তিনি বাসায় না ফেরায় তাঁর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তা বন্ধ পান স্ত্রী। সোহেলের বড় ভাই মোস্তফা কামাল দিনাজপুর থেকে পরদিন আফরোজাকে ফোন করে জানান, সোহেলের সঙ্গে থাকা বন্ধু রিংকু তাঁকে জানিয়েছেন যে ১০-১২ জন যুবক সোহেলকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এরপর তাঁরা থানা, র্যাব ও আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কার্যালয়ে খোঁজাখুঁজি করেও সোহেলের সন্ধান পাননি। সম্ভাব্য আরও বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে না পেয়ে ঘটনার ছয় দিন পর তাঁরা আদাবর থানায় এ বিষয়ে জিডি করেন। অবশ্য পুলিশ তাতে লিখিয়েছে যে সোহেল বাসা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন।
মোস্তফা কামালের বরাত দিয়ে আফরোজা সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, সোহেল রানা তাঁর বন্ধু রিংকুর মোটরসাইকেলে উত্তরার ৫ নম্বরের সেক্টরে যান। সেখানে তিনি এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে বাসায় ফেরার জন্য উদ্যত হন। এ সময় ২০-২৫ বছর বয়সী ১০-১২ জন যুবক তাঁদের দুজনকে ঘিরে ফেলে এবং ছাই রঙের একটি মাইক্রোবাসে ওঠায়। তারা দুজনের চোখ বাঁধে ও হাত পিছমোড়া করে হাতকড়া পরিয়ে মারধর করে। পরিচয় জানার পর ঘণ্টা খানেক তাঁদের বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরানো হয়। যুবকেরা সোহেলকে বলে, ‘বড় নেতা হয়ে গেছিস।’ একপর্যায়ে রিংকুর চোখের বাঁধন ও হাতকড়া খুলে তাঁকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দেয় এবং সামনে দৌড়াতে বলে যুবকেরা। কিছুক্ষণ দৌড়ানোর পর রিংকু দেখেন তিনি পূর্বাচল প্লটের কাছাকাছি, তাঁর সঙ্গে সোহেল নেই। আরও কিছু দূরে গিয়ে তিনি পুলিশের গাড়িতে উঠে বাসায় আসেন। পরে তিনি ঘটনাটি ফোনে তাঁর ভাশুরকে জানান, ভাশুর জানান তাঁকে।
আফরোজা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সোহেল বিএনপির সমর্থক হলেও দলটির নেতা বা কর্মী নন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো থানায় মামলা বা জিডিও নেই। ঘটনার কয়েক দিন আগে স্বামী তাঁকে বলেছিলেন, তাঁর পরিচিতি এলাকায় ছড়িয়ে গেছে। তিনি কিছুদিনের মধ্যে গ্রেপ্তার হতে পারেন।
আফরোজা স্বামীকে ফিরে পেতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি বলেন, স্বামীর খোঁজ না পেয়ে দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে চরম উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তায় তাঁর দিন কাটছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সোহেল রানা ১০ ফেব্রুয়ারি কাজে যাচ্ছেন বলে শেখেরটেকের বাসা থেকে বের হন। রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি স্ত্রী আফরোজা সুলতানাকে ফোন করে বলেন, তিনি মহাখালীতে আছেন। সেখান থেকে উত্তরায় এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে যাবেন এবং উত্তরা থেকে বাসায় ফিরবেন। রাত ১২টায়ও তিনি বাসায় না ফেরায় তাঁর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তা বন্ধ পান স্ত্রী। সোহেলের বড় ভাই মোস্তফা কামাল দিনাজপুর থেকে পরদিন আফরোজাকে ফোন করে জানান, সোহেলের সঙ্গে থাকা বন্ধু রিংকু তাঁকে জানিয়েছেন যে ১০-১২ জন যুবক সোহেলকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এরপর তাঁরা থানা, র্যাব ও আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কার্যালয়ে খোঁজাখুঁজি করেও সোহেলের সন্ধান পাননি। সম্ভাব্য আরও বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে না পেয়ে ঘটনার ছয় দিন পর তাঁরা আদাবর থানায় এ বিষয়ে জিডি করেন। অবশ্য পুলিশ তাতে লিখিয়েছে যে সোহেল বাসা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন।
মোস্তফা কামালের বরাত দিয়ে আফরোজা সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, সোহেল রানা তাঁর বন্ধু রিংকুর মোটরসাইকেলে উত্তরার ৫ নম্বরের সেক্টরে যান। সেখানে তিনি এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে বাসায় ফেরার জন্য উদ্যত হন। এ সময় ২০-২৫ বছর বয়সী ১০-১২ জন যুবক তাঁদের দুজনকে ঘিরে ফেলে এবং ছাই রঙের একটি মাইক্রোবাসে ওঠায়। তারা দুজনের চোখ বাঁধে ও হাত পিছমোড়া করে হাতকড়া পরিয়ে মারধর করে। পরিচয় জানার পর ঘণ্টা খানেক তাঁদের বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরানো হয়। যুবকেরা সোহেলকে বলে, ‘বড় নেতা হয়ে গেছিস।’ একপর্যায়ে রিংকুর চোখের বাঁধন ও হাতকড়া খুলে তাঁকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দেয় এবং সামনে দৌড়াতে বলে যুবকেরা। কিছুক্ষণ দৌড়ানোর পর রিংকু দেখেন তিনি পূর্বাচল প্লটের কাছাকাছি, তাঁর সঙ্গে সোহেল নেই। আরও কিছু দূরে গিয়ে তিনি পুলিশের গাড়িতে উঠে বাসায় আসেন। পরে তিনি ঘটনাটি ফোনে তাঁর ভাশুরকে জানান, ভাশুর জানান তাঁকে।
আফরোজা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সোহেল বিএনপির সমর্থক হলেও দলটির নেতা বা কর্মী নন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো থানায় মামলা বা জিডিও নেই। ঘটনার কয়েক দিন আগে স্বামী তাঁকে বলেছিলেন, তাঁর পরিচিতি এলাকায় ছড়িয়ে গেছে। তিনি কিছুদিনের মধ্যে গ্রেপ্তার হতে পারেন।
আফরোজা স্বামীকে ফিরে পেতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি বলেন, স্বামীর খোঁজ না পেয়ে দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে চরম উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তায় তাঁর দিন কাটছে।
No comments