ধর্ষণের ঘটনায় মোদির উদ্বেগ
ভারতের
পশ্চিমবঙ্গে একটি কনভেন্টে সত্তরোর্ধ এক নানকে গণধর্ষণের ঘটনায় গভীর
উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক টুইটারে এই উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।
হরিয়ানাতে চার্চের ওপর হামলার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বিচলিত বলে জানানো
হয়েছে। দুটি ক্ষেত্রেই কি ঘটেছিল এবং প্রশাসন কি ব্যবস্থা নিয়ে তা জানতে
চেয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। গত সপ্তাহে হরিয়ানায়
নির্মাণাধীন একটি চার্চে হামলার ঘটনা ঘটে। গত শনিবার নদীয়ার গাংনাপুরে একটি
কনভেন্ট স্কুলে ৭২ বছর বয়সী একজন নান গণধর্ষণের শিকান হন। এ সময় ওই স্কুলে
হামলা ও লুঠতরাজও করা হয়। তবে ঘটনার পর ৭২ ঘন্টা কেটে গেলেও কেউ ধরা না
পরায় চারিদিকে প্রতবাদেও ঝড় উঠেছে। পুলিশ সন্দেহভাজন ৮ থেকে ১০ জনকে আটক
করেছে মাত্র। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা
পশ্চিমবঙ্গের নানা স্থানে মিছিল করেন। স্কুলের সামনে স্থানীয় মানুষ বিক্ষোভ
দেখান। সোমবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থল পরিদর্শনে
গেলে তার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। প্রায় এক ঘন্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
জনতার হাতে অবরুদ্ধ হয়ে ছিলেন। এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নান ছাড়া
পাওয়ার পর ক্ষমার কথাই শুনিয়েছেন। সবাইকে তিনি শান্ত থাকার আবেদন
জানিয়েছেন। নানকে ধর্ষনের ঘটনায় বিশ্ব জুড়ে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। নির্যাতিতা
নানকে সহমর্মিতা জানাতে দুজন রোমের প্রতিনিধি ঘটনার পরদিনই রানাঘাটে ছুটে
এসেছেন। তারা নির্যাতিতা নানের সঙ্গে কথাও বলেছেন। রোমান ক্যাথলিক চার্চের
দুই প্রতিনিধির একজন জানিয়েছেন, আমরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এখানে এসেছি।
আমরা মানবিকভাবে ওর পাশে দাঁড়াবার জন্যই এসেছি। ঘটনাটিকে একটি অস্বাভাবিক
ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করে তিনি জানান, গোটা পুথিবীতে এমন ঘটনা কোথাও ঘটেছে
বলে কখনও শুনিনি। এদিকে নানকে নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতার
আর্চশিপের ডাকে কয়েক হাজার মানুষ কলকাতায় মিছিলে শামিল হয়েছিলেন। কলকাতা
আর্চবিশপ টমাস ডিস্যুজা বলেছেন, নির্যাতিতার প্রতি সহানুভুতি ও সহমর্মিতা
জানানোর জন্যই মানুষ পথে হেঁটেছেন।
No comments