১০ দিন পর পুতিনের দেখা
কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট আলমাজবেক আতামবায়েভের সঙ্গে বৈঠকে ভ্লাদিমির পুতিন |
এমনটা
এর আগে কখনোই হয়নি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টানা ১০ দিন ধরে
জনসমক্ষে নেই। পুতিনের এই ব্যাখ্যাহীন অনুপস্থিতি নিয়ে ক্রেমলিনের
নীরবতায় গুজবের ডালপালা ছড়ায় বিস্তর।
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল সোমবার দেখা দিলেন লৌহমানব হিসেবে পরিচিত এ রুশ নেতা। খবর বিবিসি ও এএফপির।
পুতিন গতকাল কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট আলমাজবেক আতামবায়েভের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে যোগ দেন। ৫ মার্চের পর এই প্রথম খবর ও দর্শন পাওয়া গেল তাঁর।
পরিবেশটা আঁচ করতে পেরে গতকাল আতামবায়েভের সঙ্গে বৈঠকে পুতিন বলেই বসেন, ‘কোনো গুজব না থাকলে জীবনটাই নিরামিষ হয়ে যায়।’ সেন্ট পিটার্সবার্গের বাইরে কনস্টান্টিনভস প্যালেসে অনুষ্ঠিত হয় বৈঠকটি।
গতকালের আগে পুতিনকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ৫ মার্চ ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজির সঙ্গে সাক্ষাতের সময়। এরপর ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে একটি নারী প্রতিনিধিদলের সদস্যরা পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলে ছবি প্রকাশ হয়েছিল। তবে রাশিয়ার গণমাধ্যমের একাংশে বলা হয়, ওই সাক্ষাতের ছবিটি আসলে ৫ মার্চ তোলা।
এমন কথাও রটে যে, পুতিন প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। ক্রেমলিনের দুর্ভেদ্য দেয়ালের অভ্যন্তরে এমন কিছু ঘটেছে, যা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকেও নিশ্চুপ রয়েছে সবাই। প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পুতিন নিহত হয়েছেন বলেও গুজব ওঠে।
ছবি বিনিময়ের সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পুতিন ঘনিষ্ঠ চেচেন নেতা রামাজান কাদিরভের মন্তব্য রহস্যকে আরও বাড়িয়ে দেয়। সেখানে কাদিরভ রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রতি তাঁর আনুগত্যের কথা পুনর্ব্যক্ত করে লেখেন, ‘ব্যক্তি হিসেবে তাঁর (পুতিন) আমি একজন ভক্ত। তিনি যে অবস্থানেই থাকুন, সেটি কোনো বিষয় না!’
কাদিরভের মন্তব্যে এই গুজবও পোক্ত হয় যে, পুতিনকে ঘিরে থাকা প্রভাবশালীদের ঐক্যে চিড় ধরেছে এবং তাদের একটি অংশ তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। গত মাসে পুতিনবিরোধী নেতা বরিস নেমেৎসভ আততায়ীর গুলিতে নিহত হওয়ার পর শুরু হয়েছিল এই গুজব। ওই হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়া জাউর দাদায়েভ একজন চেচেন। চেচেন নেতা কাদিরভ তাঁকে ‘প্রকৃত যোদ্ধা এবং দেশপ্রেমিক’ বলে আখ্যায়িত করে বসেন।
এর ফলে আরেকটি ধারণা ছড়িয়ে পড়ে। সেটি হলো, চেচেন কর্মকর্তাদের নির্দেশেই নেমেৎসভকে হত্যা করা হয়েছে। আর এর ফলে রাশিয়ার প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি ক্ষুব্ধ হয়। চেচেন নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পুতিনও বেকায়দায় পড়েন।
এর মধ্যে সুইজারল্যান্ডের একটি ট্যাবলয়েড খবর প্রকাশ করে, পুতিন তাঁর গোপন ভালোবাসাবাসির সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ায় তাকে দেখতে সুইজারল্যান্ডে আছেন।
গতকাল কিরগিজ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পুতিনকে একটু ফ্যাকাশে দেখাচ্ছিল। তবে তিনি অতিথি আতামবায়েভকে প্রাসাদের কিছু অংশ ঘুরিয়ে দেখান বলে জানানো হয়েছে। এতে মনে করা হচ্ছে রুশ প্রেসিডেন্টের অসুস্থতা হয়তো তত গুরুতর নয়।
পুতিন হাসিমুখেই টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে বসেন। কিরগিজ প্রেসিডেন্ট আতামায়েভ বলেন, ‘পুতিন একটু আগেই আমাকে পুরো এলাকাটি ঘুরে দেখিয়েছেন। নিজেই গাড়ি চালিয়েছেন তিনি।’
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল সোমবার দেখা দিলেন লৌহমানব হিসেবে পরিচিত এ রুশ নেতা। খবর বিবিসি ও এএফপির।
পুতিন গতকাল কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট আলমাজবেক আতামবায়েভের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে যোগ দেন। ৫ মার্চের পর এই প্রথম খবর ও দর্শন পাওয়া গেল তাঁর।
পরিবেশটা আঁচ করতে পেরে গতকাল আতামবায়েভের সঙ্গে বৈঠকে পুতিন বলেই বসেন, ‘কোনো গুজব না থাকলে জীবনটাই নিরামিষ হয়ে যায়।’ সেন্ট পিটার্সবার্গের বাইরে কনস্টান্টিনভস প্যালেসে অনুষ্ঠিত হয় বৈঠকটি।
গতকালের আগে পুতিনকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ৫ মার্চ ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজির সঙ্গে সাক্ষাতের সময়। এরপর ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে একটি নারী প্রতিনিধিদলের সদস্যরা পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলে ছবি প্রকাশ হয়েছিল। তবে রাশিয়ার গণমাধ্যমের একাংশে বলা হয়, ওই সাক্ষাতের ছবিটি আসলে ৫ মার্চ তোলা।
এমন কথাও রটে যে, পুতিন প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। ক্রেমলিনের দুর্ভেদ্য দেয়ালের অভ্যন্তরে এমন কিছু ঘটেছে, যা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকেও নিশ্চুপ রয়েছে সবাই। প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পুতিন নিহত হয়েছেন বলেও গুজব ওঠে।
ছবি বিনিময়ের সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পুতিন ঘনিষ্ঠ চেচেন নেতা রামাজান কাদিরভের মন্তব্য রহস্যকে আরও বাড়িয়ে দেয়। সেখানে কাদিরভ রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রতি তাঁর আনুগত্যের কথা পুনর্ব্যক্ত করে লেখেন, ‘ব্যক্তি হিসেবে তাঁর (পুতিন) আমি একজন ভক্ত। তিনি যে অবস্থানেই থাকুন, সেটি কোনো বিষয় না!’
কাদিরভের মন্তব্যে এই গুজবও পোক্ত হয় যে, পুতিনকে ঘিরে থাকা প্রভাবশালীদের ঐক্যে চিড় ধরেছে এবং তাদের একটি অংশ তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। গত মাসে পুতিনবিরোধী নেতা বরিস নেমেৎসভ আততায়ীর গুলিতে নিহত হওয়ার পর শুরু হয়েছিল এই গুজব। ওই হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়া জাউর দাদায়েভ একজন চেচেন। চেচেন নেতা কাদিরভ তাঁকে ‘প্রকৃত যোদ্ধা এবং দেশপ্রেমিক’ বলে আখ্যায়িত করে বসেন।
এর ফলে আরেকটি ধারণা ছড়িয়ে পড়ে। সেটি হলো, চেচেন কর্মকর্তাদের নির্দেশেই নেমেৎসভকে হত্যা করা হয়েছে। আর এর ফলে রাশিয়ার প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি ক্ষুব্ধ হয়। চেচেন নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পুতিনও বেকায়দায় পড়েন।
এর মধ্যে সুইজারল্যান্ডের একটি ট্যাবলয়েড খবর প্রকাশ করে, পুতিন তাঁর গোপন ভালোবাসাবাসির সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ায় তাকে দেখতে সুইজারল্যান্ডে আছেন।
গতকাল কিরগিজ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পুতিনকে একটু ফ্যাকাশে দেখাচ্ছিল। তবে তিনি অতিথি আতামবায়েভকে প্রাসাদের কিছু অংশ ঘুরিয়ে দেখান বলে জানানো হয়েছে। এতে মনে করা হচ্ছে রুশ প্রেসিডেন্টের অসুস্থতা হয়তো তত গুরুতর নয়।
পুতিন হাসিমুখেই টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে বসেন। কিরগিজ প্রেসিডেন্ট আতামায়েভ বলেন, ‘পুতিন একটু আগেই আমাকে পুরো এলাকাটি ঘুরে দেখিয়েছেন। নিজেই গাড়ি চালিয়েছেন তিনি।’
No comments