উত্তরার সেই বাড়ির লোকজনের মুখে কুলুপ
বিএনপির
যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে যে বাড়ি থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনী পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়েছিল সেই বাড়ির লোকজন মুখে এখন কুলুপ এঁটে
রেখেছেন। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩/বি
নম্বর রোডের ৪৯/বি নম্বর সেই বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা যায় পিনপতন নীরবতা।
বাড়ির সামনের গেট বন্ধ দেখা গেছে। গেটের ভেতরে বাড়ির নিচতলায় গাড়ি
পার্কিংয়ে চেয়ার নিয়ে বসে আছেন তিন নিরাপত্তাকর্মী। গণমাধ্যমকর্মী পরিচয়
দেয়ায় একজন গেটের সামনে আসেন। পকেট গেট খোলার অনুরোধ জানালে তিনি বলেন,
গেট খোলা যাবে না। সালাহউদ্দিনের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তাকে
চিনি না। আর ওই দিন যিনি ডিউটিতে ছিলেন তিনিও এখন নেই। কোথায় গেছেন, জানতে
চাইলে বলেন তার অন্য শিফটে ডিউটি। হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে ওই নিরাপত্তাকর্মী
বলেন, আপনি চলে যান। আমরা সালাহউদ্দিন নামে কাউকে চিনি না। এ সময় হাফহাতা
শার্ট পরা কালো লম্বা এক নিরাপত্তাকর্মী ছুটে এসে বলেন, ভাই আমরা গরিব
মানুষ। আমাদের নাম পরিচয়ও জানতে চাইয়েন না। আর আমাদের নিয়ে টানা-হেঁচড়া
কইরেন না। ওই দিন পুলিশ একজনকে ধরে নিয়ে রাতভর আটকে রেখে ছেড়ে দিয়েছে। ভাই
আমরা খুব ভয়ে আছি। তিনি বলেন, ঘটনার দিন আমি ছিলাম না। তবে অন্য একজনের
কাছে শুনেছি তিনটি গাড়ি বাড়ির গেটের বাইরে এসে দাঁড়ায়। এরপর কয়েকজন ব্যক্তি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোক পরিচয় দিয়ে পকেট গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে। এর চেয়ে
বেশি কিছু তিনি জানাতে পারেননি।
এ সময় এক ব্যক্তিকে ওই বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়। তিনি ওই বাড়ির বাসিন্দা। তার কাছে ওই রাতে কি হয়েছিল জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।
এ দিকে গত ছয় দিনেও সালাহউদ্দিন আহমদের হদিস মেলেনি। আদালতের নির্দেশের পরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সালাহউদ্দিনের কোনো সন্ধান দিতে পারেনি।
গত ১০ মার্চ মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর উত্তরার ওই বাড়ির দ্বিতীয়তলার পশ্চিম পাসের ফ্যাট থেকে তুলে নেয়া হয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদকে। ওই ফ্যাটে থাকতেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ডিএমডি হাবিব হাসনাত ও তার স্ত্রী সুমনা। জানা গেছে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে সালাহউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়। এ সময় বাসার দুই গৃহকর্মী ও সালাহউদ্দিন আহমদের চালককেও পুলিশ নিয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চালক ও পুরুষ গৃহকর্মীকে ছেড়ে দেয়া হলেও একজন নারী গৃহকর্মীর কোনো হদিস নেই। ঘটনার পরের দিন রাতেই সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমদ রাজধানীর উত্তরা, গুলশান ও বনানী থানায় যান সাধারণ ডায়েরি করার জন্য। কিন্তু কোনো থানাতেই তার ডায়েরি গ্রহণ করেনি পুলিশ। এরপর ১২ মার্চ সালাহউদ্দিনের স্ত্রী একটি রিট আবেদন করেন হাইকোর্টে। ওই আবেদনের পরিপ্রেেিত গত রোববারের মধ্যে সালাহউদ্দিনকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন আদালত। আইনশৃঙ্খলা রাকারী সংস্থার সদস্যদের এই নির্দেশ প্রদান করা হয়। গতকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উইংগুলো পৃথক প্রতিবেদন দাখিল করেছে আদালতে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, সালাহউদ্দিনের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
এ দিকে গতকাল সালাহউদ্দিন আহমদকে কেন আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হবে না, সে বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট সরকারকে যে রুল দিয়েছিল তার শুনানি আবারো ৮ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ যখন সেখানে যায়, তখন ফ্যাটটি তালাবদ্ধ ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী আখতার জানান, চার দিন আগে হাসনাত-সুমনা দম্পতি বাইরে যান। এ সময় ‘রায়হান’ নামে একজন মেহমানকে রেখে যান। হাসনাত দারোয়ানদের বলে যান, তাদের অনুপস্থিতিতে এই মেহমান বাসায় থাকবেন। ওই বাড়িতে রাত ১১টা পর্যন্ত ভাড়াটেরা গাড়ি নিয়ে আসা-যাওয়া করতেন। ১০ মার্চ আনুমানিক ৯টার দিকে চার-পাঁচজন হাসনাতের বাসায় যান। আনুমানিক আধা ঘণ্টা পর মেহমান ওই চার-পাঁচজনের সাথে গাড়িতে উঠে চলে যান। ওই লোকটি সালাহউদ্দিন কি না, তা তারা জানেন না। বাসায় যাওয়া লোকদের গায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক ছিল না। তাদের কাছে কোনো অস্ত্রও দেখা যায়নি। বাইরে যে গাড়িটি অপো করছিল, তাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ির মতো মনে হয়নি। মেহমানের হাতে কোনো হাতকড়া ছিল না, তাকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও মনে হয়নি।
তবে গত বৃহস্পতিবার আখতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে বেশ কয়েকটি গাড়ি নিয়ে একদল লোক ওই বাসার সামনে আসেন। বাসার সামনে তিনটি গাড়ি ছিল। কিছুণ পর রাত ১০টা নাগাদ তারা এসে বলেন, আমরা ডিবির লোক। কোনো সমস্যা নেই। পকেট গেট খোলা ছিল। তারা কয়েকজন সেই গেট দিয়ে বাসার ভেতরে ঢুকে পড়লে আখতারুল জিজ্ঞেস করেন, ‘কী কারণে আসছেন? তারা বলেন, পরে জানতে পারবি।’
ওই সময় আখতারুল আরো বলেন, এ সময় দু’জন তাকে ‘চটকনা’ দেন। তাদের কাছে পিস্তল দেখে ভয় পান আখতারুল। তারা নিজেদের ডিবির লোক বলে পরিচয় দেন ও আখতারুলকে ‘চুপ করে বইসা থাক’ বলে কয়েকজন দোতলায় চলে যান। লোকগুলো এরপর ২০-২৫ মিনিট ছিলেন। নামার সময় চোখ বাঁধা অবস্থায় দু’জন দুই পাশে ধরে তাকে (সালাহউদ্দিন) নিয়ে নেমে যান। পরে একটি মাইক্রোবাসে তুলে সালাহউদ্দিনকে নিয়ে চলে যান অস্ত্রধারীরা।
এ সময় এক ব্যক্তিকে ওই বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়। তিনি ওই বাড়ির বাসিন্দা। তার কাছে ওই রাতে কি হয়েছিল জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।
এ দিকে গত ছয় দিনেও সালাহউদ্দিন আহমদের হদিস মেলেনি। আদালতের নির্দেশের পরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সালাহউদ্দিনের কোনো সন্ধান দিতে পারেনি।
গত ১০ মার্চ মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর উত্তরার ওই বাড়ির দ্বিতীয়তলার পশ্চিম পাসের ফ্যাট থেকে তুলে নেয়া হয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদকে। ওই ফ্যাটে থাকতেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ডিএমডি হাবিব হাসনাত ও তার স্ত্রী সুমনা। জানা গেছে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে সালাহউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়। এ সময় বাসার দুই গৃহকর্মী ও সালাহউদ্দিন আহমদের চালককেও পুলিশ নিয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চালক ও পুরুষ গৃহকর্মীকে ছেড়ে দেয়া হলেও একজন নারী গৃহকর্মীর কোনো হদিস নেই। ঘটনার পরের দিন রাতেই সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমদ রাজধানীর উত্তরা, গুলশান ও বনানী থানায় যান সাধারণ ডায়েরি করার জন্য। কিন্তু কোনো থানাতেই তার ডায়েরি গ্রহণ করেনি পুলিশ। এরপর ১২ মার্চ সালাহউদ্দিনের স্ত্রী একটি রিট আবেদন করেন হাইকোর্টে। ওই আবেদনের পরিপ্রেেিত গত রোববারের মধ্যে সালাহউদ্দিনকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন আদালত। আইনশৃঙ্খলা রাকারী সংস্থার সদস্যদের এই নির্দেশ প্রদান করা হয়। গতকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উইংগুলো পৃথক প্রতিবেদন দাখিল করেছে আদালতে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, সালাহউদ্দিনের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
এ দিকে গতকাল সালাহউদ্দিন আহমদকে কেন আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হবে না, সে বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট সরকারকে যে রুল দিয়েছিল তার শুনানি আবারো ৮ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ যখন সেখানে যায়, তখন ফ্যাটটি তালাবদ্ধ ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী আখতার জানান, চার দিন আগে হাসনাত-সুমনা দম্পতি বাইরে যান। এ সময় ‘রায়হান’ নামে একজন মেহমানকে রেখে যান। হাসনাত দারোয়ানদের বলে যান, তাদের অনুপস্থিতিতে এই মেহমান বাসায় থাকবেন। ওই বাড়িতে রাত ১১টা পর্যন্ত ভাড়াটেরা গাড়ি নিয়ে আসা-যাওয়া করতেন। ১০ মার্চ আনুমানিক ৯টার দিকে চার-পাঁচজন হাসনাতের বাসায় যান। আনুমানিক আধা ঘণ্টা পর মেহমান ওই চার-পাঁচজনের সাথে গাড়িতে উঠে চলে যান। ওই লোকটি সালাহউদ্দিন কি না, তা তারা জানেন না। বাসায় যাওয়া লোকদের গায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক ছিল না। তাদের কাছে কোনো অস্ত্রও দেখা যায়নি। বাইরে যে গাড়িটি অপো করছিল, তাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ির মতো মনে হয়নি। মেহমানের হাতে কোনো হাতকড়া ছিল না, তাকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও মনে হয়নি।
তবে গত বৃহস্পতিবার আখতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে বেশ কয়েকটি গাড়ি নিয়ে একদল লোক ওই বাসার সামনে আসেন। বাসার সামনে তিনটি গাড়ি ছিল। কিছুণ পর রাত ১০টা নাগাদ তারা এসে বলেন, আমরা ডিবির লোক। কোনো সমস্যা নেই। পকেট গেট খোলা ছিল। তারা কয়েকজন সেই গেট দিয়ে বাসার ভেতরে ঢুকে পড়লে আখতারুল জিজ্ঞেস করেন, ‘কী কারণে আসছেন? তারা বলেন, পরে জানতে পারবি।’
ওই সময় আখতারুল আরো বলেন, এ সময় দু’জন তাকে ‘চটকনা’ দেন। তাদের কাছে পিস্তল দেখে ভয় পান আখতারুল। তারা নিজেদের ডিবির লোক বলে পরিচয় দেন ও আখতারুলকে ‘চুপ করে বইসা থাক’ বলে কয়েকজন দোতলায় চলে যান। লোকগুলো এরপর ২০-২৫ মিনিট ছিলেন। নামার সময় চোখ বাঁধা অবস্থায় দু’জন দুই পাশে ধরে তাকে (সালাহউদ্দিন) নিয়ে নেমে যান। পরে একটি মাইক্রোবাসে তুলে সালাহউদ্দিনকে নিয়ে চলে যান অস্ত্রধারীরা।
No comments