পাঁচ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে মুক্ত হলো নিউ ইয়র্কে পণবন্দী বাংলাদেশী পরিবার by ইমরান আনসারী
জ্যামাইকার পণবন্দী অবস্থা থেকে বাংলাদেশী পরিবারকে উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা |
পুলিশের
দীর্ঘ ৫ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে বন্দুকধারী সন্ত্রাসীর আত্মসমর্পণের
মাধ্যমে শেষ হলো নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকায় বাংলাদেশী একটি পরিবারকে পণবন্দী
করার ঘটনা। মূলত ডাকাতির উদ্দেশ্যেই মুখোশধারী ওই সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা
চালায় বলে আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। তবে পরিবারটির কোনো
ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
সোমবার নিউ ইয়র্ক সময় সকাল সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যামাইকার ১৬৮ স্ট্রিটে ঘটে এ ঘটনা ঘটে। অস্ত্রধারী এক সন্ত্রাসী জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের অপর দিকে ৮৫ এভিনিউর ২০ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় দরজায় আঘাত করতে থাকলে বাংলাদেশী পরিবারটি দ্রুত পুলিশকে খবর দেয়। পরে ওই সন্ত্রাসী নিচ তলায় গায়ানিজ বংশোদ্ভূত এক পরিবারের বাসায় দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে। অস্ত্রের মুখে হাতিয়ে নেয় বেশ কিছু ডলার।
বাংলাদেশী ওমর আলী জানান, ‘আনুমানিক সাড়ে ৭টার পর সন্ত্রাসী আমার বাসায় ঢোকার চেষ্টা করলে আমার স্ত্রী দরজা না খুলে পুলিশকে খবর দেয়। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই পুলিশ বাসার সামনে অবস্থান নিলে মুখোশধারী ওই সন্ত্রাসী আমার বাসার ছাদ দিয়ে পাশের আরেকটি বাড়িতে এক বাংলাদেশীর বাসায় ঢুকে পড়ে’।
অস্ত্রধারী ওই সন্ত্রাসীকে আটক করতে মুহূর্তের মধ্যে নিউ ইয়র্ক পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সামনের রাস্তাটি ব্লক করে সাঁজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে তিন দফা হেলিকপ্টারের মহড়া চলে। বন্ধ করে দেয়া হয় জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার। পুরো এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
সশস্ত্র ওই সন্ত্রাসী ৮৫ এভিনিউর ২৮ নম্বর বাড়িতে ঢুকে বাংলাদেশী পরিবারটিকে পণবন্দী করার চেষ্টা করে। পাঁচ ঘণ্টার সেই অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে ওই বাসার বড় ছেলে (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, ‘সে দরজায় জোরে ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকে আমার বৃদ্ধা মাকে নিচে ফেলে দেয়। আমার ছোট ভাই ও বাবা ঘুমিয়ে ছিলেন। তারা উঠেই মুখোশধারী সশস্ত্র ওই সন্ত্রাসীকে দেখতে পান। পরে সে দ্রুত আমার জামাকাপড় পরে নেয়। আমার ছোট ভাইকে বলে, পুলিশ ঢুকলে যেন বলা হয় সে আমাদের মেহমান। ইতোমধ্যে পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। বাসায় সন্ত্রাসী অবস্থানের বিষয়টি আমাকে টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে জানাতে থাকলে আমি তা পুলিশকে অবগত করি।’
একপর্যায়ে পুলিশের সোয়াত টিম বাসার দরজার সামনে অবস্থান নেয়। পুলিশের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে নিউ ইয়র্ক সময় ১টা ১৫ মিনিটে আত্মসমর্পণ করে ২৪ বছর বয়স্ক ওই সন্ত্রাসী। পরে পুলিশ বাসার বৃদ্ধ মহিলাকে চিকিৎসার জন্য হসপিটালে নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনামতে, ওই সন্ত্রাসী ছিল আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে তেমন কিছুই জানানো হয়নি। সোমবার সন্ধ্যার পর বাংলাদেশী পরিবার দু’টির খোঁজখবর নিতে যান নিউ ইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি কন্সাল জেনারেল শাহিদুল ইসলাম। এ ঘটনায় জ্যামাইকাজুড়ে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সোমবার নিউ ইয়র্ক সময় সকাল সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যামাইকার ১৬৮ স্ট্রিটে ঘটে এ ঘটনা ঘটে। অস্ত্রধারী এক সন্ত্রাসী জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের অপর দিকে ৮৫ এভিনিউর ২০ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় দরজায় আঘাত করতে থাকলে বাংলাদেশী পরিবারটি দ্রুত পুলিশকে খবর দেয়। পরে ওই সন্ত্রাসী নিচ তলায় গায়ানিজ বংশোদ্ভূত এক পরিবারের বাসায় দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে। অস্ত্রের মুখে হাতিয়ে নেয় বেশ কিছু ডলার।
বাংলাদেশী ওমর আলী জানান, ‘আনুমানিক সাড়ে ৭টার পর সন্ত্রাসী আমার বাসায় ঢোকার চেষ্টা করলে আমার স্ত্রী দরজা না খুলে পুলিশকে খবর দেয়। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই পুলিশ বাসার সামনে অবস্থান নিলে মুখোশধারী ওই সন্ত্রাসী আমার বাসার ছাদ দিয়ে পাশের আরেকটি বাড়িতে এক বাংলাদেশীর বাসায় ঢুকে পড়ে’।
অস্ত্রধারী ওই সন্ত্রাসীকে আটক করতে মুহূর্তের মধ্যে নিউ ইয়র্ক পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সামনের রাস্তাটি ব্লক করে সাঁজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে তিন দফা হেলিকপ্টারের মহড়া চলে। বন্ধ করে দেয়া হয় জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার। পুরো এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
সশস্ত্র ওই সন্ত্রাসী ৮৫ এভিনিউর ২৮ নম্বর বাড়িতে ঢুকে বাংলাদেশী পরিবারটিকে পণবন্দী করার চেষ্টা করে। পাঁচ ঘণ্টার সেই অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে ওই বাসার বড় ছেলে (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, ‘সে দরজায় জোরে ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকে আমার বৃদ্ধা মাকে নিচে ফেলে দেয়। আমার ছোট ভাই ও বাবা ঘুমিয়ে ছিলেন। তারা উঠেই মুখোশধারী সশস্ত্র ওই সন্ত্রাসীকে দেখতে পান। পরে সে দ্রুত আমার জামাকাপড় পরে নেয়। আমার ছোট ভাইকে বলে, পুলিশ ঢুকলে যেন বলা হয় সে আমাদের মেহমান। ইতোমধ্যে পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। বাসায় সন্ত্রাসী অবস্থানের বিষয়টি আমাকে টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে জানাতে থাকলে আমি তা পুলিশকে অবগত করি।’
একপর্যায়ে পুলিশের সোয়াত টিম বাসার দরজার সামনে অবস্থান নেয়। পুলিশের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে নিউ ইয়র্ক সময় ১টা ১৫ মিনিটে আত্মসমর্পণ করে ২৪ বছর বয়স্ক ওই সন্ত্রাসী। পরে পুলিশ বাসার বৃদ্ধ মহিলাকে চিকিৎসার জন্য হসপিটালে নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনামতে, ওই সন্ত্রাসী ছিল আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে তেমন কিছুই জানানো হয়নি। সোমবার সন্ধ্যার পর বাংলাদেশী পরিবার দু’টির খোঁজখবর নিতে যান নিউ ইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি কন্সাল জেনারেল শাহিদুল ইসলাম। এ ঘটনায় জ্যামাইকাজুড়ে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
No comments