আসুন পরাণের পাশে দাঁড়াই
মেধাবী,
সদালাপী, সদাহাস্যোজ্জ্বল- সবগুলো গুণের সমারোহ ঘটেছে তার ভেতর। বিভিন্ন
সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন সব সময়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের
শুরুতেই শিক্ষক হওয়ার তীব্র বাসনা ছিল তার। এজন্য শত ব্যস্ততার মাঝেও ভুলে
যাননি পড়ালেখার কথা। যেখানেই থাকুক সময় মতো পড়ে থেকেছেন ডিপার্টমেন্টের
সেমিনার, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ও নিজ কক্ষের চেয়ার টেবিলে। সেই
অধ্যবসায় তাকে এনে দিয়েছে অসামান্য কৃতিত্ব। তিনি জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ২০০২-০৩ শিক্ষাবর্ষের (৩২তম
ব্যাচ) ছাত্র সিদ্দিকুর রহমান। যাকে পরাণ নামেই চিনতেন সবাই। তিনি ২০১১
সালের ২রা মে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৪
সালের জুন মাসে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। বর্তমানে তিনি সেখানেই
কর্মরত আছেন। এছাড়া তরুণ এ শিক্ষক তার নিজ শিক্ষাঙ্গন জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণারত। কিন্তু তার সকল অর্জন আজ ম্লান হতে
চলেছে। প্রাণঘাতী ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমান তিনি হাসপাতালের
বিছানায় শয্যাশায়ী। পরাণ দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড়। ছোট ভাই ঢাকা
কলেজে অধ্যয়নরত। পরাণের বাবা একজন প্রান্তিক কৃষক। পরিবারের একমাত্র
উপার্জনক্ষম পরাণের চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে গিয়ে শেষ সম্বলটুকুও বিক্রি
করেছেন তিনি। অর্থাভাবে দিশাহারা পরিবারটি। থমকে আছে মেধাবী এ শিক্ষকের
চিকিৎসা। বর্তমানে তিনি ঢাকার মিরপুরে ডেলটা হাসপাতালে লে. কর্নেল ডা.
সারোয়ার আলমের অধীনে চিকিৎসাধীন। পরিবারের সম্বলটুকু শেষ হয়ে গেলে তার
পরিচিতজন ও বন্ধুবান্ধবের সহযোগিতায় চলছিল চিকিৎসা। এখনও চিকিৎসার খরচ বাবদ
অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই তার পরিবার, আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব আর্থিক
সাহায্যের জন্য সমাজের বিত্তবান-হৃদয়বান মানুষের কাছে আকুতি জানিয়েছেন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- সোহানুর রহমান (পরাণের ছোট ভাই), একাউন্ট নম্বর-
০২০০০০৩২২৫৯১০, অগ্রণী ব্যাংক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, সদরঘাট, ঢাকা,
মোবাইল নম্বর- ০১৭২১১৬০৯২০। বিকাশ নম্বর- ০১৭৯৭৭৭৬২৬২ (নঈম সিদ্দিক- পরাণের
বন্ধু ও সহকর্মী)।
No comments