ইউক্রেনে রাশিয়া যা চায় by মোহাম্মদ হাসান শরীফ
বেলারুসের
রাজধানী মিনস্কে ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও ইউক্রেন নেতাদের জন্য টেবিলে
কলম তৈরিই ছিল। তারা বসেছিলেন ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে একটি
স্থায়ী চুক্তিতে স্বার করতে। কিন্তু ১২ ফেব্র“য়ারি সারা রাত আলোচনার পর
কলমগুলো সরিয়ে নেয়া হলো। ‘ভালো কোনো খবর নেই,’ জানালেন ইউক্রেনের
প্রেসিডেন্ট পেট্রো পরোশেনকো। যুদ্ধ বন্ধের বদলে ১৫ ফেব্র“য়ারি থেকে
যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছা গেছে, ভারী অস্ত্র সরিয়ে নিতেও সম্মতি
পাওয়া গেছে। অবশ্য চুক্তির পরও প্রচণ্ড লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে।
ইউক্রেন সমস্যাটি এখন আর আঞ্চলিক সমস্যা নয়। একে কেন্দ্র করে পরমাণু যুদ্ধ পর্যন্ত শুরু হয়ে যেতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। এখানে সরাসরি রাশিয়া যুদ্ধ করছে না। তবে রাশিয়ার প্রশ্রয়ে এবং তার হয়ে ছদ্মবেশী সৈন্যরা যুদ্ধ করছে।
মজার ব্যাপার হলো, এই ডামাডোলে ক্রিমিয়ার বিষয়টি চাপা পড়ে গেছে। গত বছর পুতিন ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ করে নেন, ইউরোপের মানচিত্র নতুন করে আঁকার জন্য। এখন পাশ্চাত্য সম্ভবত ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার কাছে দিয়ে দিতে পারলেই খুশি।
এ প্রোপটে সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের প্রায় সিকি শতক পর পাশ্চাত্য আবার পাশ্চাত্যের কাছ থেকে হুমকি পাচ্ছে, যা স্নায়ুযুদ্ধের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এমনকি ১৯৬২ সালের কিউবান পেণাস্ত্র সঙ্কটের সময়ও সোভিয়েত নেতারা পলিটব্যুরো এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিতে সংযত ছিলেন। আর এখন? রাশিয়ার প্রচার বিভাগের দায়িত্বশীল দিমিত্রি কিসেলেভের মতে, এমনকি পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত ‘পুতিন ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ করেন এবং রুশ জনগণ তাকে সংশয়হীনভাবে সমর্থন করছে।’ সত্য হোক আর মিথ্যা হোক, এর মধ্য দিয়ে রাশিয়ার অভিজাত সম্প্রদায়ের মনোভাবই ফুটে উঠেছে, তারা মনে করে পাশ্চাত্য রাশিয়ার ন্যূনতম অস্তিত্বটুকুও মুছে দিতে চায়।
এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, ইউক্রেনের যুদ্ধ রাশিয়া শুরু করেনি বরং পাশ্চাত্য আগ্রাসনের জবাব দিয়েছে মাত্র। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে উৎখাতের কাজটি করেছে আমেরিকার বিশেষ বাহিনী এবং তারা রাশিয়ার সীমান্তে নিয়ে এসেছে ন্যাটোকে। ইয়ানুকোভিচ উৎখাত হওয়া মাত্র আমেরিকান দূতেরা পরমাণু শক্তি ভারসাম্য আমেরিকার অনুকূলে নেয়ার ল্েয দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারকে রুশ সীমান্তে পেণাস্ত্র প্রতিরাব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ২৫ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রস্তাব করে। তখন রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।
তবে পুতিন জানেন, তার পে আর সেই সোভিয়েত সাম্রাজ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। তিনি সে দিকে হাঁটছেনও না। তিনি যেটা চান, সেটা হলো রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব সুরা। এর মানে হলো তিনি যে মূল্যবোধে বিশ্বাসী, সেটা নিশ্চিত করা।
এ ল্েয রাশিয়া চায় ইউক্রেনের সাথে তার সীমান্ত খোলা থাক, যাতে অস্ত্র ও লোকবল সেখানে পাঠানো যায়। ইউক্রেন বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা কৌশলগত পরিবহন কেন্দ্র দেবালতসের ওপর অবরোধ অব্যাহত রয়েছে। রাশিয়া তার সীমান্তে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। ক্রিমিয়ার খবর উল্লেখ পর্যন্ত নেই।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন পাশ্চাত্যের দেশগুলোও পিছিয়ে নেই। তারা নানাভাবে ইউক্রেনকে সাহায্য করছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনকে তার অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন সম্ভবত সুপরিচিত রুশ কৌশল গ্রহণ করে আলোচনায় অংশগ্রহণরত প্রতিপদের কর্মশক্তি ফুরিয়ে দেয়ার জন্য এক কদম এগিয়ে দুই কদম পিছিয়ে যাওয়ার নীতি অনুসরণ করছেন। তিনি সময় দেখছেন, ইউক্রেনের পতন ও বিভক্তি সৃষ্টির হিসাব কষছেন। তিনি চাইছেন স্নায়ুযুদ্ধপরবর্তী বিশ্বব্যবস্থা পাল্টে দিতে।
পাশ্চাত্যের অনেকে সমাজতন্ত্রের পতনের সাথে স্নায়ুযুদ্ধের অবসানকে গুলিয়ে ফেলেন। কার্যত এ দু’টির বিভাজন অনেক আগেই হয়ে গিয়েছিল, মাকর্সবাদ-লেনিনবাদের মৃত্যু ঘটেছিল স্ট্যালিনের মতা গ্রহণের সময়। আন্তর্জাতিকবাদ, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ওপর ভিত্তি করে যে সমাজতান্ত্রিক দেশ ঘোষণা করা হয়েছিল, স্ট্যালিন সেটিকে বদলিয়ে সাম্রাজ্যবাদ ও রাষ্ট্রীয় প্রাধান্যের সুযোগ সৃষ্টি করেন। মিখাইল গর্ভাচেভ মাকর্সবাদের পতন ঘটাননি, তিনি আসলে পাশ্চাত্যের সামনে রাশিয়ার দরজা খুলে দিয়েছিলেন।
জাতীয়তাবাদী, স্ট্যালিনবাদী, কমিউনিস্ট ও রাজতন্ত্রীরা গর্বাচেভের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। মার্কিন বিরোধিতা কমিউনিস্ট পার্টির অভ্যন্তরে স্ট্যালিনবাদী ও জাতীয়তাবাদীদের একসাথে নিয়ে আসে। সমাজতন্ত্রের পতনের পর তারা বরিস ইয়েলতসিনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়। গর্বাচেভের পর তারা ইয়েলতসিনকেও হটিয়ে দিতে সম হয়। তারপর মতায় আসেন পুতিন। প্রথম দিকে তিনি ন্যাটোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। জীবনযাত্রার মান বাড়িয়ে তিনি রাষ্ট্রীয় মতায় তার অবস্থান জোরদার করেন।
তারপর সময়ের পরিক্রমায় তার মুখোশ উন্মোচিত হতে থাকে। তার একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম হয়। তিনি হন ক্রেমলিনের অবিসংবাদিত অভিভাবক। অন্য অনেক কিছুর মতো রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে আধুনিয়কানও করেছেন তিনি। ২০০৭ সালে পুতিন ১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেন সামরিক খাতে ২০ ট্রিলিয়ন রুবল (৩০০ বিলিয়ন ডলার) ব্যয়ের।
পাশ্চাত্যের সাথে তার বিরোধও এখানে। পাশ্চাত্যে যেখানে ভোটের মাধ্যমে মতার রদবদল ঘটে, মানবাধিকারের নিশ্চয়তা আছে, আমলাতন্ত্রকে জবাবদিহি করতে হয়, রাশিয়ায় তেমন কিছুর বালাই নেই। সেখানে এক কথা : ‘নো পুতিন, নো রাশিয়া।’ তিনি ও তার সহকর্মীদের হাতেই সব মতা পুঞ্জীভূত। দেশের সব সম্পদের মালিকও তারা।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ন্যাটো হলো পুতিনের চূড়ান্ত ল্য। তার কাছে পাশ্চাত্যের সেনাবাহিনীগুলোর চেয়ে সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলো ও মূল্যবোধ অনেক বেশি হুমকি সৃষ্টিকারী। তিনি তাদের বিস্তার থামাতে চান। দুই পই অনড়। চূড়ান্তপর্যায়ে কোন প জয়ী হবে তা বলার সময় এখনো হয়নি।
ইউক্রেন সমস্যাটি এখন আর আঞ্চলিক সমস্যা নয়। একে কেন্দ্র করে পরমাণু যুদ্ধ পর্যন্ত শুরু হয়ে যেতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। এখানে সরাসরি রাশিয়া যুদ্ধ করছে না। তবে রাশিয়ার প্রশ্রয়ে এবং তার হয়ে ছদ্মবেশী সৈন্যরা যুদ্ধ করছে।
মজার ব্যাপার হলো, এই ডামাডোলে ক্রিমিয়ার বিষয়টি চাপা পড়ে গেছে। গত বছর পুতিন ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ করে নেন, ইউরোপের মানচিত্র নতুন করে আঁকার জন্য। এখন পাশ্চাত্য সম্ভবত ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার কাছে দিয়ে দিতে পারলেই খুশি।
এ প্রোপটে সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের প্রায় সিকি শতক পর পাশ্চাত্য আবার পাশ্চাত্যের কাছ থেকে হুমকি পাচ্ছে, যা স্নায়ুযুদ্ধের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এমনকি ১৯৬২ সালের কিউবান পেণাস্ত্র সঙ্কটের সময়ও সোভিয়েত নেতারা পলিটব্যুরো এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিতে সংযত ছিলেন। আর এখন? রাশিয়ার প্রচার বিভাগের দায়িত্বশীল দিমিত্রি কিসেলেভের মতে, এমনকি পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত ‘পুতিন ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ করেন এবং রুশ জনগণ তাকে সংশয়হীনভাবে সমর্থন করছে।’ সত্য হোক আর মিথ্যা হোক, এর মধ্য দিয়ে রাশিয়ার অভিজাত সম্প্রদায়ের মনোভাবই ফুটে উঠেছে, তারা মনে করে পাশ্চাত্য রাশিয়ার ন্যূনতম অস্তিত্বটুকুও মুছে দিতে চায়।
এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, ইউক্রেনের যুদ্ধ রাশিয়া শুরু করেনি বরং পাশ্চাত্য আগ্রাসনের জবাব দিয়েছে মাত্র। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে উৎখাতের কাজটি করেছে আমেরিকার বিশেষ বাহিনী এবং তারা রাশিয়ার সীমান্তে নিয়ে এসেছে ন্যাটোকে। ইয়ানুকোভিচ উৎখাত হওয়া মাত্র আমেরিকান দূতেরা পরমাণু শক্তি ভারসাম্য আমেরিকার অনুকূলে নেয়ার ল্েয দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারকে রুশ সীমান্তে পেণাস্ত্র প্রতিরাব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ২৫ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রস্তাব করে। তখন রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।
তবে পুতিন জানেন, তার পে আর সেই সোভিয়েত সাম্রাজ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। তিনি সে দিকে হাঁটছেনও না। তিনি যেটা চান, সেটা হলো রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব সুরা। এর মানে হলো তিনি যে মূল্যবোধে বিশ্বাসী, সেটা নিশ্চিত করা।
এ ল্েয রাশিয়া চায় ইউক্রেনের সাথে তার সীমান্ত খোলা থাক, যাতে অস্ত্র ও লোকবল সেখানে পাঠানো যায়। ইউক্রেন বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা কৌশলগত পরিবহন কেন্দ্র দেবালতসের ওপর অবরোধ অব্যাহত রয়েছে। রাশিয়া তার সীমান্তে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। ক্রিমিয়ার খবর উল্লেখ পর্যন্ত নেই।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন পাশ্চাত্যের দেশগুলোও পিছিয়ে নেই। তারা নানাভাবে ইউক্রেনকে সাহায্য করছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনকে তার অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন সম্ভবত সুপরিচিত রুশ কৌশল গ্রহণ করে আলোচনায় অংশগ্রহণরত প্রতিপদের কর্মশক্তি ফুরিয়ে দেয়ার জন্য এক কদম এগিয়ে দুই কদম পিছিয়ে যাওয়ার নীতি অনুসরণ করছেন। তিনি সময় দেখছেন, ইউক্রেনের পতন ও বিভক্তি সৃষ্টির হিসাব কষছেন। তিনি চাইছেন স্নায়ুযুদ্ধপরবর্তী বিশ্বব্যবস্থা পাল্টে দিতে।
পাশ্চাত্যের অনেকে সমাজতন্ত্রের পতনের সাথে স্নায়ুযুদ্ধের অবসানকে গুলিয়ে ফেলেন। কার্যত এ দু’টির বিভাজন অনেক আগেই হয়ে গিয়েছিল, মাকর্সবাদ-লেনিনবাদের মৃত্যু ঘটেছিল স্ট্যালিনের মতা গ্রহণের সময়। আন্তর্জাতিকবাদ, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ওপর ভিত্তি করে যে সমাজতান্ত্রিক দেশ ঘোষণা করা হয়েছিল, স্ট্যালিন সেটিকে বদলিয়ে সাম্রাজ্যবাদ ও রাষ্ট্রীয় প্রাধান্যের সুযোগ সৃষ্টি করেন। মিখাইল গর্ভাচেভ মাকর্সবাদের পতন ঘটাননি, তিনি আসলে পাশ্চাত্যের সামনে রাশিয়ার দরজা খুলে দিয়েছিলেন।
জাতীয়তাবাদী, স্ট্যালিনবাদী, কমিউনিস্ট ও রাজতন্ত্রীরা গর্বাচেভের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। মার্কিন বিরোধিতা কমিউনিস্ট পার্টির অভ্যন্তরে স্ট্যালিনবাদী ও জাতীয়তাবাদীদের একসাথে নিয়ে আসে। সমাজতন্ত্রের পতনের পর তারা বরিস ইয়েলতসিনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়। গর্বাচেভের পর তারা ইয়েলতসিনকেও হটিয়ে দিতে সম হয়। তারপর মতায় আসেন পুতিন। প্রথম দিকে তিনি ন্যাটোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। জীবনযাত্রার মান বাড়িয়ে তিনি রাষ্ট্রীয় মতায় তার অবস্থান জোরদার করেন।
তারপর সময়ের পরিক্রমায় তার মুখোশ উন্মোচিত হতে থাকে। তার একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম হয়। তিনি হন ক্রেমলিনের অবিসংবাদিত অভিভাবক। অন্য অনেক কিছুর মতো রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে আধুনিয়কানও করেছেন তিনি। ২০০৭ সালে পুতিন ১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেন সামরিক খাতে ২০ ট্রিলিয়ন রুবল (৩০০ বিলিয়ন ডলার) ব্যয়ের।
পাশ্চাত্যের সাথে তার বিরোধও এখানে। পাশ্চাত্যে যেখানে ভোটের মাধ্যমে মতার রদবদল ঘটে, মানবাধিকারের নিশ্চয়তা আছে, আমলাতন্ত্রকে জবাবদিহি করতে হয়, রাশিয়ায় তেমন কিছুর বালাই নেই। সেখানে এক কথা : ‘নো পুতিন, নো রাশিয়া।’ তিনি ও তার সহকর্মীদের হাতেই সব মতা পুঞ্জীভূত। দেশের সব সম্পদের মালিকও তারা।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ন্যাটো হলো পুতিনের চূড়ান্ত ল্য। তার কাছে পাশ্চাত্যের সেনাবাহিনীগুলোর চেয়ে সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলো ও মূল্যবোধ অনেক বেশি হুমকি সৃষ্টিকারী। তিনি তাদের বিস্তার থামাতে চান। দুই পই অনড়। চূড়ান্তপর্যায়ে কোন প জয়ী হবে তা বলার সময় এখনো হয়নি।
No comments