নিখোঁজ সালাহউদ্দিনের ভাগ্য নিয়ে উদ্বেগ, পরিবারের সদস্যরা উৎকণ্ঠায় by মঈন উদ্দিন খান
কী
ঘটেছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদের ভাগ্যে। ছয় দিন পেরিয়ে
গেলেও কোনো হদিস না মেলায় নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে চার দিকে। আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর কাছে কোনো তথ্য নেই। বিএনপি কিংবা সালাহউদ্দিনের পরিবারও কিছু
জানাতে পারছে না। এ অবস্থায় পরিবার এবং দলে উদ্বেগ বাড়ছে। কেউ বলছেন,
সুবিধাজনক সময়ে তার খোঁজ মিলতে পারে। কেউ আবার ইলিয়াস আলীর ভাগ্যবরণ করতে
হয় কি না, তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ নয়া দিগন্তকে বলেছেন, সালাহউদ্দিন অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। এ রকম একজন জনপ্রিয় নেতাকে আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর তুলে নিয়ে যেতে হবে? সবাই অস্বীকার করতে থাকবে যে, আমরা কেউ নেইনি, আমাদের কাছে কোনো খোঁজ নেই।
হাসিনা আহমেদ বলেন, সালাহউদ্দিন অন্যায় করলে আটক করবে, আদালতের সামনে এনে বিচারের আওতায় আনবে; কিন্তু এভাবে নিখোঁজ করে দেয়ার অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি। আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দেয়া হোক। গত মঙ্গলবার রাত ১০টায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে একদল সাদা পোশাকধারী লোক রাজধানীর উত্তরার একটি বাড়ি থেকে দুই গৃহকর্মীসহ সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে গেছে এমন অভিযোগ করে বিএনপি ও সালাহউদ্দিনের পরিবার। এরপর থেকে তার আর কোনো হদিস মেলেনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ নিরাপদ অবস্থানে থেকে বিএনপির মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন তিনি। তার খোঁজ পেতে সপ্তাহ দুই আগে গাড়িচালকসহ তিনজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সালাহউদ্দিনকে তুলে নেয়ার পর থেকেই তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশ এবং র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে খোঁজ নেন। কিন্তু প্রতিটি সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, সালাহউদ্দিন আহমেদ নামে কাউকে আটক করা হয়নি। এরপর তার পরিবারের পক্ষ থেকে গত বুধবার রাতে গুলশান থানায় জিডি করতে যান। কিন্তু গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাটি তাদের এলাকায় না হওয়ায় উত্তরা (পশ্চিম) থানায় জিডি করার জন্য যেতে বলে। এরপর তারা উত্তরা (পশ্চিম) থানায় গেলেও পুলিশ জিডি নেয়নি। এরপর সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন।
নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে চরম উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে সালাহউদ্দিন আহমেদের পরিবারের সদস্যদের। বন্ধ হয়ে গেছে নাওয়া-খাওয়া-ঘুম। সালাহউদ্দিনের চার সন্তানের মধ্যে বিদেশে থাকেন দু’জন। তারাও বারবার মায়ের কাছে বাবার অবস্থা জানতে চাচ্ছেন। হাসিনা আহমেদ থানা এবং আদালতসহ বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাঁপ করে বেড়াচ্ছেন। আইনজীবী, পুলিশ এবং বিএনপি নেতাদের সাথে কথা বলছেন।
হাসিনা আহমেদ নয়া দিগন্তকে বলেন, তিনি কোনো কিছু চান না, যে কোনো মূল্যে স্বামীকে চান। সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের সদস্যদের অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, কবে খেয়েছেন, সেটাও তার মনে নেই। বাসায় থাকা দুই সন্তানও না খেয়ে আছে। দিন-রাত আল্লাহর কাছে সবাই প্রার্থনা করছে।
বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হওয়ার পর যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে বিএনপিতে উদ্বেগ। এত দিনেও সালাহউদ্দিনের মতো নেতার হদিস না মেলায় ইলিয়াস আলীর কথাও ভাবতে শুরু করেছেন অনেকে। বিএনপির সিনিয়র একজন নেতা জানান, দু-এক দিনের মধ্যে সালাহউদ্দিনকে না পাওয়া গেলে আবারো হরতাল দেয়া হবে।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে অভিযোগ করেছেন, সালাহউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে গেছে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে খুঁজে বের করতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে একটি চিঠি দিয়েছে।
এ বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সালাহউদ্দিন আহমেদ একজন রাজনীতিক। তিনি নিখোঁজ, না গ্রেফতার, এটা সরকারকেই স্পষ্ট করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে ইলিয়াস আলীকে তারা পাননি। এসব ভালো দৃষ্টান্ত নয়।
নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, সালাহউদ্দিনের কী দোষ? তিনি দল এবং জোটের পক্ষে কথা বলছিলেন। সেটা তার কথা নয়, জোটের কথা। এরপরও কোনো অপরাধ থাকলে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনলে তো অসুবিধা নেই। এভাবে নিরুদ্দেশ করে রাখা ভালো সংস্কৃতি নয়। দিন যত যাচ্ছে, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ততই বাড়ছে। এখনই সরকারের উচিত সালাহউদ্দিনের সন্ধান দেয়া।
সালাহউদ্দিন আহমেদের আটক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্বীকারের ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রোববার রাতে আবারো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি অবিলম্বে সালাহউদ্দিন আহমেদকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ নয়া দিগন্তকে বলেছেন, সালাহউদ্দিন অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। এ রকম একজন জনপ্রিয় নেতাকে আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর তুলে নিয়ে যেতে হবে? সবাই অস্বীকার করতে থাকবে যে, আমরা কেউ নেইনি, আমাদের কাছে কোনো খোঁজ নেই।
হাসিনা আহমেদ বলেন, সালাহউদ্দিন অন্যায় করলে আটক করবে, আদালতের সামনে এনে বিচারের আওতায় আনবে; কিন্তু এভাবে নিখোঁজ করে দেয়ার অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি। আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দেয়া হোক। গত মঙ্গলবার রাত ১০টায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে একদল সাদা পোশাকধারী লোক রাজধানীর উত্তরার একটি বাড়ি থেকে দুই গৃহকর্মীসহ সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে গেছে এমন অভিযোগ করে বিএনপি ও সালাহউদ্দিনের পরিবার। এরপর থেকে তার আর কোনো হদিস মেলেনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ নিরাপদ অবস্থানে থেকে বিএনপির মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন তিনি। তার খোঁজ পেতে সপ্তাহ দুই আগে গাড়িচালকসহ তিনজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সালাহউদ্দিনকে তুলে নেয়ার পর থেকেই তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশ এবং র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে খোঁজ নেন। কিন্তু প্রতিটি সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, সালাহউদ্দিন আহমেদ নামে কাউকে আটক করা হয়নি। এরপর তার পরিবারের পক্ষ থেকে গত বুধবার রাতে গুলশান থানায় জিডি করতে যান। কিন্তু গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাটি তাদের এলাকায় না হওয়ায় উত্তরা (পশ্চিম) থানায় জিডি করার জন্য যেতে বলে। এরপর তারা উত্তরা (পশ্চিম) থানায় গেলেও পুলিশ জিডি নেয়নি। এরপর সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন।
নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে চরম উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে সালাহউদ্দিন আহমেদের পরিবারের সদস্যদের। বন্ধ হয়ে গেছে নাওয়া-খাওয়া-ঘুম। সালাহউদ্দিনের চার সন্তানের মধ্যে বিদেশে থাকেন দু’জন। তারাও বারবার মায়ের কাছে বাবার অবস্থা জানতে চাচ্ছেন। হাসিনা আহমেদ থানা এবং আদালতসহ বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাঁপ করে বেড়াচ্ছেন। আইনজীবী, পুলিশ এবং বিএনপি নেতাদের সাথে কথা বলছেন।
হাসিনা আহমেদ নয়া দিগন্তকে বলেন, তিনি কোনো কিছু চান না, যে কোনো মূল্যে স্বামীকে চান। সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের সদস্যদের অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, কবে খেয়েছেন, সেটাও তার মনে নেই। বাসায় থাকা দুই সন্তানও না খেয়ে আছে। দিন-রাত আল্লাহর কাছে সবাই প্রার্থনা করছে।
বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হওয়ার পর যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে বিএনপিতে উদ্বেগ। এত দিনেও সালাহউদ্দিনের মতো নেতার হদিস না মেলায় ইলিয়াস আলীর কথাও ভাবতে শুরু করেছেন অনেকে। বিএনপির সিনিয়র একজন নেতা জানান, দু-এক দিনের মধ্যে সালাহউদ্দিনকে না পাওয়া গেলে আবারো হরতাল দেয়া হবে।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে অভিযোগ করেছেন, সালাহউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে গেছে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে খুঁজে বের করতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে একটি চিঠি দিয়েছে।
এ বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সালাহউদ্দিন আহমেদ একজন রাজনীতিক। তিনি নিখোঁজ, না গ্রেফতার, এটা সরকারকেই স্পষ্ট করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে ইলিয়াস আলীকে তারা পাননি। এসব ভালো দৃষ্টান্ত নয়।
নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, সালাহউদ্দিনের কী দোষ? তিনি দল এবং জোটের পক্ষে কথা বলছিলেন। সেটা তার কথা নয়, জোটের কথা। এরপরও কোনো অপরাধ থাকলে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনলে তো অসুবিধা নেই। এভাবে নিরুদ্দেশ করে রাখা ভালো সংস্কৃতি নয়। দিন যত যাচ্ছে, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ততই বাড়ছে। এখনই সরকারের উচিত সালাহউদ্দিনের সন্ধান দেয়া।
সালাহউদ্দিন আহমেদের আটক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্বীকারের ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রোববার রাতে আবারো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি অবিলম্বে সালাহউদ্দিন আহমেদকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
No comments